পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা } ബ്ബ്, বিচিত্র \ ۹ ه من চেঙারি রয়েছে, তাতে যথেষ্ট লুচি । তখনও গরম ) কপির ফুল ভাজা, বেগুন ভাজা, মুন লঙ্ক আর র্যাব-সন্দেশ ! সকলে দেখে অবাক্ ! কেউ তো বলেনি। কিন্তু তিনি কই ? বাড়ীর রক্ষক বললে, “তিনি তো আর আসবেন না,—চিত্তরঞ্জন-পার্কে গিয়েছেন ।” **ৰ্তার পাণ্ডন ঘে-•• • • • .” রক্ষক হেসে বললে, “সরলা মাঈতে কিছু নেন না ; দরকার থাকলে চেয়ে নিতেন । আপনার আর দেরি করবেন না -- ** সে কি কথা ! “র্তার পাওনাটা তুমি রাখ না রামজি,-দিয়ে দিও।” “বাপ রে!” উপায় নেই—সময়ও নেই। বেরিয়ে পড়তে হ’ল । গোধোলিয়ার মোড়ে—লোকের ভিড় । জাতীয়-পতাকা, আর স্বমধুর ছনে-বন্দে মাতরম্ । এইখানেই গাড়ির আড্ডা। মংিলাদের প্রমেশন। লোকে লোকারণ্য । সৰ্ব্বাগ্রে পতাকা-হস্তে—"পতাকা-পেড়ে’ টক্‌টকে লাল শাড়ি-পর এক সুন্দরী যুবতী-চার দিকে যেন একটা পবিত্র প্রভাব বিকারণে সকলকে আকর্ষণ ক’রে নিয়ে চলেছেন! তার না-কি গ্রেপ্তার হয়ে চকের থানায় চলেছেন । তিনি একটি প্রৌঢ়াকে দেখতে পেয়ে, আচল থেকে রিং-মৃদ্ধ চাবি খুলে ছুড়ে দিলেন। প্রৌঢ় তুলে নিয়ে চোক মুছলেন । নেপেন ব’লে উঠলে-“তিনিই তো!’ প্রৌঢ় শুনতে পেন্ধে বললেন, “কাকে খুঁজচো বাবা,—ও আমাদের সরল,—এই করেই গেল !” "উনি যে আমাদের কাছে টাকা পাবেন ; কদিন. ” “আ আমার পোড়া কপাল,— ও কি টাকার জন্তে...” সকলের মুখেই জম্মুট প্রশ্ন প্রকাশ পেলে—“তবে ?” প্রৌঢ় বললেন, “বাবা, আমাদের সব কথা কি তোমরা বুঝতে পার - না, আমরাই তা বলতে পারি। ও ছিল এক সব-জজের মেয়ে। বেথুনে পড়তে,-দুটে পাস!— —“সে-সব কথা শুনে আর কি হবে । বাপ-মা দু-ই নেই, কেবল কাশীর বাড়ীখনি আছে,— তারই একখানি ঘরে থাকে । গরীব দেখে বাকি অংশ আমাদের থাকতে দিয়েছে । ভাড়া নেয় না ।”

  • ওঁর স্বামী ro “সে কথা কবার মত নয় । কপাল !--

—“যেখানে সেবার কাজ সেইখানেই সরলাকে পাবে। জগতে - বয়সে বড়রা এখন ওর মা-বাপ, সমবংসীরা— ভাই-বোন, ছোটর ছেলেমেয়ে । সংসারে . মেয়েদের কত বড় আশা-আকাঙ্ক্ষা,—কত সাধ থাকে, তা তো তোমাদের বোঝাতে পারবে না বাবা । সেইটে ওর দপ করে নিবে গেছে !— —“তোমাদের কথাও কাল বলছিল,—‘সব ভদ্র সস্তান, কোনো গোলমালে নেই, নিজেদের নিয়েই থাকেন। দেশের এতবড় একট। বিক্ষেপ—বিক্ষোভ,—তাদের তাতে ভ্ৰক্ষেপও নেই। দিশি-বিদেশী ব’লে কোনো বিকার নেই। প্রকাশ না করলেও দেশের সম্মান রক্ষা ক'রে চলেন–রংয়ে । বোধ হয় নিরুপার ব’লেই সেট প্রকাশ্বেই ধারণ করেন। একখান। সংবাদপত্র বাসা ঝেটিয়ে একদিনও মেলেনি। বেশ দেশ-নির্লিপ্ত Pখুব স্বখ্যেত করছিল বাব! — ~~-"লেখাপড়া জানা ভায়েদের সঙ্গ পাবার জন্তে টে যায়, তাদের সেবা করতে, দুটো কথা শুনতে, দুটো কথা বইতে। কোনে সাধই তো মেটেনি ? যাকৃ এখন কতদিনের জন্তে চলল জানি না।”—এই ব’লে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন। হঠাৎ আমাদের দেখতে পেয়ে, বিমল সহাস মুখে সরলা দুহাত তুলে কপালে ঠেকালেন। ব্যথা আর লজ্জা মাথা হেঁট ক’রে দিলে, মুখ নীচু ক'রে নমস্কার জানাতে হ’ল । বিস্ময় স্তম্ভিত সোনালীবাবুর মুখ থেকে অসস্থিত অর্কুট স্বরে বেরুল—“ম স্থা হবেন " একজন তাড়া দিলে, “চলে-এখন ট্রেন পেলে झ्म्न ।' .