পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬১২ প্রবাসী—ফাল্গুন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড পারেন না। এই তর্কের উত্তরও সোঙ্গ। প্রথম কথা, দ্বৈপায়ন ব্যাসই প্রথম সংহিতা করেন নাই, তাইার পিতাও করিয়াছিলেন। কিন্তু, দ্বৈপায়ন যে সংহিতা করিয়াছিলেন, সেই সংহিতাই তাহার শিষ্য শিষ্যাহুশিষ্য প্রচার করিয়াছেন। দুই একখান। আরও প্রাচীন সংহিত রহিয়া গিয়াছিল। তন্মধ্যে মূল বিষ্ণুপুরাণের আধার একথান। সেখানা দ্বৈপায়নের পিতা পরাশর করিয়াছিলেন । দ্বিতীয় কথা, সেকালের বিদ্বানের সত্যশীল ছিলেন । তাহারা যশের তরে পরের দ্রব্য না বলিয়া লইতেন না, পুরাতনে কিছু পরিবর্তন ও কিছু নূতন যোজন করিয়া আপনার অজিত বলিয়া প্রচার করিতেন না। যদি ংহিতার মূল পরাশর, তাহার যত সংস্করণ হউক, যত লোপ ভ্রংশ প্রক্ষেপ অন্ত-স্থাপন হউক, পরাশরই কতা থাকিতেন। আমাদের প্রাচীন গ্রন্থকতার সত্যনিষ্ঠা ও গরুভক্তি এত প্রখর ছিল যে, আপনাকে গরর নামে বিলাইয়া দিয়া গিয়াছেন। কেবল পুরাণে নয়, সকল শাস্ত্রেই এই। পরাশর বতর্মান বিষ্ণুপুরাণ বলেন নাই, তাহার কোনও শিয্যাহশিষ্য বলিয়ছিলেন। কিন্তু, যেহেতু পরাশর আদি, সেহেতু তিনিই বক্তা। সে শিষ্য পরীক্ষিতের কালে থাকিবেন, আশ্চর্য কি ? কেহ কেহ মনে করিতে পারেন, পুরাণকার পরীক্ষিতের ও অধিসোমকৃষ্ণের নাম করিয়া আপনাকে পুরাতন মানাইতে গিয়াছেন । “এ একটা ছল। বেদব্যাস কি আঠারখানি পুরাণ বলিয়াছেন ?” ইহার উত্তর, তিনি আঠারখানির মূল বলিয়াছেন। এই হেতু তিনিই কত? হইয়া রহিয়াছেন। বস্তুতঃ কোনও পুরাণের বতর্মান সংস্করণ একজনের দ্বারা হয় নাই। বিষ্ণুপুরাণে দেখিতেছি, পরাশর বক্তা। তিনি বশিষ্ঠের নিকট শ নিয়াছিলেন । মৎস্যপুরাণে দেখিতেছি, নৈমিষারণ্যবাসী শৌনকাদি মুনি স্থতকে বলিতেছেন, “তুমি পুরাণ কহিয়াছিলে, আমরা

  • বস্তুত: পরীক্ষিতের কালে ব্যাস শিৰ লোমহর্ষণ গত হইয়। ছিলেন। এক সত্রে লোমহর্ষণ পুরাণ শোনাইতেছিলেন, বলরাম छश्वांग्न जॉमिग्न फै°हिङ । शशिशं* श७ीष्ठभीम श्रेष्णन, एउ झहेtशम ন। বলরাম ক্রুদ্ধ হইয়া স্তকে নিহত করিলেন । লোমহর্ষণের পুত্র উগ্রপ্রবা ।

আবার তাহা শনিতে ইচ্ছা করি।” বায়ুপুরাণ বলিতেছেন, “আমি সৰ্ব্বজ্ঞ বেদব্যাসের মুখে শ নিয়৷ বায়ুপ্রোক্ত পুরাণ বলিতেছি।" মৎস্যপুরাণের কিয়দংশ, জগংহষ্টি অংশ, এত প্রাচীন যে তাহ মীন পদ্ধর বিষ্ণুর কথিত। এইহেতু নাম মৎস্যপুরাণ। বায়ুপুরাণে তিনি বায়ু। অর্থাৎ কোন পুরাকালে কত বাষ্ময় বিদ্যমান ছিল, কে জানে। ৪ । পুরাণত্রয়ের জ্যোতিষিক কাল কুর ক্ষেত্রের যুদ্ধবৎসরে পরীক্ষিতের জন্ম হইয়াছিল। ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের পক্ষে কুর ক্ষেত্র-যুদ্ধকাল দিগদৰ্শন-যন্ত্রস্বরুপ। এই কালের সবিশেষ আলোচন। এক পৃথক প্রবন্ধে করা যাইবে । ইতিমধ্যে পুরাণত্রয়ের কালবিচার নিমিত্ত জ্যোতির্ষিক নিদেৰ্শ অবলোকন করি । এই নিদের্শ তিন পুরাণেই এক। এইহেতু কেবল বায়ু পুরাণ গ্রহণ করিলেই চলিবে । (ক) অশ্লেষাৰ্দ্ধে দক্ষিণায়ন তিন পুরাণেই সম্বৎসরাদি পঞ্চবর্ষে যুগ ধরা হইয়াছে। ( বায়ু ৫• অঃ, ২৬৬ পৃঃ ২৭- পৃ: )। "বেদাঙ্গ-জ্যোতিষে” এই যুগের উৎপত্তি। বৈদিক যজ্ঞকমের বিহিত কাল ছিল। পূর্ণিমা, অমাবস্যা, বিষুব, অয়নে যজ্ঞ করা হইত। অয়নাস্ত কালে পশযাগ অবত কতব্য ছিল। এইহেতু দুই অয়নের অন্ত না জানিলে চলিত না। বৈদিক কালের শেষকালে "বেদাঙ্গ-জ্যোতিব” রচিত হইয়াছিল । ইহাতে আবশ্বক দিন গণিবার স্বত্র আছে। এই স্বত্র-পুস্তিক এমন দেশে প্রণীত, ষে দেশে পরম দিবা ১৮ মুহূত ( ৩৬ দং ) হইত। অর্থাৎ সে দেশের অক্ষাংশ ৩৫', পেশবারের কিছু উত্তরে, হয়ত গান্ধারে কাবুলে। বেদাঙ্গ জ্যোতিষের পাজিতে রবির উত্তরায়ণ হইতে বর্ষারম্ভ এবং উত্তরায়ণ দিনে রবি ধনিষ্ঠ নক্ষত্রে ও দক্ষিণায়ন দিনে অশ্লেষার মধ্যভাগে থাকিত। সেকালে সৌরমাস ছিল না; চান্দ্রমাস, তিথি, নক্ষত্র, এই তিন দ্বারা বিষুব ৎ অয়নান্ত বা বর্ষারম্ভ গণিতে হইত। পঞ্চবর্ষে যুগ, অর্থা পঞ্চম বর্ষে মাৰীশূর প্রতিপং দিবসে উত্তরায়ণ, এক