পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] সন্ন্যাসীর গল্প tt ని ఫ్రీ uনেয়। স” আসে ১ প্রাণ ওই। সম্বোধন-বাচক অবায়। বৈদিক হয়ে > অহে > ওহে > ও । ওগ রা—প্রা ওগগর ভক্ত।-কপরমঞ্জরী। ঔছ!—অবচ্ছিত। ওঝা-উপাধ্যায় > প্রা উঅঞ্জ বান্স, ওচ ঝাক্স। সিন্ধী রাঝে । ওঠ-স" ওষ্ঠ > প্রাণ ওটুঠ । ওড়না—অবগুণ্ঠং ওঢ়ণ –প্রাকৃতসৰ্ব্বস্ব। ওত—মৈথিল ওত = আড়াল । ওম—উঞ্চ > পালি উমূহ > উম > ওম। ওয়-স’ উদক > প্রা উদঙ্ক > পঞ্জী ওড়ক, পালি ওয়। sırre-ars Hollandaise ( saittws,) ওস—স অবস্থায় > প্রাণ ওসূসা অ, পালি ওস্সরি = শিশির। ওস্তাদ-ফী’ উ-স্তাদ [ উ ( = সে, তিনি ) + সিতাঙ্গন ( = দওীয়মান থাকা, বহন করা), সিতায়ম্বন = প্রশংসা করা ) ] seগুরু, জ্ঞানী, প্রশংসিত, দক্ষ। যার কাছে দণ্ডায়মান থাকতে হয়, বা স্বার প্রশংসা করতে হয় তিনি উস্তাদ । ঔরংজীব—ফারসী ঔরঙ্গ < পহাৰী অৱরঙ্গ = ঞ্জাকজমক < গ্রা পার, অবি-রঙ্গ < স• অভিরঙ্গ (সমুজ্জ্বল ) । জীব = সংস্কৃত ? সন্ন্যাসীর গণপ শ্ৰীধীরেন্দ্রনারায়ণ রায় আমি বললুম, “আজ না হয় থাক, সন্ন্যাসী মশায়, অনেক রাত হয়ে—” সন্ন্যাসী মশায় তার কম্বলের বিছানাটা গুটিয়ে রেখে বললেন, “ন চলুন, বাইরে জ্যোৎস্নায়, একটু গিয়ে বসি । আপনার সঙ্গে আর আমার দেখা বোধ হয় হবে না, কাল আমি চলে যাব ।” ঘরের মধ্যে মশা বড় ভন ভন্‌ করছিল, গরমও খুব । বাইরে জ্যোংস্কার ফিন ফুটছে, বাশঝাড়ের ডগার পাতাগুলো জ্যোৎস্নার আলোয় চিক্‌ চিক্‌ করে জলছিল। আমি জিজ্ঞাস করলুম, “আপনি কাল চলে যাবেন, কিন্তু তাত তো এখানে খাটানো পড়ে রইল, শেখানোর কি হবে ?” বাইরের দালানে উঠবার মাৰ্ব্বেল পাথরের ঠাণ্ড সিড়ির ওপর জ্যোংস্কার আলোয় দুজনে গিয়ে বস্লুম। সন্ন্যাসী মহাশয় একটু অন্যমনস্কভাবে বাশগাছের মাথার দিকে চেয়ে রইলেন । প্রায় এক মিনিট আমার কথার কোনে উত্তর পেলুম না। তারপর বললেন, “তাত শেখানোর কথা বলচেন ? ও আমি ঘুরে এসে শেখাবো । মাসখানেক পরেই আবার আসচি।" 感载一》 আমি জিজ্ঞাসা করলুম, “এখন আপনি কোথায় যাবেন ?” দেখলুম, তিনি আগের মত অন্যমনস্কভাবে বাশঝাড়ের মাথায় একদৃষ্টি চেয়ে আছেন। আমি চুপ করে রইলুম। রাত প্রায় বারোটার কাছাকাছি । কাল ভোর পাচটায় আমায় স্কুলে যেতে হবে, আমি মনে মনে একটু বিরক্ত হলুম। রাত এত হ’ল তৰু ঘুমবার নাম নেই । লোকটাকে প্রথম হতেই আমার একটু অদ্ভুত ধরণের মনে হয়েছিল। কক্ষ কক্ষ বড় বড় চুল, দীর্ঘদেহ, মুখখান। আর চোখ দুটায় কেমন একটা অস্বাভাবিক দীপ্তি। যদিও রাত অনেক হয়েছিল, তার গল্প শুনবার লোভ আমি সামলাতে পারলুম না। একটু প্রার্থনাস্থচক স্বরে বললুম, “কোনো বিশেষ গোপনীয়—” তিনি বললেন, “কিছু মা, শুনবেন ? আপনার আবার কষ্ট হবে না তো ? অনেক রাক্ত হয়ে গেল । ঘটনা এমন বিশেষ কিছুই না, তবুও—” আমি বললুম, “বলুন।”