পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] সঙ্গে রাখা একদম সেফ ( স্থবিধে ) নয়,—তা বলচি । ওকে সরাও,-কাল ছ-ছ খানা ডালপুরী আর এক থাবা জ্যাস্তে কুষ্মগু-ঘণ্ট মেরেছে । মরবে নিশ্চয়ই । তার পর ভবিষ্যৎ বিভীষিকাটা ভাবো। মণিহার। মণিপিসির ফোসফোসানির ঠ্যালায় মেস ছাড়তে হবে—দেখে নিও ! কিন্তু অমন মেলও আর জুটবে না। বৃহস্পতি একাদশে ভর না করলে আমন স্বঘর মেলে না ; -সাত মাসে সাড়ে তিন টাকা—আর তাগাদ-পিছু এক কাপ চ পেয়ে, কোন বেটা বুদ্ধিমান থাকতে দেবে বল তো !” ‘হিয়ার, হিয়ারে’র পর অভয় থামলে । সে-কথায় কান না দিয়ে মনিন তার বা-হাতট। লম্বা ক’রে দিয়ে, ডান হাতের চেটোটা চিৎ ক’রে ধরলে । বললে, “এটা সোমবার নয়, শনিবারও নয়—তাঞ্জা কিউকম্বার আর এই মাতৃভূমিজ পবিত্র লবণ । বুঝলে না ? ফুট-সণ্ট চালাচ্ছি! তোমাদের Eno-র নয়—খোদ মেনোর ; আহার ওষুধ ছ-ই। কনেকটিকট, পড়লেই হয় না, কলেক্ট করে মুখস্থ করতে হয়।” ( সঙ্গে সঙ্গে শশায় কামড় । ) - সকলে ব্রেভো দিয়ে অভয়ের দিকে চাইলে । অভয় পরাজয় স্বীকার করবার পাত্র নয়, বললে, “অকস্মাৎ যখন এত বড়, সত্যিই ও চললে। ওদের ওট হেরিডিটারি। আমাদের গ্রামেই ওদের বাড়ী,— ওরা তিন-পুরুষ তীথে" মরে আসছে। ওর জ্যেঠা চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে পড়ে চুরমার ! খুড়ো ত্রিবেণীসঙ্গমে এমন ডুব মারলেন, যে আর উঠলেন না। মাতুল ছিলেন পরম বৈষ্ণব, তাকে শ্ৰীবৃন্দাবনে বঁাদরে বিত্র রকম কামড়ে বৈকুণ্ঠে দিয়েছে । ওই বলুক, সত্যি কি না। ও এখনও যখন রয়েছে—নম্ন চুনারে চল, নয় ওর পপ ছাড় । এখানে থাকলে নিদেন ওকে ষাড়ে নেবে। দেখে সিও... মনিন বাধা দিয়ে বললে, “অভয়দা মাভৈঃ, সেী-দিন চল গিয়া। জানেন তো, গাড়ুই ছিল ষার অবয়বের অভিন্ন একাংশ, আজ তিন দিন তার অশৌচ ৷” ইতিমধ্যে দুটি আগম্ভকের আবির্ভাব কেউ লক্ষ্য করেনি । ૧૬-ર বিচিত্র &సిగి একট—শুধুণুক-ননচের ‘মডেল ; মুখখানি চুনারের কলকের মত "চিকি, এবং তেল-চাচে ( clean shavingএ ) চকৃচকে । কুঁ-হাতে লেদারের ছোট একটি স্বট-কেস । আধ-পোড়া-বাকারির মত কবজিতে—রিষ্ট ওয়াচ, ধপধপে সার্টের ওপর সিল্কের সরু করে চাবিটা বুকপকেটে বিশ্রাম করচে। ডান হাতে চাদির কষ্ঠি-পর। বেতের ছড়ি। পায়ে টাইশূন্ত পম্প-স্ব । ইনি বিশুদ্ধ মকরধ্বজের এজেন্ট, বার্থ-কনট্রোলের দুষ্প্রাপ্য দাওয়াইও রাখেন। দ্বিতীয়টির ঘোলাটে রং, ভোলাটে ভাব, উদাস দৃষ্টি, অন্যমনস্ক হাসি। আধ-ময়লা সার্ট, দরজি বোতাম বসিয়ে দিলেও, তা ব্যবহারের মজ্জি নেই। পায়ে ভেলভেটের ভুরু টানা স্তাগুলি। বুক্‌-পকেটে ক্লিপ-আঁটা দু-দুটো ফাউণ্টেন-পেন । চোখে ‘আউল-আই’ চশমা। স্বয়ং—সাহিত্যিক, উৰ্ব্বর ঔপন্যাসিক । পয়সী-ওলা অতীত পিতার বর্তমান উত্তরাধিকারী । বাণী সেবায় অধুনা ফতুর। নাম সোনালীভূষণ", ঢুকে পড়ে উভয়ে থম্কে দাড়িয়ে গিয়েছিলেন। অভয়ের তথন বক্তৃতার মধ্যাহ্ন —জাধ্যাত্মিক অধ্যায় চলছে | “মনিনের মাসির কথাটা ভুললে যে ভায় – পুণ্যবতী সে বছর ‘সাগরে গিয়ে দক্ষিণ-রায়ের সেবায় যে লেগেছিলেন ! ওদের যে পেল্লেয়ে পুণ্যের সংসার । ওকে পুলিসের জেম্ম ক’রে দেওয়াই ভালী যা ভাল হয় কোরো, কিন্তু সত্বর ” সকলে সবিস্ময়ে চাইলে এবং সানন্দে বলে উঠলো “একি,—সহসা ব্ল্যাকৃ-প্রিন্স (অন্নদাবাবু ওই নামেই আব্রহ্ম iff5v ) crist critir , ări:-unexpected bargain ( অভাবনীয় আমদানী ) যে ! বস্থন বহন,— আর ইনি ?” “সে কি, ওঁকে চেন না । এই ফুৰ্দ্দিনে বাংলা দেশের অৰ্দ্ধেক স্ত্রীপুরুষ ওঁর বই পড়েই বেঁচে আছে। ব্যুতে করলেই একবেলা বেশ অনাহারে কেটে যায়, পেটও জলে না, চুলোও জলে না ! গরীব দেশের এতবড় উপকার আর কেউ করেচেম বলে আমার তো জান৷