পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] সংসার-নাট্য JSసి কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্রে’ (-৩০০ অব্দ ) সপ্তবার ভাগ নাই, পঞ্চরাত্র ভাগ আছে । সপ্তবার যবনফল-জ্যোতিষের অঙ্গস্বরপ এদেশে আসিয়াছে। বোধ হয়, রাশিভাগ যত সহজে স্থান পাইয়াছিল, বারভাগ তত শীঘ্ৰ পায় নাই । কারণ এদেশে পূর্বাবধি রাশি-ভাগের মূল ছিল, বারভাগের মূল ছিল না । এই হেতু মনে হয়, এদেশে খ্ৰীষ্টের প্রথম কি দ্বিতীয় শতাকে বার-গণনার আরম্ভ হইয়াছে। বায়ুপুরাণের কুত্রাপি রবিসোমাদি বার নাই, বার-ব্রতও নাই । বিপুল মহাভারতের কুত্ৰাপি রাশিও নাই। অমরকোষে রাশি আছে, বার-সংজ্ঞা নাই । উপরে দেখা গেল, তিন পুরাণের জ্যোতিধিক অংশের আদি এক । ভূগোল-বর্ণনেও প্রায় তাট । বায়ুপুরাণের গয়ামাহাত্ম্য ও বিষ্ণুপুরাণের ভূগোল-বর্ণন ও শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা ছাড়িয়া দিলে, দুই পুরাণই প্রাচীন -১০০০ অব্দ হইতে -২০০ অব্দ পর্যন্ত কিছু কিছু প্রক্ষিপ্ত হইলেও প্রাচীন। মৎস্তপুরাণে প্রাচীন ও অর্বাচীন প্রায় সমান অংশ অধিকার করিয়াছে। কিন্তু, প্রাচীন অংশ বায়ুপুরাণের তুল্য প্রাচীন । পুরাণত্রয়ের বয়স তিন ভাগে ভাগ করিতে পারি; (১) প্রাচীন কাল হইতে >设隐够 آs ۰۰۰د - (ه) , آبی ۰ - ۰ لاس تیم چ অবদ, (৩) -২০০ অব্দ হইতে + ৪০০ অন্ধ । ংসার-নাট্য শ্ৰীপ্ৰবোধকুমার সান্যাল এই শহরের একাস্তে দরিদ্র গৃহস্থগণের একটি পল্লীর যবনিক উঠলো। পট উত্তোলন করার পর দেখা গেল, সেই চিরপরিচিত মুখগুলি অৰ্দ্ধাহারে শীর্ণ, অযত্বে বিবর্ণ, দুরবস্থায় মান এবং অস্তরের দৈন্তে আজও জীবনকে তারা নিতান্তই অপমান ক'রে চলেছে । গুটি দশেক গৃহস্থকে নিয়ে এই ক্ষুদ্র পল্লীষ্টতে কোলাহলের আর শেষ নেই। যবনিকা যখন সম্পূর্ণরূপে অপসারিত হ’ল, তখন নুতন একতলা বাড়িটির নীচের তলায় দুখানি ঘর সকলের আগে দৃষ্টি আকর্ষণ করল । কোন অজ্ঞাত অপরিচিত পথের নবাগত দুটি স্বামীস্ত্রী এসে সেই ছোট্ট বাড়িটিতে বাসা বেঁধেছে। চিরনূতনের বেশে চিরপুরাতনের খেলা সেই থেকে হয়েছে স্বরু । কিন্তু সেই দুটি চঞ্চল জীবনের ধারা বয়ে এসে এদের এই অবরুদ্ধ, সঙ্কীর্ণ, মুমূৰু প্রাণগুলিকে সজীব করতে পেয়েছে কি-না তা এখনও জানা যায়নি । ঘরে আসবাবপত্র একরকম নেই বললেই হয়। দেয়ালগুলি সাদা,ছবি টাঙিয়ে তাদের জর্জরিত করা হয়নি। মেঝের ওপর দুখানি নতুন খাট, জাম-কাপড় রাখবার একটি বাক্স,ছোট একটি টেবিলের ওপর খানকয়েক বইয়ের সঙ্গে একখানি আয়না, বুরুশ, সরু-দাড়া চিরুণী একটি, আলতার শিশি ও সি দুরের কৌটো। ঘরের একাশে নিত্য প্রয়োজনের কতকগুলি আসবাব-বাসন-কোগন, চায়ের সরঞ্জাম, মশলা-পাতি, চাল-ডাল-বাস, ই পৰ্য্যন্তই। এ ছাড়া অনাবখ্যক সৌখিনতার বোঝায় স্বয় দুটির নিশ্বাস রোধ করা হয়নি। দামিনীর মাথার ঘোমটা টেনে সরিয়ে দিলে দেখা যাবে সে ছোট মেয়ে। সীতেশ স্বামী না হ’লে তাকে আবার ইস্কুলে পাঠানো চলতো । ‘ষ্ট্রোভে রান্না চড়িয়ে এসে দামিনী ‘লুডো খেলতে বসে। সীতেশ ভুলে যায় স্নান করুবার কথা। ‘কাল আমাকে মিথ্যে করে হারিয়ে দিয়েছিলে – ওকি, ওকি হ’ল ? হৃদয় যে এগিয়ে নিয়ে গেলে । উঃ কী জোচ্চোর ? : *。