পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা | ডেমন হউক, গাছপালার বৈচিত্র্যই থাকিবে বেশী । গেটের দুধারে ছুটে চীনা বাশের ঝাড় থাকুক্‌ । রাঙা সুরকীর পথের ধীরে ধারে রজনীগন্ধা ও ল্যাভেণ্ডার ঘাসের পাড় বসান। বকুল ও কৃষ্ণচূড়ার ছায়া | বাড়ীতে ফিরিয়া চা ও থাবার থাইয়া স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করে~~হঁ্যা, তারপর র্কাটালি চাপার কোন দিকে হবে বলে তো ? অপর্ণ স্বামীকে এই দেড় বছরে খুব ভাল করিয়া বুঝিয়াছে। স্বামীর এই-সব ছেলেমামৃষীতে সেও সোৎসাহে যোগ দেয় । বলে শুধু কাটালি চাপা ? আর কি কি থাকৃবে, জানালায় জাফরীতে কি উঠিয়ে দেব বলো তো ? যে আমড়াতলীর গলির ভিতর দিয়া সে আপিস যায় তাহার মত নোংরা স্থান আর আছে কি-না সন্দেহ । ঢুকিতেই নাখোদা মুসলমানদের ভটকী চিংড়ি মাছের আড়ত সারি সারি দশ পনেরোটা । চড়া রৌদ্রের দিনে যেমন তেমন, বৃষ্টির দিনে কার সাধ্য সেখান দিয়া যায় ? ফলের দোকানের পচা খড় বিচালী পথে ছড়ান, স্থানে স্থানে মাড়োয়ারীদের গরু ও ষাড় পথ রোধ করিয়া দাড়াইয়া—পিচপিচে কাদা, গোবর, পচা আপেলের খোল । নিত্য স্থবেলা আজ দেড় বৎসর এই পথে যাতায়াত। মনে মনে ভাবে শরৎ বাবুদের আপিসট, কেমন ময়দানের ধারে গবর্ণমেণ্ট প্লেসে-সবুজ ঘাস গাছপালা চোখে পড়ে যেতে যেতে-খোলা আকাশও দেখা যায় আপিসের জানাল থেকে—ওখানে যদি আমার আপিসট হত—এ আর পারিনে— তাহা ছাড়া রোজ বেলা এগারটা হইতে সাতটা পৰ্য্যস্ত এই দারুণ বদ্ধতা । আপিসে অস্তু যাহারা আছে, তাহাদের ३श्iप्ऊ ऊऊ कडे झ्छ न । छांशब्रl eर्दौ१, यश् कांज ধরিয়া তাহায়ের খাকের কলম শীলবাবুদের সেরেস্তায় অক্ষয় হইয়া বিরাজ করিতেছে, তাহদের গৰ্ব্বও এইথানে। রোকড়-নবীশ রামধন বাৰু বলেন—হে হেঁ, কেউ

    • ংগোলটি

অপরাজিত কাল্পনিক বাগান-বাড়ীর নক্সাটা আঁকে। বাড়ীট cश्न ৫২১ পারবে না মশাই, আজ এক কলমে বাইশ বছর হল বাবুদের এখানে—কোনো ব্যাটার ফু খাটবে না বলে দিও-চার সালের ভূমিকম্প মনে আছে ? তখন কর্তৃ। বেঁচে, গণী থেকে বেরুচ্চি, ওপর থেকে কৰ্ত্ত হেঁকে বললেন, -ওহে রামধন, পোস্ত থেকে ল্যাংড়া আমের দরটা জেনে এসো দিকি চট করে। বেরুতে যাবে। মশাই-আর যেন মা বাহুকি একেবারে চোদ হাজার ফণা নাড়া দিয়ে উঠলেন -- সে কি কাও মশাই ? হেঁ হেঁ আজকের লোক নই— * * কষ্ট হয় অপুর ও ছোকৃর টাইপিষ্ট নৃপেনের। উকি মারিয়া দেখিয়া আসে ম্যানেজার ঘরে বসিয়া আছে কি-না। অপুর সঙ্গে টুলের উপর বসিয়া বলে এখনও ম্যানেজার হাইকোর্ট থেকে ফেরেন নি বুঝি, অপূৰ্ব্ববাবু— ছ’টা বাজে, আজ ছুটি সেই সাতটায়— অপু বলে ও-কথা আর মনে করিয়ে দেবেন না নৃপেন বাৰু। বিকেল এত ভালবাসি, সেই ৰিকেল দেখিনি যে আজ কতদিন । দেখুন তো বাইরে চেয়ে এমন চমৎকার বিকেলটি, আর এই অন্ধকার ঘরে ইলেকটিক আলো জেলে ঠায় বসে আছি সেই সকাল দশটা থেকে । সে মনে মনে অপরাহ্লের কবি । মেঘমুক্ত রৌদ্রভর দিনের দুপুর ঘুরিয়া গিয়া ছায়া যখন একটু বাকিয়া যাইত, তখন হইতে সন্ধ্যার প্রথম চাদ ওঠা পৰ্য্যন্ত যে সময়টা। অতীত দিনের জীবন এই সময়টুকুতেই ভরপুর হইয়া উঠিত। খামল বনাম্ভস্থলী শিহরিয়া উঠিত কত কি আজান ফুলের সম্মিলিত স্ববাসে, আল্‌কুসি ফলের জুলুনিতে, দুর্গার্টুনটুনি পাখীর অর্থহীন অবাধ কাকলিতে, জীবনের আনন্দ যেন উছলিয়া পড়িতে চাহিত । মাটির সঙ্গে সে যোগ অনেক দিনই সে হারাইয়াছে, সে সব বৈকাল তো এখন দূরের স্বতি মাত্র। কিন্তু কলিকাতা শহরের যে সাধারণ বৈকালগুলা তাও তো সে হারাইতেছে প্রতিদিন । বেল পাঁচটা বাজিলে এক এক দিন লুকাইয়া বাহিরে গিয়া দাড়াইয়া সম্মুখের বাড়ির উচু কাণিসের উপর ক্ষে একটুখানি বৈকালের আকাশ চোখে পড়ে, তাই দিৰে বুকুন্থর দৃষ্টতে চাহিয়া থাকে।