পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$'; প্রবাসা—ফান্তুন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড "কই ? কোথায় জোচ্চ রি? আমায় গালাগাল – লীণ্ডেশ তার একটা কান ধ’রে টেনে দিল । কানটি একটু একটু ক’রে লাল হয়ে উঠল। হঠাৎ দামিনীর রক্ত গরম হয়ে গেল। খপ করে সীতেশের মাথার এক মুঠি চুল সে টেনে ধৰ্বল—‘মাৰ্বলে যে ? আমার লাগে না ? সীতেশ একটা হাত দিয়ে ‘লুডো’ ছড়িয়ে দিল । জামিনী অমুনি চেচিয়ে উঠল। স্বামী উঠে এই স্থযোগে পালাল । এই লুডোর প্রতি দামিনীর মমতা সীতেশের ংখমতার চেয়েও বেশী। স্বামীর সে আজ আর রক্ষা স্বাগবে না। এদিক ওদিক তাকিরে বেতের ছড়িটি সে স্থাপতে হাসতে খুঁজতে থাকুল—‘দাড়াও যাচ্ছি, আমার গায়ে হাত তোলা তোমার বার কচ্ছি গিয়ে । ছড়ি নিয়ে বাইরে এসে দেখলে, মোট একটা লাঠি ছাতে নিয়ে স্বামী বীরদৰ্পে দণ্ডায়মান । দামিনী তৎক্ষণাৎ আত্মসংযম ক’রে বললে—“আর কান ধরবে অমনি করে ? বেশ করবে”—বলেই সীতেশ আবার দৌড়। দামিনী #हेन পিছু পিছু । *** .তারপর আবার সন্ধি হ’ল। যে-চোখে দামিনী শাসন ক্ষিীর, সেই চোখেই সে আনে মায়। তারই হ’ল জিৎ। ** দামিনী রান্না করে, সীতেশ বসে কুটুনে কুটুতে। "খতে বসে তরকারী ঠিক সমান ভাগ হ’ল কি-ন। এই দিয়ে দুজনে বাধায় কলহ। কিন্তু দামিনী যথন ঘর ধোয় **ौरडण বসে বাসন মাজতে । ## বিকাল বেলা তাদের বেড়াতে যাওয়া চাই-ই চাই । আলতা-পরা দুখানি পা চট জুতোর মধ্যে ঢুকিয়ে সাজসজ্জা ক’রে এসে দামিনী বলে—“চল । সীতেশ দরজায় লাগাল চাবি-তাল । তারপর ছড়িটা হাতে নিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে দুজনে বেরিয়ে পড়ল। সৰু গলিটি পার হবার আগেই বঁ-হাতি পুরানো বাড়িটির নীচের একখানি অন্ধকার ঘরের একটি জান্‌লা পার হতে হয় । অঙ্ক দিনের মত আজও সেই জানলার দিকে নজর পড়তেই দামিনী একটুখানি হেসে বলল—“আজ স্বায়ুস্কোপে যাব, নতুন ছবি এসেছে ভাই ? একটি কুমারী বয়স্থা মেয়ে । গায়ে জামা নেই, ময়লা একখানি কাপড় প’রে ঠিক এমনি সময়টিতে সে জানলার কাছে এসে দাড়ায়। রূপ তাকে বিধাতা দেন নি, অবস্থার দৈন্য সে মুখখানিকে আরও কুৎসিত করেছে । দামিনীর কথার জবাব সে দিতে পারল না, শুধু একটুখানি হাস্ল—নিজের মুথের হাসি তার অস্তরের অন্ধকারকে ঈষৎ আলোকিত ক’রে আবার মিলিয়ে গেল । - রাস্তায় পড়ে সীতেশ বলল,—‘পথে ষিপদ না ঘটে!" অন্যমনস্ক হয়ে দামিনী বলল—‘কেন বল ত ? ওই অযাত্রা মুখ দেখে বেরোনে—’ দামিনী চঞ্চল, ছেলেমামুষ, কিন্তু হৃদয়হীন নয় । মামুষের গোপন নিষ্ঠুরতা তার সহজেই চোখে পড়ে । বলল,-“ছি ! কি বলছ তুমি ? সীতেশ কথা বলার কোনো দায়িত্ব নেয় না। বলল,— ‘দূর ! তাই কি আর বলছি, তোমার বীণ-বন্ধু খুব ভালই মেয়ে ।” যে-কাটাটি ফুটুলো সেটি আবার গেল উঠে । দামিনী আবার সার রাস্ত মুখরিত ক’রে চলল । যতদূর পর্য্যন্ত স্বামী আর স্ত্রীকে দেথা যায়—জানলার গরাদের ফাক দিয়ে মাথাটা হেলিয়ে বীণা সেইদিকে তাকিয়ে রইল । একটি অস্পষ্ট কুয়াস-মান সন্ধ্যা । আশপাশের খোলার চালগুলি এরই মধ্যে ধোয়ায় ভরে উঠেছে । শীতের শ্ৰীহীন হওয়াকে এড়াবার জন্য সন্ধ্যার আগেই আশপাশের দরজা জানলা বন্ধ হয়ে গেছে । কপাট দুটি আস্তে আস্তে ভেজিয়ে দিয়ে বীণা ভেতরে চলে গেল। নীচেট। তখন অন্ধকার হয়ে গেছে। রুগ্ন । মা ছিলেন রান্নাঘরে গায়ে-মাথায় একখানা পশমী র্যাপার মুড়ি দিয়ে বসে। বললেন—‘আগুন-তাতে এসে বোস বীণা যে ঠাও, সারাদিন জল ঘেটে হাত-পাগুলো তোর যা হয়েছে । আয় ।” বীণ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাড়াল। মা তার মুখের দিকে তাকিয়ে ব'লে উঠলেন,—‘এত ঠাগু, গায়ে 3 * জামা সিনি। মরবি যে ” * r