পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১মস্য J পণ্ডিত ཤཱི་ཧཱུཾ་ཨཱ་སྟ ক্ষুঃস্বরে বলিলেন–ছুটি দেওয়া-নাদেওয়া অবশ্য আপনার হাত । কিন্তু সত্যি বলছি মনটা বড় উতলা হয়েচে । হেডমাষ্টার মনে মনে বিরক্ত হইলেন, কিন্তু তবু হাসিতে হাসিতেই কহিলেন—“বুদ্ধস্য তরুণী ভাৰ্যা|”— বিপদ ঐখানেই সে অামি বুঝেছি। আচ্ছ, ছুটি আপনি পাবেন, কিন্তু সস্ত্রীকই আসবেন এবার, বাসা ঠিক করে বেথে যান। কি জানি আবার কোন দিন দুঃস্বপ্ন-টপু দখলে ফ্যাসাদ হবে । পণ্ডিত মহাশয়ের অন্ধকার মুখে এইবার হাসির রেখা ফটল, তিনি এইবার একখানি চেয়ার টানিয়া লইয়। বসিয়া কহিলেন : –বলেছেন ! ভোলা সা’র কাছে এখনই সচ্ছি, ও একটা হিল্লে করে দেবেই । দুঃস্বপ্নট। দেখে 4কট এখনও পড়াস ধড়াস করছে, পাজির ফল ও সুবিধে ন--তাতেই ভয়ট আরও বেড়ে গেল কি না । হেডমাষ্টার এইবার বইয়ের দিকে ঝু কিলেন,-পণ্ডিত প"রে ধীরে বাহির হইয়া গেলেন । ૨ টেনে যাইতে য়াইতেও দুঃস্বপ্লেব ধার কাটে ন । সুবিধা ফিরিয়া পণ্ডিতের এই কথাই মনে হয় বাড়ীতে গিয় ,'ল বাসস্থীকে দেখিতে না পান, শুক-পঞ্চমীর স্বপ্ন যদি স, তা পরিণত হহয়! যায় ! দাৰ্মপথ কাটিতে চায় না । {%শন পার হয়, পণ্ডিত হিসাব করিয়া দেখেন আর কয়টি দুই পাশে ক্ষেতের ওপারে গ্রামগুলি দেখা ধায়, তাহার প্রতিঘরে স্বামী-স্ত্রী সুখে শাস্তিতে দিন কাটাইতেছে—তবে কি বিধাতা তাহারই উপর বিরূপ হইয়া উঠিলেন । আর একটি ষ্টেশন বাকী--পণ্ডিত মহাশয় গা ঝাড়িয়া ধশিলেন । সঙ্গে একট ক্যানভাসের ব্যাগে—সেইটি খুলিয়া দেপিলেন – স্বীর জন্য কেন। নতুন নীলাম্বরখানি ঠিক আছে কি না । সেইখানি বাহির করিয়া ধীরে ধীরে ইষ্ট তিনবার তাহাতে পরম স্নেহে হাত বুলাইয় সেখানি Sথfস্থানে রাখিয়া দিয়া ব্যাগটি বন্ধ করিলেন । ট্রেন আসিয়া পরিচিত ষ্টেশনে থামিল, টেন একটির পর একটি <ાત পণ্ডিত পণ্ডিত-মুর্থ 8ፃ মহাশয় ব্যাগ হাতে লইয়া তাড়াতাড়ি নামিয়া পড়িলেন । ক্রোশ-দুয়েক পথ ছাটিয়। তবে বাড়ী পৌছিতে হইবে । সন্ধ্যা ঘনাইয়া আসিয়াছে, আকাশে দুই একটি করিয়া তারা ফুটিতেছে। মাঠের রাস্ত দিয়া পণ্ডিত মহাশয় হন হন করিয়া চলিতে লাগিলেন—আনন্দে ও শঙ্কায় তাছার মন জুলিতে লাগিল। গৃহে পৌছিয়া সব ভাল ভাবে দেখিতে পাইলে তিনি সওয়া-পাচ আনা হরির লুট দিবেন মানসিক করিলেন । তিনি অন্ধকারে রাস্তার দিকে চাহিয়া চলিতেছিলেন, সহসা উপরের দিকে দৃষ্টিক্ষেপ করিতেই দেখিতে পাইলেন –কক্ষচু্যত একটি নক্ষত্র তীব্ররশ্মি বিকাণ করিতে করিতে ধরিত্রীর দিকে ধাবিত হইয়া অন্ধকাবে মিশিয়। গেল। পণ্ডিত মহাশয় সভয়ে চক্ষু মুদিত করিয়া দুর্গ নাম স্মরণ করিলেন । একে তো দুঃস্বপ্ন দেপিয়াই হইয়াছে, তাহার উপর এই অমঙ্গল অশুভ-দর্শনের ফল মিথ্যা অপবাদ । ভগবান ভাগ্যে কি লিপিয়াছেন, তিনিই জানেন । পণ্ডিত মহাশয় কোনও রকমে পাচটি ব্রাহ্মণ, নদী, ফুল ও বৈষ্ণুবের নাম মনে মনে উচ্চারণ করিয়া এই অশুভের মনটি বিচলিত দর্শন । এই শান্তি কামনা করিলেন, তারপর দ্রুতপদে পথ চলিতে লাগিলেন । গ্রামে পৌছিয়া তাহার দ্রুতপদ শিথিল হইয়। আসিতে লাগিল—কোনও রকমে পী টানিয়া টানিয়; গৃহদ্বারে আসিয়া পৌছিলেন। চণ্ডীমণ্ডপে আলে৷ জলিতেছে, সেখানে পণ্ডিত মহাশয়ের ভাগিনেয় উচ্চ স্বরে পাঠ আবৃত্তি করিতেছে । বালকের কণ্ঠনি:স্বত উচ্চ স্বর তাহার কণে যেন স্থধার ধারা বর্ষণ করিল। ম', তাহা হইলে কোনও অমঙ্গলই ঘটে নাই । বালক খন নিয়মাতুযায়ী নিত্যনৈমিত্তিক কাষ্য করিতেছে, তখন এ গুহে কোনওরূপ ব্যতিক্রম হয় নাই । তিনি আশ্বস্ত হইয়া চণ্ডীমণ্ডপে উঠিয়া ব্যাগটি নামাইলেন। বালক মাতুলকে দেখিয়া পাঠ থামাইয়া কহিল-মামা ! মাতুল মৃদু হাসিয়া কহিলেন—নিমাই, বেশ ভাল আছিস্ তো ? বিস্মিতভাবে