পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । বিবিধ প্রসঙ্গ—মুসলমানের সকলে পৃথক নিৰ্বাচিত প্রতিনিধি চান না --TarunnoBot (আলাপ) ১৭:০৪, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) --محصحمہینہ مہدی ۔تمہسی۔بی۔......_ «ፋ S আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথের অভ্যর্থনা ও চিত্র প্রদর্শনী আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথের অভ্যর্থনা বিষয়িণী একটি সচিত্র ও স্বমুদ্রিত পুস্তিক এবং তথায় তাহার চিত্র প্রদর্শনী সম্বন্ধে অন্য একটি স্বন্দর সচিত্র পুস্তিক পাইয়াছি। অভ্যর্থমার পুস্তিকাটির মলাটের প্রথম পৃষ্ঠায় সোনালী কালিতে মান্দ্রাজ অঞ্চলে প্রচলিত নৃত্যপরায়ণ নটরাজশিবের মূৰ্ত্তির ছবি মুদ্রিত আছে। প্রবাসীর বর্তমান সংখ্যার গোড়ায় যে কবিতাটি আছে, তাহার ইংরেজী অনুবাদ কবির হস্তাক্ষরে পুস্তিকার মলাটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় আছে, এবং তৃতীয় পৃষ্ঠায়ু কবির হস্তক্ষেরে বাংলা কবিতাটির প্রতিলিপি আছে । ঐ কবিতাটি আমরা পেটমের প্রবাসীতে প্রকাশিত “প্রাণলক্ষ্মী” কবিতাটির সঙ্গে এক মোড়কে পাষ্টয়াছিলাম । পুস্তিকাটির ভিতরে রবীন্দ্রনাথের চেহারার একটি পেন্সিলে তাক ছবির প্রতিলিপি, অভ্যর্থনা কমিটির স ভাদিগের নাম, বিশ্বভারতীর উদ্দেশ্য ও আদর্শ সম্বন্ধে কবির একটি ইংরেজী লেখা এবং শান্তিনিকেতনের চারিটি ছবি আছে । চিত্র প্রদর্শনীর পুস্তিকাটিতে কবির একটি আধুনিক ফোটোগ্রাফের প্রতিলিপি, ডক্টর আনন্দ কে কুমারস্বামীর লেখা ভূমিক, কবির আঁকা চারিটি ছবির প্রতিলিপি, এবং “চিত্রের ভাষা” সম্বন্ধে তাহার একটি ছোট ইংরেজী লেখা আছে । মুসলমানের সকলে পৃথক নির্বাচিত প্রতিনিধি চান না গবন্মেন্টের বাছাই করা যে কয়জন মুসলমান তথকথিত গোলটেবিল বৈঠকের সভ্য হইয়া গিয়াছেন, তাহার ভারতবর্ষের সমগ্র মুসলমান সমাজের প্রতিনিধিত্ব দাবি করিয়া ইংরেজদিগকে ও তাহাদের খবরের কাগজ ও সভার বেতার টেলিগ্রাফ দ্বারা জগদ্বাসীকে জানাইতেছেন, যে, ভারতীয় মুসলমানরা সকলেই কেবলমাত্র মুসলমান ভোটদাতাদের দ্বারা নিৰ্ব্বাচিত মুসলমান প্রতিনিধি চান ; অন্য কোন প্রকার নির্বাচনে তাহার রাজী হইবেন না। কিন্তু যে-সকল মুসলমান সত্যাগ্রহে যোগ দিয়াছেন, বলা বাহুল্য র্তাহারা পৃথক নিৰ্ব্বাচন চান না । তাহাদের মধ্যে আব্বাস তৈয়বজী, ডাক্তার আনসারী, প্রভৃতি বিখ্যাত লোক আছেন। তদ্ভিন্ন, বড়লাটের শাসন পরিষদের ভূতপূৰ্ব্ব সদস্য স্যার আলী ইমাম, ভূতপূৰ্ব্ব হাইকোর্ট জজ সৈয়দ হাসান ইমাম, মামুদাবাদের মুসলমান মহারাজা, মৌলবী মুজিবর রহমান প্রভৃতি নেতারা পৃথক নিৰ্বাচনের বিরুদ্ধে বিলাতে তার করিয়াছেন। স্যার মুহম্মদ শফী প্রভৃতি পার্থক্যাভিলাষীদের মধ্যে কেহই বিদ্যাবুদ্ধি, সামাজিক পদমর্যপদ বা উচ্চ রাজকাৰ্য্য করা বিষয়ে ইহঁাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নহেন । ইহঁাদের মতে পৃথকনিৰ্ব্বাচন অমঙ্গলকর ও তাহার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা উচিত। বৰ্দ্ধমান মিউনিসি পলিটির চেয়ারম্যান ও বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার ভূতপূৰ্ব্ব সভ্য মৌলবী মুহম্মদ য়াসীন প্রমূখ কয়েক জন বাঙালী মুসলমান গোলটেবিলের মুসলমান সভাদের প্রতিনিধিত্ব স্বীকার করেন নাই এবং তঁহাদের কথার প্রতিবাদ করিয়াছেন। বাঙালী মুসলমান মহিলাদের সভার শ্ৰীমতী সোফিয়া খাতুন প্রমুখ প্রায় আশী জন সভ্য পৃথক নিৰ্ব্বাচনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রক্তিবাদ করিয়াছেন। পঞ্জাবের একদল মুসলমানের পক্ষ হইতেও এইরূপ প্রতিবাদ বিলাতে গিয়াছে। আসাম হইতে শ্ৰীষ্টট জেলার জমাদার এবং তথাকার আঞ্জুমানের সভাপতি খ। বাহাদুর এক্লিম-উর-রাজা পৃথক নিৰ্ব্বাচনের বিরুদ্ধে এবং সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচনের পক্ষে ভারতসচিবকে টেলিগ্ৰাফ করিয়াছেন। মান্দ্রাজ হইতেও এইরূপ প্রতিবাদ গিয়াছে । পৃথক-নিৰ্ব্বাচন সম্বন্ধে গোলটেবিল বৈঠকের মুসলমান সভ্যদের ও ভারতবর্ষের কোন কোন মুসলমানের দৃঢ়তার কারণ সম্বন্ধে নানা গুজব খবরের কাগজে বাহির হইয়াছে। গুজবগুলা বাদ দিলেও একটা কারণ স্বম্পষ্ট। যাহারা মিঃ জিন্নার পৃথক নির্বাচন প্রভৃতি ১৪ দফা দাবির সমর্থন করেন, তাহারা জানেন, হিন্দুদের মধ্যে স্বাধীনতাপ্রিয় দল যে-কোন সদুপায়ে হউক, যে-প্রকার স্বাৰ্থত্যাগ এবং দুঃখভোগ দ্বারাই হউক,