পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐ88 করিবে। ব্রহ্মা জলোদ-সাগরে ঔর্ব ঋষির কোপজ তেজঃ দ্বার। সর্বভুতভয়াবহ বৃহৎ বড়বামুখ করিয়াছেন। সে অদ্ভুত তেজে চরাচর বিনষ্ট হইয় থাকে। বড়বামুণে পতনের ভয়ে প্রাণীগণের নাদ শুনিতে পাওয়া যায়।’ পূর্বে দেখিয়াছি, মালয় দ্বীপের নিকটস্থ কুমাত্র। প্রভৃতি দ্বীপে আগ্নেয়গিরি আছে । ইং ১৮৮৩ সালে সুমাত্র ও যবন্দ্বীপের মধ্যস্থিত সমুদ্রে ক্রাকাতোর আগ্নেয়গিরির ভীষণ অয়,ংক্ষেপ হইয়াছিল। শিখরের এক পাশ্ব ছিন্ন হইয়া গিয়াছিল। দুই তিন বৎসর পর্যন্তু তাহা হইতে উদ্‌গত ভস্ম সুহ্ম রজোরূপে অবহে দিগদিগন্তে ব্যাপ্ত হইয়াছিল। এইরূপ গিরিকে অশ্বমুখ মনে করা স্বাভাবিক বটে। প্রাচীনকালে সাদৃপ্ত দেখিয়া নামকরণ হইত। বড়ব অর্থে অশ্বমুখ+ কৃতি দ্রব্য, বুঝাইত। সংস্কৃত সাহিত্যে নামকরণের এই রীতির ভূরি ভুরি উদাহরণ আছে। বাঙ্গালা ভাষাতেও আছে, ইদানী আমরা সেই রীতি ভুলিয়া যাইতেছি । “দ্বারে দ্বারে সিংহ আছে” বলিলে বুঝি সিংহ-মূৰ্ত্তি আছে। বড়বা শব্দে অশ্ব, ও অশ্বমুখাকার দুই-ই বুঝায়। অশ্ব পুত্র প্রসব করে, অশ্ব করে না। এই হেতু বড়ব৷ স্ত্রীলিঙ্গ । ইহাব এক নাম :বামী, যে বমন করে, উদগীরণ করে। ত্রিকাগুশেষ" কোষে ( ১২শ খ্ৰীষ্ট শতাদের পুর্বের ) বড়বাগ্নির অনেক নাম অাছে। তন্মধ্যে একটি নাম 'বাণিজ" | বাণিজ্য শব্দের প্রচলিত অর্থ বণিক। বোধ হয় তাহার। বড়বাগ্নির বৃত্তান্ত প্রচার করিয়াছিল। ভারতবর্ধে জ্বালামুখী আছে, আগ্নেয়গিরি নাই। শোন৷ যায়, ইং ১৭৫৬ সালে পণ্ডিচেরীর নিকটস্থ সমুদ্রে আগ্নেয় উৎক্ষেপে একটা চড়া জাগিয়াছিল। পরে সেট। নিমগ্ন হইয়াছে । আরাকান প্রদেশের নিকটস্থ ব্লামড়ি দ্বীপে কদৰ্ম-গিরি অাছে। কখন কখনও তাহ হইতে ধূমও নির্গত হয় । কিন্তু সেটা বড়বা নয়। হিমালয়ে নাই। নিকটবর্তী দেশের মধ্যে বেলুচিস্থানের পশ্চিমে পারস্তে দুইটি আছে । এক পবতের উত্তরে একটি দক্ষিণে অপরটি । দক্ষিণেরটির নাম কু-ঈ-বস্মন বসমনের (ভস্মনের ? ) পবর্ত, ১১।১২ হাজার ফুট উচ্চ। এটি এখন সুপ্ত। উত্তর-দিকটির নাম কু-ঈ-তষ্ক তন, জ্বলন্ত পবর্ত, ১৮ হাজার ফুট উচ্চ ( অবশু পর্বতপাদ হইতে এত নয় )। এটি জাগ্রত। ইহাতে তিনটি শৃঙ্গ আছে । বোধ হয় এই পবত ঔর্ব উপাখ্যানের উরু এবং ভস্মন গিরিতে ঔর্বাগ্নি রক্ষিত হক্টয়াছিল। আরও বোধ হয় এককালে নিকটে ভার্গবদিগের বাস ছিল। ইরাণের মধ্যে উত্তম স্থানও বটে। রাজা কৃতবীৰ্য হৈহয়-বংশীয় ছিলেন । সগর রাজার উপাখ্যানে পাইয়াছি, হৈহয় জাতির আদি বাস কাবুল । কৃতবীর্ধের পুত্র কাতর্কীর্ষ-অঞ্জন নামে খ্যাত । ইনি জব্বলপুরের দক্ষিণে নর্মদাতটে মাহিষ্মতী পুরী করিয়াছিলেন । বোধ হয়, কৃতবীর্যের মৃত্যুর পর ইনি মধ্য-ভারতে আসিয়া স্বরাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। অনেক হৈহয় স্বদেশেই ছিলেন । ভার্গববংশ তাইদের পুরোহিত ছিলেন । অতএব এই উপাখ্যানেও পাইতেছি, ভার্গবfদগের বাস বৰ্ত্তমান ভারতসীমার পশ্চিমে ছিল । বস্তুতঃ পারস্ত পর্যন্ত ভারতের সীমা ছিল । বেলুচিস্তানে সপ্তদশ খ্ৰীষ্ট শতাব্দ পর্যন্ত হিন্দু রাজ ছিলেন । ইহারই পশ্চিম পারে ঔর্ব পবত । কিন্তু প্রাচীন ঋষিরা তাহঁাদের স্বদেশ হইতে একেবারে ইরাণের উক্ত পূর্ব-দক্ষিণ ভাগে আসেন নাই। বোধ হয় প্রথমে ইরাণের পশ্চিমোত্তর ভাগে অবস্থিতি করিয়াছিলেন । সেখান হইতে কাম্প রান হ্রদ অধিক দূরে নয়। এই হ্রদের দক্ষিণে একটি, পশ্চিমে o প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড একটি আগ্নেয়গিরি আছে। দক্ষিণেরটি ঋষিদিগের দৃষ্টিপথে পড়িয়া থাকিতে পারে। কিন্তু সেটি বড়ুব নয়। তাহারা কি যবদ্বীপেই প্রথমে বড়বা দেখিয়াছিলেন ? পারস্তসাগরে বড়বা নাই । পুর্বদিকে মাদাগাস্কার দ্বীপে ছিল, এখন উহ্যর অমুদ্বীপে আছে । লোহিতসাগরেও ছোট ছোট দ্বীপে ছিল। ঋষিগণ নানা দিগদেশে গিয়াছিলেন । হয়ত সেখানে বড়বা প্রথম দেখিয়াছিলেম ।... বায়ুপুরাণ দেখি । লিখিত আছে । ৩৮ অঃ ), “সুবক্ষ ও শিখী শৈলের অন্তরালে এক বিস্তীর্ণ শিলাতল আছে । উহ। নিত্য তপ্ত মহাঘোর, সুস্পর্শ, রোমহর্ষণ, সর্বপ্রাণীর অগম্য, সুদণরণ। উহার BBBB BBB BBBBBB BBB BB BBBB BBBB BBBB BBB S BB BB BBBB S BBBB BBB DBB BBBS BBBBS ছেন, তিনি লোক-সম্বত ক অনল।" বর্ণনাটি ভৌমাগ্নির। জ্বালামুঠীয় বোধ হয় না। বিশেষতঃ সম্বত ক নাম আছে। সম্বতক অগ্নি, প্রলয়কালীন অগ্নি । এইরূপ সম্বতক মেঘ, প্রলয়কালীন গুলবর্ষী মেঘ । দেশটি কোথায় ? সুবক্ষ ও শিথীশৈলের অন্তরালে । এই দুই পর্বত কোথায় ? কৈলাস পর্বতের পশ্চিম দিকে। কৈলাস কোথায় ? হিমালয়ের পশ্চিমে ও উত্তরে । বোধ হয় বতর্মান নাম পীর পঞ্চাল। কৈলাসের পশ্চিমে বলিলে, পুরাণে পশ্চিম রেখায় বুঝায় না। শিখ, যাহার শিখ, চুড়া আছে। পারস্তের কু ঈ-তফ তন্‌ ত্রিশিথ । কৈলাসের পশ্চিমে আর কোন সুদারুণ অগ্নিস্থান নাই । মহাভারতে লিখিত আছে ( ভীষ্মপর্ব, ৭ অঃ ), “মাল্যবান পর্বতের শিখরদেশে সম্বতক নামক কালান্ত্রি নিরস্তুর দৃষ্ট হইয় থাকে।” কিন্তু মাল্যবান পর্বত কোনটি? এথানে বলা আবশ্বক, এক প্রাচীন কালে তৎকাল-ভাতু পৃথিবী চতুদ্বীপ ও চতুঃসাগর মনে করা হইত। তখন পামীর সামুদেশ মেরু, এবং পরে ইলাবুত হইয়াছিল। ইলাবৃত, চারি পর্বতে বেষ্টিত। মেরুদেশের পশ্চিমের পর্বতটি মাল্যবান। তাক্ষরচাৰ্য্য ইহাকেই মাল্যবান মনে করিয়াছিলেন। তদনুসারে মালাবান দীর্ঘ হইয়া হিন্দুকুশের সহিত মিলিয়। আফগানিস্থান তেদ করিয়া পারস্তের পূর্বসীমা দিয়৷ সাগর-নিকটবতী হইয়াছে। মৎস্তপুরাণ লিথিয়াছেন, ( ১১৩ অঃ ), মালাৰান পর্বত পশ্চিমদিকে সাগর পর্যন্ত গিয়াছে। ইহার পশ্চিমে কেতুমাল দ্বীপ। অতএব পারস্তের আগ্নেয়গিরি। দ্বিতীয় উল্লেথ বড়বার । মৎস্তপুরাণে লিখিত আছে, ৪৬ অঃ } “চক্র, বলাহক, ও মৈনাক শেল আয়ত হইয়া দক্ষিণ-সমুত্রে পড়িয়াচে । চক্র ও মৈনাকের মধ্যে সম্বতক নামে অগ্নি আছে । সে অগ্নি সমুদ্রজল পান করে। ইনি বড়বামুখ শ্ৰীমান ঔৰ্ব ।” এটি বে সমুদ্রপায়ী বড়বানল, তাহা স্পষ্ট আছে। কোথায় ? মৈনাক পৰ্বতের নিকটে । যে সকল পর্বত দীর্ঘ হইয়া সমুদ্রে প্রবিষ্ট, তাহীদের নাম মৈনাক । বড়ব। সমুদ্র-নিমগ্ন অগ্নি নয়, মৈনাকও সমুদ্রনিমগ্ন পর্বত নয়। সমুদ্রনিমগ্ন আগ্নেয়গিরির অগ্ন দৃগার উপরে দেখ যাইবে না। পৌরাণিক বলিতেছেন, কিন্পুরুষ বর্ষের (তিব্বতের ) মহানদী সকল পূর্বদিকে লবণ-সাগরে পড়িয়াছে। তার পর বারটি পর্বতেয় নাম করিয়া বলিতেছেন, এই সকল পর্বত লবণ-সাগরে প্রবিষ্ট হুইয়াছে । এই সকলের একটির বিশেষ নাম মৈনাক। ত্রিপুর, আরাকান, টেনাসির, মালয়, সুমাত্র, বর্ণিও প্রভৃতির পর্বতগুলি দক্ষিণে সমূত্রে প্রবিষ্ট। বোধ হয় মৈনাঙ্কটি আরাকান পর্বত। অার মনে হয়, এখানে আগ্নেয়গিরি ছিল । পূর্বকালে পশ্চিমে আফগানিস্থান ভারতবর্ষের মধ্যে ছিল, তেমনি পূর্বদিকে মালয়দ্বীপ পর্যন্ত ছিল। ইহার পরে ভারতবর্ষের নিকটস্থ ও