পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

登8b* প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ [ ७०* उां★, २ग्न भ७ আমীনা কিছু বলিল না । পিসি বিদ্রপ করিতেছে কি না ভাবিয়া বুঝিতে চেষ্টা করিতে লাগিল । আমীর সাহেব হাসিয়া বলিলেন, “ঠিক বলেছ বোন, ঠিক বলেছ, সে ছেলেমানুষ-সে কি জানে ?” এই ৰলিয়া তিনি বাহিরে যাইয়া গুড়গুড়ি টানিতে লাগিলেন এবং জব্বার সাহেবের সহিত সখিনার বিবাহে কিরূপে উভয়েরই বংশগৌরব অক্ষুন্ন থাকিবে তাঁহাই চিন্তু করিতে লাগিলেন। 3. সাত দিনের মধ্যে বিবাহের কথাবার্তা পাকা হইয়া গেল। দুইটি বড় বংশের সম্মান অটুট থাকিবার এমন বন্দোবস্ত হওয়ায় অভিজাত সম্প্রদায় আনন্দে হর্ষধ্বনি করিয়া উঠিলেন। - xදා অাজ সখিনার বিবাহ । আলোকমালায় সমস্ত গ্রামখানি সুসজ্জিত হইয়াছে । কিন্তু এত আলোকের মধ্যেও একজনের মনের অন্ধকার দূর হয় নাই—সে সখিনা। সখিনার মনে সুখ নাই। ঘরের ও পাড়ার মেয়েদের এত চেষ্টা সত্বেও সে কোনো বস্ত্ৰালঙ্কার পরে নাই । পোষাকও প্রতিদিনের চেয়ে এতটুকু জমকালো নয় । একটা ঘরের এক কোণে বসিয়া সে অবিরত চক্ষু মুছিতেছে। পাত্র আসিয়া বিবাহ-সভা উজ্জল করিয়াছে । তাহার দীর্ঘ পঙ্ক শুশ্রুতে বিবাহ-সভায় যেন আলো ঠিক্রাইয়া পড়িতেছে। অনেকে বলিতেছে, চতুৰ্দ্দশবন্ধীয়: কস্তা সখিনাকে এই পঙ্ক দীর্ঘশ্মশ্রীর আড়ালে বড়ই স্বনদর দেখাইবে । পাত্র মাঝে মাঝে হাসিয়া কথা কহিতেছে— পরিপক্ক শ্মশ্রীর মধ্য হইতে তাহার শুভ্র দস্তরাজির ছটা বাস্তবিকই দর্শকগণের মন মুগ্ধ করিতেছে । দেন-মোহর ধার্য্য করিবার সময় বড় গণ্ডগোল লাগিয়া গেল । আমীর সাহেব জিদ ধরিলেন যে পঞ্চাশ হাজার টাকার কমে কখনও তাহার বংশে দেন-মোহর ধার্ঘ্য হয় নাই । তাহার মায়ের ষাট হাজার টাকা দেন-মোহর ধার্ঘ্য হইয়াছিল এবং তাহার এক কন্যার পঞ্চাশ হাজার টাকা হইয়াছে। পাত্ৰ কহিলেন যে, তাহার পূর্বপুরুষদের মধ্যে কখনও ত্রিশ হাজার টাকার অধিক দেন-মোহর হয় নাই, স্বতরাং তিনি ত্রিশ হাজার টাকার অধিক দেন-মোহরে সম্ম ত হইতে পারেন না । শেষে উভয়পক্ষের একজন মুরুরী চল্লিশ হাজার টাকা দেন-মোহরে উভয়পক্ষকে স্বীকার করাইলেন । দেন-মোহরের অৰ্দ্ধেক টাকা বস্ত্রীলঙ্কারে আদায় হষ্টল এবং বাকী অৰ্দ্ধেক টাকা কন্যার ইচ্ছামত দিতে হইবে । দেশপ্রথা এবং মুসলমান শাস্ত্র মত বিবাহের পূৰ্ব্বে বিবাহে কন্যার এজেন্‌ বা সম্মতি লইতে হয়। এজেন লইবার জন্য একজন উকীল এবং দুইজন সাক্ষী আসিয়া উপস্থিত হইল । কন্যার নিকট আত্মীয়ের মধ্যে কোনো উকীলও সাক্ষী হন । এ ক্ষেত্রেও তাহাই হইয়াছে। কন্যার মাতুল উকীল এবং কন্যার দুইজন খুল্লতাত সাক্ষী হইয়াছেন। পাত্রী বিবাহের বস্ত্রীলঙ্কার কিছুই পরে নাই শুনিয়া উকীল সাহেব বলিলেন, “পাত্রী বস্ত্রীলঙ্কার না পড়ুক, তাহাতে ক্ষতি নাই। চোখের জল ফেলুক, তাহাতেই বা কি ক্ষতি ? কেবল আমার প্রস্তাবের উত্তরে একটা হু দিকৃ।” পাত্রী নিরুত্তর । সুস্পষ্ট ভাষায় দুইবার তাহার নিকট বিবাহের প্রস্তাব করা হইল, কিন্তু সে একবারও উত্তর দিল না । রমণীদের মধ্যে র্যাহারা গৃহিণী ছিলেন. র্তাহারা বলিলেন, “মুখে হু নাই বলুক, একটা পান দিলেই সম্মতি দেওয়া হইবে । যাহারা মুখে হু বলে না, তাহার একটা পান দিলেই সন্মতি ধরিয়া লণ্ডয়া হয় । উকীল সাহেব তাহাতে মত দিলেন । তিনি বলিলেন, “তাই হোক, একটা পান দিলেই আমি এজেন দেওয়া ধরিয়া লইব ।” কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না । কেহ কন্যাকে পান দেওয়াইতে পারিলেন না । তখন উকীল সাহেব বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “আমি এই শেষবার প্রস্তাব করিতেছি । এবার উত্তর না পাইলে বিবাহ-সভায় কাজী সাহেবের নিকট ধাইয়া বলিব, “পাত্রী এজেন দেয় নাই ।” উকীল সাহেব তৃতীয়বার আব্দুল জব্বার সাহেবের সহিত সখিন