পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@re○ স্বপ্রশিথিল অমল অঙ্গ তুলি, আরক্ত কপোল লাজে, প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ [ ७•श् एठt१, २ग्न ॰स्) SAAAAAA AAAA AAAAHAMAJJJeeMAAJeMAMA AAMMAAA AAAASAAAA AAAA AAAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAAASA SAASAASSAAAAA AAAASAAAAJS আধ জাখি মেলি রূপসী কুমারী জাগে ঘুমন্ত পুরীর মাঝে ; দুর দিগন্তে পথ হয় লীন, ঘন অরণ্য হয় না শেষ, সাগর-পারের কন্যার লাগি দীর্ঘ যাত্রা নিরুদ্দেশ । কেশের কুস্থম কুড়ায়ে পেয়েছি, পেয়েছি মৃদুল বসনবাস, পত্রনিবিড় লতার বিতানে শুনেছি ঈষৎ দীর্ঘ-শ্বাস । হেfরছি পথের চরণ-চিহ্নে অলক্তকের রক্তরাগ, কনকচাপার ঝরা পাপড়িতে চাপা আঙলের দেখেছি দাগ । নীলাম্বরীর আগুনের পাড় ঝলমল করি উঠেছে দূরে, সাগরের তীরে, তটিনীর তটে সন্ধানে তার মরেছি ঘুরে, স্বর্ণ-ভালের সি দুরের টিপ সবুজে গোপনে রেখেছে রেখা, পাতার আড়ালে ফুটিয়া উঠেছে কম কপোলের পত্রলেখ । শ্রাস্ত ধরণী, পন্থ স্থদুর, তপ্ত বাতাস, প্রথর আলো, রুদ্র ভালুর ক্রুদ্ধ লোচন, কঠিন মাটি এ কাকর কালো । আহত চরণ, মূচ্ছিত মন, লি লি করে মাঠ, আকাশ ধু ধু, রৌদ্রলীলায় স্বপ্ন মিলায়, চলেছি একেল চলেছি শুধু । বেলা বয়ে যায়, বেলা বয়ে যায়, ভেঙে পড়ে ঢেউ হৃদয়-কুলে, স্নান কুমুদের মুদিত মুকুলে ভ্রান্ত ভ্রমর ঘুমায় ভুলে । কি হবে চলিয়া আপনা ছলিয়া না-ছোয়া ছায়ার পিছনে ছুটে, নীড়হারা পার্থী, ফিরে যা একাকী, নীরব নীড়ের বক্ষপুটে । জাগে যৌবন-জোয়ারে আবেগ, হৃদয়ের গাঙে কলধ্বনি, স্বপ্নে জাগরে ওঠে বার-বার কার আগমনী ছন্দ রণি, কোমল কণ্ঠ ডাকে কোন দূরে, সায়া বনভূমে স্থপূর বাজে, সাড়া পাই তার ফাঙ্কন-বায়, সাড়া পাই তার প্রাণের মাঝে । কেশের ভূষণ কুড়ায়ে পেয়েছি, পেয়েছি কণ্ঠমালার মণি, হরিণ-শিশুর ছোটার পিছনে শুনেছি চপল পায়ের ধ্বনি, পেয়েছি দিব্য তস্থর গন্ধে নবীন পদ্মমধু'র ভ্রাণ উষ্ণ মধুর মলয় প্রবাহে করেছি হরফে পরশ-স্বান । এল এল সে কি, শিহরে বাতাস, হৃদয় আকুলি আকুলি ওঠে, ঘুরে ঘুরে ফেরে লুব্ধ ভ্রমর, রাঙা সরণীতে পুষ্প ফোটে। এ-পথ ও-পথ কোলাকুলি করে ওখানে পিয়াল গাছের ফাকে, পরদেশী আলো লুকোচুরি খেলে সেই নির্জন পথের বঁাকে ।