পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

фо о কিণ্ড মায়া কি তাঙ্গার হৃদয়জগতে কোনোই বিপ্লব ঘটায় নাই ? সে কি মায়াকে পুনৰ্ব্বার দেখিবার আগে যেমন ছিল, তেমনিই আছে ? দেশের কল্যাণ, স্বদেশবাসীর কল্যাণ চিন্তাই কি তাহার মন জুড়িয়া আছে ? তাহাই বা সে স্বীকার করিতে পারে কই ? ' ভাবিতে ভাবিতে সে বাড়ী আসিয়া পৌছিল । আশা করিয়াছিল সকলে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে, ঠাকুর তাহার ঘরে টেবিলের উপর ভাত চাপা দিয়া রাখিয়া গিয়াছে । কিন্তু গেটের ভিতর ঢুকিবামাত্র তাহার চোখ পড়িল দোতলায় মায়ার ঘরের জানলার উপর। মায়া জানলা ধরিয়া দাড়াইয়া আছে, ঘরে তখনও আলো জলিতেছে। কি দেখিতেছে সে কাহার অপেক্ষায় দাড়াইয়া আছে ? নিজেকে আর উত্তেজিত করিয়া তুলিতে তাহার ইচ্ছা হইল না। তাড়াতাড়ি সবলে মায়ার চিন্তাকে মন হইতে দূর করিয়া দিয়া সে ভিতরে ঢুকিয় গেল । নিরঞ্জনের ঘরের দরজা খোলা, সেখানেও আলো জ্বলিতেছে । তিনি তখনও শুইতে যান নাই। প্রভাসের পায়ের শব্দে উঠিয়া আসিয়া বলিলেন, “অনেক রাত হয়ে গেছে, খেয়ে নাও । তোমার সঙ্গে একটু কথা আছে, আগে থেয়ে এস।” প্রভাস মনে মনে বলিল, “কি কথা তা ত বুঝতেই পারছি।” সে ঘরে ঢুকিয়া চাদর, ছড়ি রাখিয় খাইতে বসিয়া গেল । খাওয়া শেষ হইতে-না-হইতেই নিরঞ্জন তাহার ঘরে আসিয়া ঢুকিলেন। চেয়ার টানিয়া বসিয়া বলিলেন, “তোমাকে আজ যা বলব, তাতে কোনো রকম অফেন্স, নিয়ে না । অবস্থার গতিকে পড়ে মানুষকে নানা রকম ব্যবহার করতে হয়। আমার মেয়ের অবস্থা ত দেখছ, তার সম্প্রতি সারবার কোনো সম্ভাবনা আছে ব’লে মনে হয় না । গ্রামে যে স্কুল করতে চাইছ, মায়ার মায়ের নামে, তা করতে পার, টাকা ঘা লাগে আমি দেব। মায়া সাবৃবে এবং এসব বিষয়ে পরামর্শ করবে, তার স্বাশায় বসে থাকা উচিত বলে আমার মনে হয় না।” প্রভাস বুঝিগ নিরঞ্জন তাহাকে বিদায় হইতেই বলিতেছেন, তবে কথাটা ঘুরাইয়া বলিলেন। সে বলিল, প্রবাসী-মাঘ, ১৩৩৭ [ ००=१ उi१, २झ अ७ि “আচ্ছ, তাহলে কালই শহরে গিয়ে প্যাসেজ বুক করবার চেষ্টা করব ।” নিরঞ্জন সস্নেহে তাহার পিঠের উপর হাত রাখিয়৷ বলিলেন, “সাধারণ সময় হ’লে তোমাকে ধরে রাখতাম যতদিন সম্ভব। এখন কিন্তু অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে বাধ্য হয়ে আমাকে এরকম অভদ্র হতে হ’ল । তুমি আশা করি কিছু মনে করবে না। কত রকম কমপ্লিকেশন যে দেখা দিচ্ছে তার সীমা নেই, কিভাবে ংে সে-সবের সঙ্গে কোপ করব, তাও ভেবে পাই না ।” প্রভাস মুখে শুধু বলিল, “না অভদ্র কেন মনে করব ? এ অবস্থায় যা দরকার তা ত আপনি করবেনই।” মনটা কিন্তু ভাস্থার অত্যন্ত মুষড়াইয়া পড়িল । অনেকখানি যে সে জড়াইয় পড়িয়াছে তাহা এই বিদায়ের কথা উঠি বামাত্র বুঝিতে পারিল । নিরঞ্জন উঠিয়া নিজের ঘরে চলিয়া গেলেন । একবার বাহির হইয়া আসিল, ভাবিল বাগানে দু-এক পাক ঘুরিয়া আসা যাক। ঘুম আসিতেছে না, মাথার ভিতরটা যেন দৰ্প দপ, করিতেছে। বাহির হইবামা স্ত্র সে চমকিয়া উঠিল। সিড়ির পাশে কে যেন লুকাইয়াছিল । তাহাকে দেখিবামাত্র দ্রুতবেগে সিড়ি দিয়া উপরে চলিয়া গেল ! সিড়ির আলো তখন নিভান ছিল, তবু হলঘরের আলোতে প্রভাস তাহাকে খানিকট। দেখিতে পাইল । সে মায়া। প্রভাস ( 8२ ) পরদিন সকালে উঠিয়াই প্রভাস শহরে চলিয়া আসিল সারাদিনের মধ্যে তাহার আর ফিরিবার ইচ্ছা ছিল না । জাহাজে বার্থ ঠিক করা হইয়া গেলে, চারিদিকে ঘুরিয়া ফিরিয়া দিনটা কাটাইয়া দিবে, হোটেলে কিছু খাইয়া লইবে ইহাই স্থির করিয়াছিল। রাত্রে মায়াকে নীচে দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া অবধি তাহার মনটা বিকল হইয়া উঠিয়াছিল। সমস্ত বাড়ীর হাওয়া যেন রহস্তে आदिज इङ्ग्रेङ्ग फेच्चिार्छ । जे यथक्लक्लिङ्ग ठक्कै ि চায়, কাহাকে চায় ? প্রভাসের প্রতি তাহার একটা তীব্র আকর্ষণ আছে বলিয়া মাঝে মাঝে মনে হয়, কিন্তু ঠিক