পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ఫిy নেই –ঔপন্যাসিক সোনালী বাবু গো ! গোর থেকে তুলে আনচি-তাজমহলে বসেছিলেন...” যে যে-অবস্থায় ছিল, শুনে সটান দাড়িয়ে উঠে, "া: —সোনালীবাবু! উঃ কি সৌভাগ্য” বলে ঝুকে এলো । “উঃ-আপনার রিসেণ্ট শিশ-বিচি কি splendid production ( চমৎকার স্বষ্টি ) ; মালিনীর ‘ক্যারেক্টার’ট (চরিত্র )—উ: আপনিই সোনালীবাবু ?” রমেশ রিসাচ-স্কলার,-কাশী এসে সহসা একটা কিছু পেয়ে গেছে, মাথ। খুঁড়েও যা এতদিন মেলে নি । Ph.D. আর রোকে কে ? সে এককোণে বসে পেছন ফিরে কলম টেনে চলেছিল। সবটাই মাথায় স্থটোপাটি করে এসে গিয়েছে, বার ক’রে দিতে পারলেই—মার দিয়া বিষয়টা বান-ডেকে আসায় কলম পেছিয়ে পড়ছিল । রমেশ তাই প্রত্যেক শব্দের প্রথম আর শেষ অক্ষরের মধ্যে ড্যাশ দিয়ে চলেছিল। work notwithstandings n—g of to wifo nothingos of Thrones, t—s, towardsoe t—s, তবুও মগজের যোগান সামলাতে পারছিল না। কিন্তু ‘সাহিত্যিক সংজ্ঞাটা গঙ্গার ইলিসের মত ‘ক্যাচি, চট করে কামড়ে ধরে—বাঙ্গালী মেয়েপুরুষকে টানে। রমেশও থাকতে পারেনি—উঠে এসেছিল । ভীষণ আগ্রহে ব’লে বসলো—“ছাতে ছাতে’ বইখানা আপনারই çmesi ? B: fr powerful hand ( stā Trg)–oszş পৰ্য্যস্ত নীচে আর থাকতে পারি না ! থাকবেন তো ? এই বাসায়ই থাকুন না —এলুম ব’লে, বসে কথা ন কইলে সুখ হবে না ” ফিরে গিয়ে তাড়াতাড়ি কাগজ গোছাতে গোছাতে— “stifis fierra Towels a tomatoes Tomatoesই হবে, থাকু এখন--” নিবারণের ওপর বাসার কর্তৃত্বভার। নিউমার্কেটে তার দরজির দোকান, নিজে সে “কাট’-সিদ্ধ ( best cutter ) সাহিত্য-বাতিক তার নেই। সাহিত্যিক দেখেই সে জলে গিয়েছিল,—“যত হাবাতে জোটানো, সামলায় কে ? "ছাতে ছাতে-গুরুপুস্তুর এসে তীে হাজির হলেন । সার্টের বে-ডউল cut, পাঞ্জাবী কি প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ ാം [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড টেনিস বোঝবার জো নেই। না দেয় বোতাম, যত বাজে মক্কেল ! আজকাল ওই ফ্যাশান চলে নাকি ?” তার ওপর রমেশ যখন বললে—“নিবারণ-দ, বুঝলে জলখাবারটা চট্‌—ক্ষীরমোহন আর চমচম । কিছু কিম-ও আনিও, বুঝলে ! একজন সন্ত্রাস্ত সাহিত্যিক...ভাগ্যলব্ধ, বুঝলে ।” নিবারণ তখন তুষের আগুন ! বললে, “বুঝেছি বই কি, কিন্তু সম্রাস্তদের দ্বারা আক্রাস্ত হবার প্রভিসন’ { ব্যবস্থা ) বজেটে ছিল না। ব্ল্যাক-প্রিন্স বয়সে বড়, র্তার কথাটাই আজ রাখ না ? কাজের কথাটায় কান ছিল কি ? ওঁর ছাতে ছাতে’ না-হয় ‘শশা-বিচি’—যা হয়, একখানা খুলে ব’স না, এ বেলাটা বেশ সহজেই কেটে যাবে, চুলে। জালতে হবে না—না ক্ষীরমোহন আনতে ! উনিও কত খুশী হবেন...” অতুল কেরাণী, বিবাহের পর কবিতাও লিখেছে— সে উপস্থিত ছিল। নিবারণের নীরস কথাটার আঘাত তাকেও লাগলো। পরিবারের গয়না বাধা দিয়ে ভদ্রত রাখতে কোনো দিনই তার বাধেনি। শাখা দু’গাছার । জোরেই তিনি বৈধব্যের বিপক্ষে যুঝচেন । ‘আমিই আনচিং ব’লে সে বেরিয়ে গেল। নিবারণ চেচিয়ে ব’লে দিলে,-“দুজনের মত।” আহত রমেশ কথা না কয়ে ভাবতে ভাবতে ফিরল— “দোকান করলে মানুষ ভদ্রসমাজ থেকে নেবে যায় । স্যর পি-সি রায়ের মাথা সারশূন্ত হয়েছে—তাই তিনি দেশটাকে মাড়োয়ারী বানাতে চান, সৰ্ব্বনাশ করবেন দেখচি !” মিনিট-পাচেক পরে রমেশ ফিরে এসে দেখে, নিবারণ চ পাঠিয়ে দিয়েছে,—অতুল চমচম্নিয়ে হাজির। হল-ঘর মুখর। রমেশের মনটা অনেকখানি নেবে গিয়েছিল, সে-ভাবটা কেটে গেল । ব্ল্যাকৃ-প্রিন্স, চমচমূ চালাতে চালাতে বললেন,—“যে খুজে তোমাদের বার করেছি, রুড়কির পাহাড় হ'লে পরেশ পাথর বেরিয়ে পড়তো । দুঃখ নেই–এও জামাদের রত্নলাড়ই ঘটেছে । তার চেয়ে বড় লাক্ত,-চল্লিশ বছরে