পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*. ৫ম সংখ্যা ] বিচিত্রা بیہِیxجیم،"* পড়ে আজ অভয়ের মুখে তিন পুরুষ যে কাকে বলে ওষুধও পেলুম। উপার্জনের কোনো উপায়ই ছিল না— সেটা শুনতে পেলুম—amalgum (ঘণ্ট ) of জ্যেঠা, খুড়ো and মাতুল,—অবং মনিনের । এটা প্রকাশ করতে রবিবাবুও পেছিয়েছিলেন। অভয় কিন্তু নির্ভয় । হাসি পড়ে গেল । অভয় অপ্রতিভভাবে—“আমার বলার উদ্দেশ্ব’ বলতেই, ব্ল্যাকৃ-প্রিন্স বললেন, “থাকৃ।”— —“কিন্তু মনিনের জন্তে তোমরা এত ভাবচো czą za ces ? À Ff; ef s aesti dangerous item (ফাড়া-বিশেষ),বিশেষ ক’রে pleasure-trip-এর পক্ষে— (আনন্দ অভিযানে) তবে ওর heredity (বংশের ধারা) যদি না চাগায় ! I mean—পুণাসঞ্চয়ের দুরভিসন্ধি । জেনে—ওর আর মার নেই । ডালপুরী যখন তলিয়েছে, যমপুরীর এলাকা ও পেরিয়েছে । তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই শ্রমান " “কি রকম ?” ব’লেই সকলে সাগ্রহে উৎকর্ণ। “বলচি, আগে একটা বিড়ি ধরাই ।”— —“হ্যা, সে আজ বাইশ বছর আগের ঘটনা। দিন কাটাবার একটা আডড ছিল, বেণী মাষ্টার সেটাও তখন খুচিয়ে দিয়েছেন,–ইস্কুলকে নিরাপদ করবার জন্তে ! কিন্তু ক্লারিওনেট তো কেড়ে নিতে পারলেন না ! ইস্কুলের সকলেই শিষ্য, তারা যাবে কোথা ! তিনি শিক্ষা দেন আমি দীক্ষা দি । বেশ ফুৰ্ত্তিতে কাটতে লাগলো। স্বদেশী মুড়ি জিনিষটা বড় ভালবাসতুম, সেটা কিন্তু পেটে সইত না—মনোকষ্টের মধ্যে ছিল ওই । সহসা একদিন এক দাস্তেই চোস্ত করে শুইয়ে দিলে ; বুঝলুম তৃতীয়ে ঠিক্‌ চিাতয়ে দেবে। মুড়ির কথাটা মনে পড়লে—মরার বাড়া গাল নেই— আর ভয়টা কিসের, এমন মওক। আর মিলচে না। সময় সংক্ষেপ। চট্‌ ক’রে এক কোচড় মুড়ি তেল স্থল মেখে নিয়ে মাঠে চলে গেলুম, লঙ্ক আর মূলে সংযোগে সত্বর উড়িয়ে দিয়ে, আকণ্ঠ পুকুর জল টেনে, সেইখানেই গী ঢাললুম,—ওঠবার শক্তিও ছিল না। ঘুম ভাঙলো রাত ৯টায়, শরীর একদম ঝরঝরে ! এক ধাক্কায় দুই লাভ ঘটল, প্রাণ পেলুম, কলেরার ভগবান দিয়ে দিলেন । দেশ তখন কলেরা ক্যাম্পে দাড়িয়েছে, ভাবলুম— রুগী-পিছু পাচ নিলেই টেবিল হারমোনিয়ম কিনতে আর ক'দিন লাগবে ! হরে ছিল মায়ের এক ছেলে এবং আমার সাক্রেদ। তার হ’ল কলেরা । মনটা খারাপ হয়ে গেল— ফাই" কেস, কিন্তু ওর কাছে তো ফি নিতে পারব না । যাক, ওটা ব্ৰহ্মাকেই দেওয়া গেল । সেও জানত আমি সেরেছি এবং দেবতার দেওয়া দাওয়াইও পেয়েছি। মাঠে নিয়ে গিয়ে যেই ঔষধ প্রয়োগ-১৫ মিনিটে তার প্রাণও বিয়োগ ! আমার সৰ্ব্বনাশ ক’রে হরে সরে গেল—আমিও বাবার বাক্স ভেঙে সেই রাতেই বোম্বাই মুখে । নান্যঃ পন্থা । শুনে সোনালীবাবু শিউরে উঠলেন, দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন । প্রিন্স ব’লে চললেন, “সেই পৰ্য্যস্ত আমার পেটের দোষ সাফ, সেরে গেছে,—রাস্তায় ভুট্টা আর চিনেবাদামই আমার খাদ্য । কেবল অপয়া হরে মরে আমন ওষুধটার গয়া করে গেল,—সঙ্গে সঙ্গে আমারও ! —মনিনের জন্তে তোমরা কিছুমাত্র ভেব না।” সকলে অবাক হয়ে শুনছিল, গোপাল বললে, “ত হলে নরহত্যাও...” 23? —“আরে মায়ের এক ছেলে, সে মরতই, আমাকেই কেবল দেশত্যাগী করে গেল ! এই যে ডাক্তারের রোজ দুচোখে মারচে আর মোটর কিনচে ;-কপাল রে কপাল! মোটরের হার বাড়াতেই ত মৃত্যুর হার বেড়েছে —দেরি হয় না—দুয়েছে কি নিয়েছে রাস্তাগুলোও গেল-লোকও গেল ! হিন্দুর সংখ্যা আর কমাচ্চে কা’র ?” t অধিকপালে অবগুণ্ঠনে একটি স্ত্রীলোক এক থাল গরম জিলিপি এনে সকলের সাম্নে ধরে দিয়ে বিনীত স্বরে বললেন, “কিছু জল খান, আমার একটু দেরি হবে। বাজারে টাটকা ইলিস মাছ দেখতে পেয়ে নিয়ে এলুম কি-না। এ জিলিপিও তিরযুতের, অন্যত্র মেলে না। আপনার বেড়াতে এসেছেন, খাবেন না ?”