পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>8 SAASAASAASAAMMSMAAA SSAAAASAASAASAAASJ প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড ബ്.--l.-l-l-്ണു--സാ প্রভু কহেন ঠক নহে মোর সঙ্গীজন। ভিক্ষুক সন্ন্যাসী মোর নাহি কিছু ধন ॥ ১৮৩ মৃগী ব্যাধিতে আমি হই অচেতন । এই পাচ দয়া করি করেন পালন । ১৮৪ লজ্জিত হইয়া রাজপুত্র প্রভুর সঙ্গীদের মুক্ত করিলেন । রাজ্যপুত্রের গুরু প্রভুর সহিত ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বিচার ও তর্ক আরম্ভ করিলেন । অল্পকাল মধ্যে ঐ মুসলমান বিদ্বান তর্কে পরাজিত হইয়া, প্রভুর প্রেমে আকৃষ্ট হইয়া প্রভুর শরণ লইলেন। প্রভুও তাহাকে বৈষ্ণুষ ভক্তরূপে স্বীকার করিলেন । রামদাস বলি প্ৰভু তার কৈল নাম ৷ ২০৭ ইহার পর রাজকুমার বিজুলী খাও কৃষ্ণ বলি পড়ে সেই মহাপ্রভুর পায় । প্রভু শ্ৰীচরণ দিল তাহার মাথায় । ২০৯ "পাঠান বৈষ্ণুধ” বলি হৈল তার খ্যাতি । সৰ্ব্বত্র গাইয়ে বুলে মহাপ্রভুর কীৰ্ত্তি ৷ ২১১। চরিতামৃত, অস্ত—১৮ এই পাঠান বৈষ্ণব বর্ণনা সম্বন্ধে আমার এক বন্ধু একবার এইরূপ আপত্তি করিয়াছিলেন – ১ । কোনও সম্বাস্ত মুসলমান রাজপুত্রের হিন্দুধৰ্ম্ম স্বীকার করিবার ঐতিহাসিক প্রমাণ চাই। হিন্দুদের মধ্যে কোনও সম্প্রদায়ে মুসলমানকে হিন্দু করিয়া লইবার নিয়ম প্রচলিত নাই । এরূপ ঘটনা ঘটিলে ইতিহাসে তাহার কোন-না-কোন উল্লেথ নিশ্চয় থাকিত । ২। মুসলমান ভদ্রসমাজে, বিশেষতঃ শিক্ষিত সমাজে বা রাজপরিবারে, বিজুলী খাঁ নাম হয় না। অতএব গল্পটি কাল্পনিক, বৈষ্ণবরা মহাপ্রভুর কীৰ্ত্তি প্রচারের জন্য গড়িয়া লইয়াছে । আমার বন্ধুর আপত্তির উত্তর দিতে মুসলমান গ্রন্থকারদের ফাঁসী ভাষায় লিখিত ইতিহাস খুজিয়া নিম্নলিখিত সংবাদ পাইয়াছি। মহাপ্ৰভু যখন বৃন্দাবনে গিয়াছিলেন তখন আগ্র উত্তর-ভারতের মুসলমান-সম্রাটদের প্রধান রাজধানী । সম্রাট ছিলেন আফগান-বংশীয় নিজাম খা সিকন্দর লোদী। তিনি এক হিন্দু খুৰা-কন্যার গে জন্মগ্রহণ করিলেও অতি গোড়া মুসলমান ছিলেন। তিনি সিংহাসনারোহণের পূৰ্ব্বেই রাজপুত্র অবস্থাতে উত্তর-ভারতে যত সুন্দর ও প্রাচীন মন্দির পাইয়াছিলেন, সকলগুলি খুজিয়া ও বাছিয়া বাছিয়া ভাঙিয়া তীর্থস্থানগুলি বনজঙ্গলে পরিণত করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । ১৪৮৯ সালে রাজ্যলাভ করিয়া তিনি আপনার রাজ্যমধ্যে হিন্দুদের তীর্থগমন নিষিদ্ধ করিয়া ছিলেন । সম্ভবতঃ রাজধানীর নিকট বলিয়া মথুরা ও বৃন্দাবনের উপর তাহার আক্রোশ বেশী ছিল । মথুরাতে কোনও যাত্রী যাইলে তাহাকে প্রাণ হারাইতে হইত ; কোনও নরসুন্দর যাত্রীদের ক্ষেীর করিলে তাহার হাত কাটিয়া দেওয়া হইত। সেই সময় একজন ধৰ্ম্মভীরু বিদ্বান মৌলবী শাস্ত্রের আজ্ঞা দেখাইয়া সম্রাটকে প্রজার ধৰ্ম্মবিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন বলিয়া তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া মৌলবীকে কাটিতে উদ্যত হইয়াছিলেন, কিন্তু [ সম্ভবতঃ বিদ্রোহের আশঙ্কায় ] শেষে ক্ষমা করিয়াছিলেন । র্তাহার রাজ্যকালে [ ১৪৯৯ ঈশান্দে ] বুদ্ধন নামক একজন লক্ষ্মেীবাসী ব্রাহ্মণ প্রকাশ্বে প্রচার করিত যে, উপাসনার প্রধান অঙ্গ ভক্তি, উপাসক হিন্দু হউক বা মুসলমান হউক ভক্তিপূৰ্ব্বক উপাসনা করিলে হিন্দু মুসলমান উভয় মতের উপাসনাই শ্ৰীভগবান স্বীকার করিয়া থাকেন, ভক্তিহীন উপাসনার কোনও মূল্য নাই । সম্রাট তখন সম্ভল নগরে, তিনি সেইখানে ব্রাহ্মণকে ডাকাইয়া তাহার সম্মুখে সমস্ত উত্তর ভারতের মৌলবীদের সহিত বিচার করিতে বলিলেন । বিচার কিরূপ হুইয়াছিল মুসলমান ঐতিহাসিক লেখেন নাই, কিন্তু ফল এই হইল যে, মৌলবীরা ফতোয় { ব্যবস্থা ] দিলেন – “ব্রাহ্মণ যথন স্বয়ং স্বীকার করিতেছে যে, মুসলমান-মতে উপাসনা করিলেও ঈশ্বর তাহা স্বীকার করেন, তখন তাহাকে হিন্দুধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া মুসলমান-ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে হইবে। না করিলে তবে তাহার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।” ব্ৰাহ্মণ আপনার ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিতে অস্বীকার করিলেন ও রাজাদেশে অমানবদনে মৃত্যু আলিঙ্গন করিলেন ।