পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ৷ .ബാബക്കുഞ്ഞ്.ബ~-്-l বিচিত্র ৬০৫ অঙ্গুরোধ এড়াতে না পেরে সোনালীবাবু উদাস হাসি টেনে বললেন, “শোনবার মত কিছু নয়—মামুলি কথা। ওটা রোগ ছাড়া অন্য কিছু নয়,—আপনা আপনিই বাড়ে। ম্যালেরিয়া বলা চলে। তবে ওর সঙ্গে বায়ুবৃদ্ধি দেখা দিলে কল্পনার শ্ৰীবৃদ্ধিটা সহজেই হয় । সেটা সৌভাগ্যসাপেক্ষ । আমাদের এটা ম্যালেরিয়া । সমালোচকের কুইনিন চালিয়ে মাঝে মাঝে দাবিয়ে বা দমিয়ে দেন। তাতেও যার না যায়, তাকে উপবাসে ছাড়ায় । উপবাসই সাহিত্যিকদের চরম ব্যবস্থা। ঐটাই উপকারে লাগে। আমার এখন সেই ষ্টেজ চলেছে। ওটা না থাকলে দেশের সমূহ শঙ্কা ছিল,......” সকলে উদগ্রীব হয়ে শুনছিলেন,—খেতে ডাক পড়লো । “আচ্ছ—এসে হবে” ব’লে সকলে উঠে পড়লেন । অভয় বললে, “বা, যেন আয়ুৰ্ব্বেদ শুনছিলুম—” রমেশ বললে, “কি ইণ্টারেটিং ! সাহিত্যিক একেই বলে,-একেবারে ওর সাইকলজি থেকে মুরু করেছেন,------” আহারের ব্যবস্থা দেখেই সব অবাক । কি পরিচ্ছন্নতা ! বসবার আগেই তৃপ্তি এসে যায়, ঘ্ৰাণে ক্ষুধা টেনে আনে । পেতলের বালতি-হাতে ঠাকরুণ পাতে যা দিলেন-- তা পোলাও । বললেন, “ষ্ঠাগুটি বড় পড়েছে, তাই চারটি ঘি-ভাতই করেচি ” নিবারণ মাথা তুলতেই ব্ল্যাক্‌-প্রিন্স বললেন, *খবরদার, আজকের খরচ আমার ” ঠাকরুণ সহসা সুমধুর বামাকণ্ঠে বললেন, “কাট-ছাট ভাল করতে পারাই তো গুর ধৰ্ম্ম । আজ কিন্তু বেশী *sofa, winzi Cocoso co-estimate exceed করেনি,—” কথাটা ব’লে ফেলেই সলজে রান্নাঘরে দ্রুত গিয়ে ঢুকলেন । , সকলে মুখ চাওয়া-চাওই করলে । মত ফাক পেলে না। মা মুখে পড়ে সবই যে অপ্রত্যাশিত স্বাদু ! ዓዋሉ÷© মুখ-ফোটাবার ব্ল্যাক্‌-প্রিন্স বললেন, “সত্যি ক’রে বোলো— gāzu all round splendid ( Márto Rmx ) stal কখনও উপভোগ করেছ কি না! নথু খানসামার খুতুমার্জিত প্লেটের পুডিং পেটে কম পড়েনি। এর শ্রদ্ধা যত্ন স্বাদ যেন প্রত্যেক জিনিষকে পবিত্র করে দিয়েছে।” স্বরেশ বললে, “মাংস খাবার জন্যে অনেক পয়সা খরচ করেছি, 'গ্র্যাম-ফেড3 এনে দিয়েছি, খেয়েচি কিন্তু ঝালের ঝোল,—না স্বোয়াদ, না ." ঠাকরুণ বোধ হয় শুনছিলেন, মুখদে ইংরিজি বেরিয়ে যাওয়ায় লজ্জায় আসতে পারছিলেন না । থাকতে পারলেন না, ঘি-ভাত নিয়ে চলে এলেন,—বলতে বলতে, “ও-সব কথা বলবেন না—বেইমানী হয় । তাদের শ্রদ্ধা যত্ন, সাদিকি যে আর কোথাও মেলে। সে আপনার বুঝবেন না । ঠাকুর-দেবতার ঘরে পেজ তো চলে না— তাই বোধ হয়.পেজ ভালবাসেন বুঝি ?” নেপেন একটা কথা ক’বার তরে মরছিল, বললে, “আপান দিলেন কেন ? কি ক’রে জানলেন যে আমরা थाहे ?” কবজিটা দিয়ে মাথার কাপড়টা টেনে ঠাকরুণ বললেন, “না দিলে ওই ঝালের ঝোলের সার্টিফিকেট (জিভ কেটে) মিলতো তো ! ওটা আমাদের বুঝে নিতে হয়। ‘ভূগু’রও বলতে সাহস হবে না যে আপনারা হৰিষিা করেন । আপনাদের উপোসী রাখবো না-কি ? –কি দেৰে বলুন !” অভয় সভয়ে বললে, “মাংস ধ্বংস করচি তো কম নয়,--আর চাইলে পাবো কি ?” - "ওমা সে কি কখ৷ ” ব’লে তিনি ছুটে মাংস জানতে গেলেন । “এ মেয়েটি কে !” সকলের মুখেই এই ভাব ফুটে উঠলো । "কার কি চাই-চেয়ে নেবেন, সব জিনিষই আছে” -ৰলতে বলতে এসে মাংস ‘রিপীট’ করলেন । শরৎ বললে, “দোষ কিন্তু আমাদের নয়, আপনার ; এ রায় এ স্বত্ব শ্বশুরবাড়ীতেও কেউ পায় না।