পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] --l-ഹ------------------ প্রতিনিধিরা আসিয়াছিলেন। সম্মিলনের কাজ স্বনিৰ্ব্বাহিত হইয়াছিল। সভাপতির অভিভাষণ বিপদ ও উপদেশপূর্ণ হইয়াছিল । গত বৎসরের কৰ্ম্মচারীর পুননিৰ্ব্বাচিত হন, এবং অধ্যক্ষ সমিতিতে সামান্ত কিছু পরিবর্তন করা হয়। রায় বাহাদুর খগেন্দ্রনাথ মিত্র সাহিত্য বিভাগের সভাপতি হন । বাংলা সাহিত্যের গতি কোন দিকে, এই বিষয়ে তিনি বক্তৃতা করিয়াছিলেন, এবং তাহ। अानूउ হইয়াছিল। এই বিভাগে অনেকগুলি ভাল কবিতা ও প্রবন্ধ পঠিত হয় । কলিকাতা বিজ্ঞান কলেজের অধ্যাপক ডক্টর শিশিরকুমার মিত্র বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। তাহার অভিভাষণ হইতে নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা যায় । সংঙ্গত বিভাগের সভাপতি এলাহাবাদের শ্ৰীযুক্ত হরিনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের, এবং বাঙালীর কালচার বা কষ্ট বিভাগের সভাপতির অভিভাষণ দুটিও শ্রোতাদের ভাল লাগিয়াছিল। স্থানীয় অভ্যর্থনা কমিটি আগ্রার ও তৎসন্নিহিত ঐতিহাসিক স্থানসমূহের দ্রষ্টব্য দুর্গ ইমারত আদি দেখাইবার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। স্যার যদুনাথ সরকার আগ্রার দুর্গ দেখাইবার ভার গ্রহণ করেম। অক্লান্ত ধৈৰ্য্যের সহিত তিনি পূর। চারি ঘণ্টা ধরিয়া মোগল বাদশাহদের প্রাসাদ এবং দুর্গ সম্বন্ধে চিত্তাকর্ষক নানা ঘটনা ও আখ্যায়িক যথাস্থানে বিবৃত করেন। প্রতিনিধিগণ তজ্জন্য বাস্তবিকই তাহার নিকট ঋণী । মুসুিম লীগের অধিবেশন এলাহাবাদে বিখ্যাত কবি স্যার মুহম্মদ ইকবালের সভাপতিত্বে নিখিল-ভারতীয় মুস্লিম লীগের অধিবেশন ধধ | তাহার অভিভাষণে তিনি বলেন, যে, ভারতবর্ষকে এক বলিয়া ধরিয়া লইয়া অথবা ব্রিটিশ গণতান্ত্রিক মতের এভাবের বশবর্তী হইয়া, এই দেশের শাসনবিধি প্রণয়ন ግጳ÷›ፃ বিবিধ প্রসঙ্গ—মুস্লিম লীগের অধিবেশন ૯૧૭ AMMMAMMMAMMAAAASASASS করিলে, অজ্ঞাতসারে দেশকে অস্তযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হইবে। পঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমাস্ত প্রদেশ, সিন্ধুদেশ ও বালুচিস্তানকে একত্র করিয়া তিনি একটি মুসলমান রাষ্ট্র গঠনের দাবি করেন। তাহার বক্তৃতায় অনেকের এই ধারণা হইয়াছে, যে, লগুনে গোল-টেবিল বৈঠকের মুসলমান সভ্যেরা যে জিন্নার চোঁদ দফা দাবি ধরিয়া বসিয়া আছেন, এবং বঙ্গের মিঃ ফজলুল হক যে বঙ্গে মুসলমানদের জন্য ডমিনেট করিবার অর্থাৎ প্রভুত্ব করিবার বন্দোবস্ত চান, তাহার নিগুঢ় রহস্য স্যার মুহম্মদ ইকবাল ভাঙিয়া বলিয়া দিয়াছেন। অর্থাৎ ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিমদিকে একটি বড় মুস্লিম রাষ্ট্র এবং উত্তর-পূৰ্ব্বদিকে অন্য একটি বড় মুস্লিম রাষ্ট্র (বঙ্গ) সাম্প্রদায়িক প্রভুত্বাভিলাষী মুসলমানের চান। এই ধারণা সত্য কিনা, কেমন করিয়া বলিব ? কিন্তু সত্য বলিয়া সন্দেহ করিবার যথেষ্ট কারণ স্যার মুহম্মদ ইকবালের বক্তৃতায় এবং মিঃ ফজলুল হকের চিঠি ও তদুত্তরে তাহার বন্ধুদের টেলিগ্রামে পাওয়া যায়। অবশ্ব সকল মুসলমানের এইরূপ উদ্দেশু আছে বলিলে অনায় কথা বলা হইবে । অনেক মুসলমান হিন্দু সত্যাগ্রহীদের সমান স্বাৰ্থত্যাগ ও দুঃখভোগ করিতেছেন, এবং যাহার। সত্যাগ্রহ করেন নাই এমন অনেক প্রসিদ্ধ মুসলমান আলাদা নিৰ্বাচন না চাহিয়া সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচন চাহিতেছেন ও কেহ কেহ স্তার মুহম্মদ ইক্বালের বক্তৃতার তীব্র প্রতিবাদ করিতেছেন । “নিখিল-ভারতীয় মুস্লিম লীগ” নামটা শুনিলেই মনে হয়, কি এক বিরাট ব্যাপার । কিন্তু যত জন সভ্য উপস্থিত না থাকিলে সভার কাজ চলিতে পারে না, তত জন সভ্যও মুস্লিম লীগের এই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না। লীগের এই সংখ্যা বা ‘কোরাম পচাত্তর জন । এই ক’টি লোকও উপস্থিত ছিলেন না। অথচ তাহ। সত্ত্বেও সভার কাজ চালান হইয়াছিল, এবং জিন্নার চৌদ্দ দফা দাবিও সমর্থিত হইয়াছিল। বিলাতে নিশ্চয়ই টেলিগ্রাম গিয়াছে, যে, লিখিল-ভণন্ত্রভাক্স মুন্নিম লীগ এই দাবি সমর্থন করেন। ভাহা পড়িয়া লোকে ভাবিযে, অনেক কোটি মুসলমান এই দাবির পশ্চাতে