পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ురి 8 ভাবলে,—ইস্ ভারি ভুল হয়ে গেল। এক ফোটা চোখের জল ফেললেই হ’ত । ব্ল্যাক-প্রিন্স বললেন, “ওটা বাড়ীর জন্তে থাক্‌ ৷” নিবারণ সকলের শেষে উঠলো। নেপেন যেন মুখিয়ে ছিল, নিবারণকে বললে, “নাম জানতে ? বেনামী সঙ্কল্প হয় না।” নিবারণ কথা কইলে না । কেবল বিরক্ত ভাবে তার দিকে তাকালে । পাণ্ড প্রণামী চাওয়ায় সকলেই দু-এক পয়স দিলে, সোনালীবাবু একটি সিকি দিলেন । তারপর প্রত্যাবৰ্ত্তন। সোনালীবাবু উদাসভাবে বললেন, “এ স্থান থেকে আর ফিরতে ইচ্ছে হয় না ।” রাত আটটার পর সব বাসায় ফিরলেন। সোনালীবাবুর সদাই একটা বিষন্ন উদাস ভাব দেখে, সেই সম্বন্ধে প্রসঙ্গ উঠতেই ব্ল্যাক-প্রিন্স বললেন, “অতবড় সাহিত্যিক এনে হাজির করে দিলুম, “তোমরা ওঁর কাছে কিছুই শুনতে চাইলে না ? একপ্রকার অপমান করা নয় কি, নিজেদেরও আরসিক প্রমাণ কর৷ ” অভয় বললে, “আমিও সে কথা ভেবেছি, কিন্তু উনি যে-রকম বিষন্নমুখে থাকেন, সাহস হয় না।” দ্বিজেন বললে, “ওদের চিন্তা কত, সব সময়ই মাথ৷ বোঝাই । বোধ হয় মনে মনে একটি ট্রাজেডি টেনে চলেছেন ।” নেপেন বললে, “তা ছাড়া রমেশ এঁকে যে বেফাক দখল ক’রে ফিরছে। “খিসিস’ শোনাচে । শেষ স্থির হ’ল—আজ তার কাছে কিছু শুনতেই হবে । সুবিধাও হ’ল ; বাসায় উপস্থিত হবার পর, ঠাকরুণ করুণ সুরে শুনিয়ে দিলেন, “ষ্ঠাটুনি ত কম হয়নি—এক কাপ ক’রে চা আর এই সামান্ত কিছু মুখে দিন, খেতে একটু রাত হবে।” এই ব’লে, এক থাল বাদাম পেস্তা আখরোট আর কিস্মিস্—কয়েকটি গোলমরিচ মিশ্রণে জাফরাণের সম্বর দিয়ে ঘিয়ে ভেজে দিয়ে গেলেন । সুগন্ধে মগজ ভয়ে গেল । সুরেশ বললে, “সবই বাবার কৃপ, সঙ্কটমোচন ওঁকে প্রবাসী—ফাল্গুন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড বোধ হয় মেওয়া থেকেই স্বরু করলেন, জাগ্রত দেবতা,.. আর ভয় নেই ।” নিবারণ ব্যাজার হয়ে ঠাকরুণকে বললে, “আপনাকে এসব বাড়াবাড়ি করতে কে বলেছিল ? আমনি তো আর হয়নি,-খরচ আছে, সেটা------” ঠাকরুণ সে কথা গায়ে না মেখে বললেন, “খরচ ছাড়া আর কোন কাজ হয় বলুন ? আমোদ ক’রে বেড়াতে বেরিয়েছেন,—(নিম্নকণ্ঠে) শমন দিয়ে তো কেউ টেনে আনেনি। না এলেও তো চলতো । গরীব দুঃখী— যা জানি ইচ্ছে থাকলেও তার ব্যবহার করবার উপায় তে৷ নেই ! আপনাদের দৌলতেই করে-কৰ্ম্মে সাধ মেটাই। আপনার আমোদ ক’রে খেলেই সার্থক মনে করি।” র্তার গলা ধরে এসেছিল । ব্ল্যাকৃ-প্রিন্স বললেন, "নিবারণ ম্যানেজার, ওর কৰ্ত্তব্যটা ও আমাদের শুনিয়ে সেরে নিলে,—ওকি সত্যি কিছু বলেছে ! আপনি দুঃখিত হবেন না-বরং যা-যা ইচ্ছে হয় নিশ্চয়ই ক’রে খাওয়াবেন ।” & তিনি ধীরে ধীরে চলে গেলেন । নেপেন নি ’৭ণ:ক বললে, “বাও হে, কিছু ক’রে বসেন।” সোনালীবাবু কথা কইলেন, “যা এলে ওর বস্তু অংশটাই স্বধু উপভোগের নয়, ওর মধ্যে মায়েদের পাই, রমণী-হৃদয়ের নিভৃত সত্তার পরিচয় ওর প্রত্যেকটির মধ্যে রয়েছে । আবার না প্রিন্স বললেন, “সেটা অস্বীকার করবার কি উপায় আছে । মুখ বেইমানী করলে ৪-প্রাণ মাথা হেঁট করিয়ে ছাড়ে –ইস্‌ থালার মাল যে মনিনের দখলে !” সকলে সচেতন হয়ে মেওয়া-মিকৃশ্চারে মন দিলেন । প্রিন্স সোনালীবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, *আপনার সাহিত্য-সাধন। সম্বন্ধে কিছু শোনবার জন্তে আমরা সকলেই উৎসুক । কি ক’রে এত অল্প দিনের মধ্যে এমন অসীম শক্তি অর্জন করে সমগ্র দেশের ভক্তি আকর্ষণ করলেন, তার ইতিহাস আপনার মুখে শুনতে পেলে আমরা কৃতাৰ্থ হব । জীবনী তো বেকবেই, দ্ধি কৰে আছি কৰে নেই—”