পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&&&)

    • "جحم۔--سمصیبی۔۔۔ یہ قصبہ

উঠেছে, আশা-আকাজার আর অন্ত নেই-কিন্তু কোথায় সেই অদ্বিতীয় বস্তু যা সমস্তকে উজ্জ্বল করে, সহজ করে— কোথায় সেই খুশী যা সব কিছুকেই অপ্রয়োজনীয় করে তোলে, আবার সব-অপ্রয়োজনীয়কেই অর্থপূর্ণ করে তোলে—কোথায় সেই খুশী হবার সহজ সামর্থ্য যা মানুষের বহির্জগতের সঙ্গে তার অন্তর্জগতের ধোগ রক্ষা ক'রে ক'রে চলে ? ঐ একমাত্র বস্তু যা মানুষকে বিদ্রোহী ক'রে তোলে না এই স্বষ্টির বিরুদ্ধে, যার গুণে “মায়াময়মিদং অখিলং” ; মামুষের চোখে স্বন্দর লাগে—যা মানুষের মনকে সরস রাখে—প্রাণকে সজীব করে! আজি জীবনের উপকরণ দশ গুণ, শত গুণ, হাজার গুণ বেড়ে গেছে, কিন্তু সেই বস্তুর সাক্ষাৎ দিনান্তে আর একবারও মেলে না । কিন্তু আক্ষেপ করে লাভ নেই। মানুষের বৃহত্তর জীবনের দিক থেকেও দেখি যে তার সভ্যতা তার মনের মুখশান্তিকে বিসর্জন দিতে চলেছে। যে মুখ, যে শান্তি আদিম মানুষের জীবনে অতি সহজ, অতি সত্য ছিল, আজ আর আমরা তার দেখা সহজে পেতে পারি নে। কিন্তু আদমের স্বর্গ থেকে পতন হয়েছিল বলেই মানুষ আপনার পূর্ণ পরিচয় পেল । সে যা হোক, সেই পাঠশালে যখন শুভঙ্করীর “কুড় বা কুডুবা কুডুবা লিজে, কাঠায় কুড়বা কাঠায় লিজে” মুখস্থ করতুম তখন “নবপাঠ" না “চারুপাঠ” ন-কি এমুনি একট পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিলাম একটি গল্প— ঘে-গল্পের ব্যাপারটা ছিল উদরের সঙ্গে হাত প। ইন্দ্রিয়াদির ঝগড়া। হাত পা ইত্যাদির অভিযোগ ছিল এই যে, তারা সবাই খেটে থেটে মরূবে আর পেটট বসে বসে থ বে এ কিছুতেই হতে পারে না। মৃতরাং তার করল ধৰ্ম্মঘট উদরকে জব্দ করবার জন্তে । এই ধৰ্ম্মঘটের শেষ ফল যে কি হয়েছিল তা নিশ্চয়ই আজ আর তোমাকে বুঝিয়ে বল্বার প্রয়োজন নেই। ছেলেবেলায় যা পাঠ্যপুস্তকে পড়া গেছে আঞ্জ জীবননাট্যে তারই অভিনয় দেখছি। তবে এ ঝগড় উদরের সঙ্গে হাত পা ইত্যাদির নয়- এ ঋগড় হচ্ছে মাথার সঙ্গে হাতের। শোনা যাচ্ছে মাহুষের { ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড মাথাটা ন-কি অতিরিক্ত বিলাসী । সে না-কি দিব্যি কেশকলাপে কেশরঞ্জন তৈল মেখে বসে থাকে, আর কি সব নানা সম্ভব অসম্ভব খোয়াব দেখে — যার সঙ্গে চলি ডাল তেল কুন ইত্যাদি জীবনের মহাপ্রয়োজনীয় বস্তুপুঞ্জের কোন সম্বন্ধই খুজে বের করা যায় না । সুতরাং ওটাকে অর্থাৎ মাথাটাকে সায়েস্তা করা দরকার । মাথাটা যে এমন খোসথেয়ালী বিলাসী হয়ে উঠল, তার প্রধান কারণ হচ্ছে তাকে প্রাধান্ত দেওয়া ও প্রচুর অবসর দেওয়া । তাই হাত আজ বলছে— হে মাথা, আমি তোমার প্রাধান্ত আর স্বীকার করব না এবং তুমি যাতে আর তেমন অবসর না পাও তার ব্যবস্থাও আমাকে করতে হবে । মানুষের দেহে তোমার বৃদ্ধি আকাশের দিকে এবং আমার বৃদ্ধি মাটির দিকে বটে—কিন্তু মাটিই ত বাস্তব, মাটিই ত মামুষের কল্যাণের, মাটিই ত মাতুষকে স্নিগ্ধ শু্যামল স্নেহ দিয়ে ঘিরে আছে—তারপর হাতের যদি কবিত্ব এসে যায় তবে হয়ত বলে— “মাটি গো মাটি পথের মাটি, প্রাণের মাটিরে দেহের ক্ষুধা মিটাও তুমি, বাধ গে৷ পাটিরে” তারপর সবার শেষ সিদ্ধান্ত ক’রে হাত বলে—হে মাথ, আমি তোমার চাইতে শ্রেষ্ঠ । বলা বাহুল্য, এ ঝগড়া হচ্ছে মানুষের জ্ঞানকাণ্ডের সঙ্গে মানুষের কৰ্ম্মকাণ্ডের—এ ঝগড়া হচ্ছে ব্রাহ্মণের সঙ্গে শূদ্রের | কিন্তু জ্ঞানকে বাদ দিলে যে কৰ্ম্মের অস্তিত্ব পর্য্যন্ত লোপ পাবে, ব্রাহ্মণের অভাব হ’লে যে সমাজের সম্পদ ও স্বাস্থ্যের কথা দূরে থাক, তার জীবন রক্ষা করাই দুরূহ হয়ে উঠবে, এটা আজকার দিনে এমনি একটা সহজবোধ্য ও প্রত্যক্ষ দৃষ্ট সত্য যে,এ নিয়ে তোমার কাছে লম্ব বকৃত দেওয়া আসলে তোমার বুদ্ধির উপরই কটাক্ষ করা হবে । অবশু জামি এখানে পৈতেধারী ব্রাহ্মণের কথা বলছি না, বলছি গুণ-কৰ্ম্মে ব্রাহ্মণের কথা। অথচ রাজনৈতিক রেষারেষিতে বুদ্ধির পাঠটি জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো কোনো গণতান্ত্রিক পাণ্ডা ঐ সহজবোধ্য ও প্রত্যক্ষদৃষ্ট সত্যটিকে আজ বলছে ঘোড়ার ডিম! w