পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ৷ মহামায়া 8sԳ পাইবামাত্র চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হইতে বসিল, ইহার আঘাত যে কতখানি ইইয়া তাহার বুকে বাজিতেছে, তাহা নিরঞ্জন ঠিকই উপলব্ধি করিতে পারিতেন। শহর হইতে ফিরিয়া তিনি নিজের ঘরে বসিয়৷ কাগজ উণ্টাইতেছিলেন, কাজ করিবার প্রয়োজন যথেষ্ট ছিল, কিন্তু কাজে মন বসাইতে পারিতেছিলেন না । হঠাৎ পায়ের শব্দে মুখ তুলিয়া চাহিয়া দেখিলেন, দেবকুমার পরে ঢুকিতেছে । তাহার মুখ অস্বাভাবিক রকম উত্তেজিত । নিরঞ্জন একটু বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি দেবকুমার, আমাকে কিছু বলবে ?” দেবকুমার একটা চেয়ার টানিয়া বসিয়া পড়িল । কিছুক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া রহিল, কথা বলবার শক্তিই যেন তাহার ছিল না । তাহার পর জিজ্ঞাসা করিল, "প্রভাসবাবু কি আপনাদের কোনো আত্মীয় ?” নিরঞ্জন একটু বিস্মিত হইয় জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ কথা জিগ গেয করুছ কেন ? না, সে আত্মীয় নয় ঠিক, তবে আমাদেরই গ্রামের ছেলে, আত্মায়েরই মত ।” দেবকুমার বলিল, “দেখুন, আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন, আমি হয়ত অনধিকার চর্চা করছি। কিন্তু প্রভাসবাবুকে আর বেশী দিন এ বাড়ীতে থাকৃতে দিলে তাকে দিয়ে মায়ার অনিষ্ট হবে ।” নিরঞ্জন ত আকাশ হইতে পণ্ডিলেন । প্রভাসকে তিনি বাল্যকাল হইতে জানেন, অতি সচ্চরিত্র ছেলে সে, তাহাকে দিয়া মায়ার কি অনিষ্ট হইতে পারে ? এ পৰ্য্যস্ত বিবাহও যে করে নাই, দেশের দশের কাজ করিবে বলিয়, তাহার সম্বন্ধে দেবকুমারের এরকম ধারণা কেন হইল ? নিরঞ্জন জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন তোমার এমন কথা মনে হ’ল বল ত ? অনধিকারচর্চা নিশ্চয়ই আমি মনে করতে পারি না, মায়ার ইষ্ট অনিষ্ট এখন ত তোমারই সকলের চেয়ে বেশী দেখবার কথ। " cनदकूषाद्र शार्मिक कि cयन उोविबाजद्देश, डाशब्र পরে বলিল, “ঞ্জণর মনে হচ্ছে মায়া নিজের খপ্রকৃত্তিস্থ মনের একট। খেয়ালে, তার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে এবং তিনি জেনে শুনে সেটার প্রশ্রয় দিচ্ছেন । তিনি জানেন অস্ত্রখে পড়বার আগে মায়া আমার সঙ্গে এনগেজ ড্যু হয়েছিল, এখন যদি সেটা সে ভুলেই গিয়ে থাকে তাহলেও কোনে। ভদ্রলোকের উচিত নয় এর স্ববিধে নেওয়া ।” নিংথ্রন কি বলিবেন, ভাবিয়া পাইলেন না । সত্যই বদি এইরূপ ব্যাপার কিছু ঘটিতেছে, তাহা হইলে প্রভাসকে আর এক দণ্ড এখানে রাখা মায়ু না । অবস্থাট। এমনিতেই যথেষ্ট জটিল, বাহিরের লোক মাঝে পড়িয়। সেটাকে আরও জটিল না করিয়া তুলিলেই ভাল । কিন্তু দেবকুমারের এখন যা মনের অবস্থা, তাহার কথা কি অখণ্ড সত্য বলিয়া মানিয়া লওয় যায় ? হিংসার উগ্র রঙের ভিতর দিয়া এখন সে সমস্ত ব্যাপারটাকে দেখিতেছে, সামান্ত কথাবাৰ্ত্তাকে প্রেমালাপ ভাবিয়া বস। তাহার পক্ষে কিছুই বিস্ময়কর নয়। তাহার কথার উপর নির্ভর করিয়া কি প্রভাসকে কিছু বলা চলে ? - খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া তিনি বলিলেন, “আচ্ছা আমি এবিষয়ে এখনই খবর নিচ্ছি। সত্যি যদি এ রকম কিছু ঘটে থাকে, তাহলে প্রভাসকে বিদায় করতেই হবে। তবে তাকে আমি অনেকদিন থেকেই জানি, সে এ রকম নীচ ব্যবহার করবে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু এসব বিষয়ে ঠিক করে কিছু বলা শক্ত ।” দেবকুমার বলিল, “আপনি পিসিমাকে জায় অজয়বাবুকে জিগ গেষ করে দেথতে পারেন।” নিরঞ্জন বলিলেন, “তাই করব । তুমি এ নিয়ে মন খারাপ ক'রে না, যদিই এ ধরণের কোনো ভাৰ মায়ার মনে এসে থাকে, তাহলেও অল্পখ সারবার লঙ্গে সঙ্গে সেটা তার মন থেকে চলে যাধে ।” দেষকুমার জিজ্ঞাসা করিল, “সেদিন ডাক্তার ওকে দেখে কি বললেন " ... ‘. নিরঞ্জন বলিলেন, “তিনি ত হিষ্টরিয়ার কেস বলছেন। এরকম কতকগুলো কেসের হিষ্ট্র বললেন, ৰবিশুি ঠিক ওর মত একটাও মা" :