পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—সকল প্রদেশ AAAMMJJ MMAAAS SSAAAASA SSASAMMAMAAA AAAASAAAASJBSA SAAJSAAAA হ্রাস ও বৃদ্ধি হইয়াছে । এমনও হইয়াছে, যে, আগে যে প্রদেশ বা জাতি হইতে সিপাহী লওয়া হইত, এথন তাহা হইতে মোটেই লওয়া হয় না । এই যে কোন কোন প্রদেশ ধৰ্ম্ম সম্প্রদায় ও জাতি হইতে সিপাহী আগেকার চেয়ে কম বা বেশী লওয়া কিংবা স্থলবিশেষে একেবারেই না লওয়া, ইহা সেই সেই প্রদেশের সম্প্রদায়ের ও জাতির যুদ্ধে পটুতা, অপটুতা বা পূর্ণ অযোগ্যতা অনুসারে নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই, পরস্তু ইংরেজ-সরকারের রাজনৈতিক প্রয়োজন অনুসারে নিদ্ধারিত হইয়াছে। স্বতরাং বৰ্ত্তমান সময়ে যে-ষে প্রদেশ ধৰ্ম্মসম্প্রদায় এবং জাতির সিপাহী ভারতীয় সৈন্যদলে বেশী তাহারাই সকলের চেয়ে ভাল ষোদ্ধা, যাহাদের সিপাহী কম তাহারা নিকৃষ্ট যোদ্ধা, এবং যে-যে প্রদেশ বা জাতির সিপাহী নাই তাহারা একেবারেই যুদ্ধ করিতে অক্ষম, এরূপ বলিবার জো নাই । অতএব, সিপাহীদিগকে যদি ভোট দিবার অধিকার দিতে হয়, তাহা হইলে এইরূপ নিয়ম করা উচিত, যে, ভারতবর্যের প্রত্যেক প্রদেশ ও ধৰ্ম্মসম্প্রদায় হইতে তাহাদের লোকসংখ্যার অনুপাতে সিপাহী সংগ্ৰহ করিতে হইবে । তাহ না করিলে, সিপাহীদিগকে ভোটাধিকার দেওয়ার মানে হইবে, সামরিক বিভাগের কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা অনুসারে কোন কোন প্রদেশ, ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ও জাতিকে বেশী বা কম ভোটাধিকার দেওয়া, এবং এই উপায়ে রাষ্ট্রীয় কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহে তাহাদের প্রভাব কৃত্রিম উপায়ে বৃদ্ধি বা হ্রাস । সকলেই জানেন, এক এক প্রদেশে যেমন যেমন শিক্ষার বিস্তার হইয়াছে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে সেখান হইতে সিপাহী-সংগ্রহ কমান বা বন্ধ করা হইয়াছে, এবং শিক্ষায় অনগ্রসর অঞ্চল সকল হইতে সিপাহী সংগ্রহ বাড়ান হইয়াছে। অতএব সিপাহীদিগকে ভোটের অধিকার দেওয়ার মানে কাৰ্য্যতঃ হইবে, শিক্ষায় অনগ্রসর অঞ্চলের লোকদিগকে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে প্রভাবশালী করা । শিক্ষায় অনগ্রসর লোকের ইংরেজদের প্রভুত্বে বাধা দেয় না । সুতরাং এরূপ ব্যবস্থ। তাহদের পক্ষে সুবিধাজনক হইতে পারে, কিন্তু ভারতবর্ষের পক্ষে ভাল নয়। হইতে সিপাহী লওয়া উচিত ©ᏄᎼ AMSJJJSJJAMAMMA AMAAA AAAA AAASS সকল প্রদেশ হইতে সিপাহী লওয়া উচিত অন্যান্য কারণে ও সকল প্রদেশ হইতে সৈন্য সংগ্ৰহ করা উচিত । বহিঃশত্রুর আক্রমণ হইতে দেশরক্ষা এবং দেশের আভ্যন্তরীণ শান্তিরক্ষার ভার দেশের সকল প্রদেশের ও শ্রেণীরই উপর থাকা উচিত । তাহা না থাকিলে কোন কোন প্রদেশ ও শ্রেণীর একটা অকারণ অহঙ্কার ও প্রাধান্ত জন্মে এবং অন্যান্য প্রদেশ ও শ্রেণীকে লাঞ্ছিত করিবার সুযোগ করিয়া দেওয়া হয় । বস্তুত: ভারতবর্ষের সৈন্যদলে যে সকল প্রদেশের যথেষ্টসংখ্যক সিপাহী নাই, ইহা সাইমন রিপোর্টে ভারতবর্ষকে স্বশাসন ক্ষমতা না-দিবার একটা কারণ বলিয়া লিখিত হইয়াছে। অথচ, এরূপ অবস্থার জন্য প্রধানতঃ ইংরেজসরকারই দায়ী । র্যাহার এই কথার প্রমাণ চান এবং ভারতীয় সেনাদলের সিপাহী সংগ্রহ বিষয়ক অন্যান্ত বিষয়ের আলোচনা দেখিতে চান, র্তাহার। ১৯৩০ সালের ‘মডার্ণ রিভিউ পত্রিকার জুলাই ও সেপ্টেম্বর সংখ্যা এবং ১৯৩১ সালের জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় তাহ। দেখিতে পাইবেন । যুদ্ধ করিয়া মানুষ মারিবার প্রবৃত্তি আমাদের নাই । কিন্তু মানব সভ্যতার বর্তমান অবস্থায় সব জাতির ন্যায় ভারতবর্ষেরও বহিঃশত্রু আছে । অধিকন্তু ভারতবর্যের অন্তঃশত্রুও আছে । শক্র দ্বারা আক্রাস্ত হইলে, বাধা না-দিয়া আত্মসমর্পণ করিতে ভারতীয়ের সম্মত হইবে না। সেই জন্য তাহীদের যুদ্ধ শিখিয়া রাখা দরকার। কোন জাতি যদি যুদ্ধ করিতে না চায়, তাহা হইলেও যুদ্ধ-শিক্ষায় কিছু উপকার আছে । ইহাতে নিয়মামুগত্য, স্বশৃঙ্খল জীবনযাপনের অভ্যাস, দেহ ও পরিচ্ছদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবার অভ্যাস, যথন-তখন মৃত্যুর সম্মুখীন হইবার অভ্যাস ইত্যাদি জন্মে। যুদ্ধশিক্ষার মন্দ দিকৃও আছে। তাহা এখানে দেখাইতেছি না। তাহ নিরাকৃত করা যায় । উপরে লিখিত কারণসমূহের জন্ত ভারতবর্ষের সব প্রদেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক লোককে যুদ্ধ শিখিবার স্বযোগ দেওয়া উচিত ।