পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჭა8 প্রবাসী—মাঘ , లిరిగి ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড ക്ഷസ്സ്.സ~~ কিছুট। রসের চচ্চর্ণ অার কাব্যলেখককে করিতে হবে করে। নতুবা উভয়ের জীবনই অপূর্ণ থেকে যাবে। বলহীন কৰ্ম্ম আর কৰ্ম্মহীন রস উভয়েই একলাটি জগতে সত্যিকারের কিছু স্বষ্টি করতে পারে না । অবশ্ব এখানে . আমি মাঝারি গোছের লোকের—mediocre-দের কথাই বলছি। রবীন্দ্রনাথকে বীণা ছেড়ে চরখা, আর গান্ধীকে চরখা ছেড়ে বীণা ধরতে বলার বাতুলতা আমার নেই। 8 অপ্রাসঙ্গিক হলেও এখানে আর একটা কথা বলা আবশ্বক মনে করছি, আশা করি অন্যায় হবে না। আমাদের পুরনারীগণ হয়ত এই রসচর্চার ক্ষেত্রে আমাদিগকে অনেকটা সহায়তা করতে পারেন । কি ভাবে তাই বলছি । র্তারা যদি প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের বেশ-ভূষার সামঞ্জস্য স্থাপন ক’রে চলতে পারেন, তা হ’লে হয়ত আমাদের জীবনে একটা নতুন শ্ৰী, নতুন আনন্দের আবির্ভাব হবে, তাদের হ’তে হ’বে বর্ষা শরৎ বসন্ত প্রভৃতি ঋতুর প্রতীক। কেন-না, তা হ’লেই আমাদের কৰ্ম্মষ্যস্ত জীবনে ঋতুর পরিবর্তনটা স্পষ্ট অনুভূত হবে, শুধু পঞ্জিকার পাতেই তারা আসা-যাওয়া করবে না, তাই বসন্তে নৃত্য করুক পুরবধূদের বাসষ্ঠী রঙের ওড়না, বর্যায় ঘন নীলাম্বরী ঘনমেঘের নীলাঞ্জন বুলিয়ে দিক আমাদের চক্ষে, শরতে আসমানী বস্ত্রাঞ্চল ডেকে আমুক মেঘমুক্ত নীলাকাশের কানাকানি ।– “ওগে আমার হৃদয় যেন সন্ধ্যারই আকাশ, রঙের নেশায় মেটে না তার আশ, তাইতে বসন রাঙিয়ে পরি কখনো বা ধানী কখনে। জাফরাণী” —রবীন্দ্রনাথ কবির এই উক্তি আজ তাদের জীবনে সত্য হয়ে উঠুক ; তবেই জীবন মাধুৰ্য্যময় হ’য়ে উঠবে। যে ভাবেই হোক, আজ আমাদের জীবনে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন করতেই হবে। কেন না সামঞ্জস্তই সৌন্দর্ঘ্য জার জীবনrক শুন্দর ক’রে তোলাই হ’ল মাছুষের সমস্ত কৰ্ম্মের লক্ষ্য । ঋতু উৎসবও হয়ত আমাদিগকে এক্ষেত্রে অনেকটা সহায়তা করতে পারে। আমার কোন ইকনমিষ্ট বন্ধু হয়ত এসব কথায় আঁতকে উঠে বলবেন, - বল্ছ কি, এই দৈন্তভুর্দশাগ্রস্ত মুসলমান সমাজে বিলাসিতার প্রবর্তন করতে চাও তুমি ? কিন্তু আমি যে বিলাসিতার কথা বলছি তা . আসলে মোটেই বিলাসিত নয় ; আর হলেও খুব ব্যয়সাপেক্ষ নয়। বরং অলঙ্কারের প্রাচুর্য্য কমিয়ে তা আমাদের ব্যয়বাহুলাই দূর করবে। তা ছাড়, একটু বিলাসের আমেজ যে মানুষের কৰ্ম্মদক্ষভাই বাড়িয়ে তোলে, আশা করি এই সহজ সত্যটিও প্রমাণ করতে আমাদিগকে যুক্তি ও তর্কের উজান ঠেলে যেতে হবে না ; অন্ততঃ অর্থশাস্ত্রের সাধারণ জ্ঞানটুকু র্যাদের আছে তাদের থেকে আমদের এইটুকু আশা করা উচিত। অর্থহীনতাই আমাদের সৌন্দর্য্যহীনতার কারণ, আর অর্থের স্পর্শেই রূপকথার রাজকুমারীর মত তা হঠাৎ আমাদের জীবনে জাগ্রত হরে উঠবে, অনেকের এই ধারণাটি কত নিরর্থক, আমাদের ধনী ব্যক্তিদের বাড়ীর খোজ নিলে তা সহজে হৃদয়ঙ্গম করা যায় । সেখানে প্রাচুধ্যের মধ্যেও দেখতে পাওয়া যার—একট শ্ৰীহীনতা আর অসামঞ্জস্য । দৈন্তের দৈন্ত আনয়ন করলেই যে আমাদের জীবনে শ্ৰী ফুটে উঠষে, এই আশা বৃথা । বাইরের ঐশ্বর্ঘ্যের সাহায্যে অন্তরে আনন্দ হুষ্টি করবার চেষ্টা, ঘোড়ার আগে গাড়ী সাজানোর মতই নিরর্থক। আর আমি যা বলছি ত ধনী-নিধন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নিৰ্ব্বিশেষে সকলের জষ্ঠ অবশুপালনীয় ফতোয় নয়। শিক্ষা ও অর্থসঙ্গতি আছে যাদের, তাদের জীবনের ঐহীনতা দূর করবার উদ্দেশ্যই আমার এত কথা । 蒙 আর একটা অতি-প্রয়োজনীয় কথা না ব’লে আমার প্রবন্ধ সমাপ্ত করতে পারছিনে। जन्नैौrङब्र w* दाउँौङ श्रांभाद्वग्न छौदन श्मब्र क'(* তোলা অসম্ভব। রস-পিপাসা মানবমনের একটা