পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বীপময় ভারত শ্ৰীসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় [ ১১ ] বলিদ্বীপ—মুণ্ডুক্‌ সোমবার, ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯২৭ — বাদুড় থেকে উত্তর-মুখে হ'য়ে, তারপরে একটু পূবে পাহাড়ের মধ্যে এই মুণ্ডুক শহর। শহর নয়, একটি বড়ে গ্রাম বললেই হয়। কতকগুলি বড়ে বড়ে গ্রাম ছুয়ে আমাদের মুণ্ডুক যাবার পথ–শেষের দিকে আধেকের উপর পথ হ’চ্ছে পাহাড়ে দেশ দিয়ে। একখানা গাড়ীতে আমরা চলেছি—কবি, স্বরেনবাবু আর আমি,—আর একখানায় আমাদের মালপত্র । পূৰ্ব্বেকার মতন সেই মনোরম দৃষ্ঠা-নয়নাভিরাম সবুজের খেল, আর সুন্দর বলিদ্বীপীয় মেয়ে পুরুষদের গমনাগমন । বাকের, দ্রেউএস, ধীরেনবাবু—এর সোজা উত্তরে Batoeriti বাতুরিতি বলে একটা জায়গায় গেলেন, মুণ্ডুকের থেকে আরও পূবে পাহাড়ের মধ্যে ; সেখান থেকে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে চমৎকার হাট পথ হ’য়ে এরা একদিন পরে মুণ্ডুকে এসে আমাদের সঙ্গে মিলবেন। মুণ্ডুকের পশ্চিমে বলিদ্বীপের ধে অংশ ঘবদ্বীপের দিকে এগিয়ে গিয়েছে, সে অংশটা জঙ্গুলে’ আর পাহাড়ে; লোকের বসতি সেখানে কম। কিন্তু মুণ্ডুক পর্যাস্ত যে পথটা দিয়ে আমরা যাই, সে পথটায় লোকের বাস বেশ ৷ খড়ের চালে ছাওয়া শান্তিপূর্ণ গ্রাম, আর মাঝে মাঝে মন্দির, এ-সব প্রচুর চোথে প’ড়ল । পথে কি একটা গায়ের বাজারের ধারে আমাদের মোটর থামূল। সবে সমতল ক্ষেত্র ছেড়ে পাহাড়ে উঠছি। দেখি, সেই বাজারে খুব ম্যাঙ্গোষ্টীন ফল বিক্ৰী হ’চ্ছে। ঈষং টক্রস-যুক্ত এই মিষ্ট মুখরোচক ফল, লোভ হ’ল— প্রায় দু ঝুড়ি আমরা কিনে ফেললুম। দাম মনে হ’ল খুবই শস্ত। সারা পথ আমরা—অস্ততঃ আমি-খুব এই ফল খেতে খেতে গেলুম। মাঝেকার খানিকট পথ খুব উচু পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ; সেখানটায় একটু শীত-শীত করতে লাগল। রাস্ত খুব চমৎকার, চারিদিকে ঘন সবুজের ছড়াছড়ি । মাঝে মাঝে খুব বঁাশ-ঝাড় । এক জায়গায় একটা একটা ঝরন। উচু পাহাড়ের গ! ব’য়ে একেবারে রাস্তার ধারেই পড়ে একটা ছোটো পাহাড়ে’ নদীর হুষ্টি করেছে, সেখানে আমাদের মোটর দাড় করালে । আমরা নেমে ঝরনার স্বশীতল জলে হাত মুখ ধুয়ে একটু স্নিগ্ধ হ’লুম। মোট নিয়ে যাচ্ছে কতকগুলি বলিদ্বীপীয় লোক, তারা ঝরনার ধারে মোট নামিয়ে জিরুচ্ছে । কতকগুলি মালবাহী টাটু, নিয়ে যাচ্ছে, টাটুর পিঠের বোঝা সমেত জীন খুলে দিয়ে ঝরনার এক পাশে টাটগুলিকে দাড় করিয়ে দিয়েছে, আর সেখানে নিশ্চল ভাবে দাড়িয়ে দাড়িয়ে শ্রাস্ত টাটু গুলি দুপুর বেলায় হিম-শীতল ঝরনার জলে দিব্যি আরামে স্নান ক’রছে । দেখে অামাদেরও স্নান ক’রতে ইচ্ছে হ’চ্ছিল । এই পাহাড়ে অঞ্চলে বিস্তর কফি বাগন আছে দেখলুম। মুণ্ডুকে পউছে বাকে আর ড্রেউএস-এর কাছে শুনলুম, এই সব কফি বাগানের মালিক হ’চ্ছে স্থানীয় বলিদ্বীপীয় লোকেরাই—বিদেশী ডচেরী নয় । দখল করেছে বটে, কিন্তু ডচের দেশের উপসত্ব সবটুকু নিচ্ছে না, তাদের সব গ্রাস করবার দরকার হয় নি; দেশের Git Fast të cgfĘ ệoiỆts vsiz exploitation করছে। কফি বাগান ক’রে আধুনিক কালের উপযোগী একটী কৃষি ব্যবসায়ে যে বলিদ্বীপীয়ের হাত দিয়েছে, আর তাতে বিদেশীরা এসে তাদের ঘরের মধ্যে জে'কে ব’সতে পারে নি, এটা বলিদ্বীপীয়েদের কার্য্যকুশলতার একটা খুব বড়ো প্রমাণ ব’লতে হবে । জঙ্গল, থরে থরে পাহাড়ের গা কেটে ধানের ক্ষেত, কফি রাগান, এ-সবের মধ্য দিয়ে আমাদের খানিকট দেশ