পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা } SAM AMAMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAASA SSASAS SSAS ফেনিল, পাহাড়ী নদীতীরে বিচরণশীল বলগা হরিে দল, ভালুক, পাহাড়ী ছাগল, ভেড়ার দল, উষ্ণ প্রস্রবণ, তুষারপ্রবাহ, পাহাড়ের ঢালুর গায়ে সিডার ও মেপল গাছের বনের মধ্যে বুনো ভ্যালেরিয়ান ও ভায়োলেট, ফুলের বিচিত্র বর্ণসমাবেশ - দেখ নাই এসব ? এস এস । টাহিটি! টাহিটি! কোথায় কত দূরে, কোন জ্যোৎস্নালোকিত রহস্যময় কুলহীন স্বপ্নসমুদ্রের পারে, শুভ্ররাত্রে গভীর জলের তলায় যেখানে মুকুতার জন্ম হয়, সাগরগুহায় প্রবালের দল ফুটিয়া থাকে, কানে শুধু দূরশ্ৰত সঙ্গীতের মত তাদের অপূৰ্ব্ব আহ্বান ভাসিয়া আসে। অপু ভাবে যাব যাব, রও না এই বছরটা, এই—নিশ্চয় হয় তো— অপিসের ডেস্কে বসিয়া এক একদিন সে স্বপ্নে ভোর হইয় থাকে - এই সবের স্বপ্নে। তার মনের বড় সাধ, প্রাণের সাধ ওই রকম নির্জন স্থানে, যেখানে লোকালয় নাই, মানুষের বাস নাই, ঘন নারিকেল কুঞ্জের মধ্যে ছোট কুটীরে, থোলা জানলা দিয়া দূরের নীল সমুদ্র চোখে পড়িবে—তার ওপারে মরকতশ্যাম ছোট ছোট দ্বীপ, বিচিত্র পক্ষীরাজি, অজানা দেশের অজানা অt কাশের তলে, তারার আলোর উজ্জল মাঠটা একটা রহস্যের বাৰ্ত্ত বহিয়া আনিবে-কুটীরের ধারে ফুটিয়া থাকিবে ছোট ছোট বনফুল - শুধু সে আর অপর্ণা। এই সব বড় লোকের টাকা আছে, কিন্তু জগতকে দেখিবার, জীবনকে বুঝিবার পিপাসা কই এদের } এ সিমেন্ট বাধানো উঠান, চেয়ার, কোঁচ, মোটর—এ ভোগ নয়, এই সৌধীন বিলাদিতার মধ্যে জীবনের সবদিকের অালো-বাতাসের বাতায়ন আটকাইয়া এ মরিয়া থাকা-কে বলে ইহাকে জীবন ? তাহার যদি এ টাকা থাকিত ? কিছুও যদি থাকিত, সামান্যও কিছু ! অথচ ইহার তো লাভক্ষতি ছাড়া আর কিছু শিখে নাই, বোঝে না, জানে না, জীবনে আগ্রহও নাই কিছুতেই, ইহাদের সিন্দুক-ভরা নোটের তাড় । , , এই আপিস-জীবনের বন্ধতাকে অপু শান্তভাবে निझधारबद्र मऊ, कुर्सएलब्र भङ भाथ भाजिश शैकब করিয়া লইতে পারে নাই। ইহার বিরুদ্ধে, এই মানসিক অপরাজিত AMAMMAMMAMMAMMAAA AAAASASASS હ.િ দারিদ্র্য ও সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে তার মনে একটা যুদ্ধ চলিতেছে অনবরত, সে হঠাৎ দমিবার পাত্র নয় বলিয়াই এখনও টিকিয়া আছে,—ফেনোজ্জ্বল স্বরার মত জীবনের প্রাচুর্য্য ও মাদকতা তার সারা অঙ্গের শিরায় উপশিরায়ব্যগ্র, আগ্রহঙর তরুণ জীবন বুকের রক্তে উন্মত্ততালে স্পন্দিত হইতেছে দিনরাত্রি –তাহার স্বপ্নকে আনন্দকে নিঃশ্বাস বন্ধ করিয়া মারিয়া ফেলা খুব সহজসাধ্য নয় । কিন্তু এক এক সময় তাহারও সন্দেহ আসে । জীবন যে এই রকম অপূৰ্ব্ব হইবে, হুর্য্যোদয় হইতে স্বৰ্য্যাস্ত পৰ্যন্ত প্রতি দণ্ড পল যে তুচ্ছ অকিঞ্চিংকর বৈচিত্র্যহীন ঘটনায় ভরিয়া উঠিবে, তাহার কল্পনা তো তাহাকে এ আভাস দেয় নাই তবে, কেন এমন হয় । দেখিতে দেখিতে পূজা আসিয়া গেল। আজ দুবৎসর এখানে সে চাকুরি করিতেছে, পূজার পূৰ্ব্বে প্রতিবারই সে ও নৃপেন টাইপিষ্ট কোথাও না কোথাও যাইবার পরামর্শ অঁাটিয়াছে, নক্স আঁকিয়াছে, ভাড়া কসিয়াছে, কখনও পুরুলিয়া, কখনও পুরী—যাওয়া অবশ্ব কোথাও হয় না। তবুও যাইবার কল্পনা করিয়াও মনটা খুসি হয় । মনকে বোঝায় এবার না হয়, আগামী পূজায় নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই—কেহ বাধা দিতে পারিবে না। শনিবারে আপিস বন্ধ হইয় গেল। অপুর আজকাল হইয়াছে বাড়ী ফিরিয়া অপর্ণার মুখ দেখিতে পারিলে যেন বঁাচে, কতক্ষণে সাতট। বাজিবে, ঘন ঘন ঘড়ির দিকে সতৃষ্ণ চোখে চায়। পাচটা বাজিয় গেলে অকুল সময়সমুদ্রে যেন থৈ পাওয়া যায়—আর মোটে ঘণ্ট। দুই–ছ’ট। আর এক । হোক পায়রার খোপের মত বাস, অপর্ণ যেন সব দুঃখ ভুলাইম্বা দেয়। তাহার কাছে গেলে আর কিছু মনে থাকে না। অপর্ণ চা ও খাবার জানিল। এ সময়টা আধঘণ্টা সে স্বামীর কাছে থাকিতে পায়, গল্প করিতে পায়, আর সময় হয় না, এখনি আবার অপুকে ছেলে পড়াইতে বাহির হইতে হইবে । অপু এ-সময় তাকে সব দিন পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন দেখিয়াছে, ফরসা লালপাড় শাড়ীটি পর, চুলটি বাধা, পায়ে আলতা, কপালে পিছরের টপ-মূৰ্ত্তিমতী