পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७* १ SAASA SAASAASSAAAAAAMAMAAASAAAA কালা আদমীর থাত হ্যায় । আমরা স্যাকারিন দিয়া চ৷ থাই। আমাদের এক খ্ৰীষ্টান দলপতি : মেয়ের বিবাহে প্রায় ৪০ পাউণ্ড চা সিদ্ধ হইয়াছিল । এই সব ব্যাপারে কি ভাবে চা তৈয়ারী হয় ও খাওয়া হয়, তাহা একটু বলি ; শিখিয়া রাখিলে পাঠকগণের উপকার হইবে । পনের বা কুড়ি সের জল ধরিতে পারে এরূপ পাত্রে একসঙ্গে জল ও চা দিয় ফুটান হইতেছে । যখনই যার ইচ্ছা হইতেছে, তিনিই এক কাপ গামলা ) কয়েক বিন্দু স্যাকারিন দিয়া টুক্ টুক্‌ করিয়৷ উদরসাং করিতেছেন । যতক্ষণ পর্য্যন্ত চ নিঃশেষ না হয়, ততক্ষণই নীচে জাল দিয়া অনবরত উহা ফুটানে হইতেছে। সষ নিঃশেষ হইলে তৎক্ষণাৎ মুণ্ঠন জল ও চা তাঙ্গতে নিক্ষেপ করা হইতেছে। সমস্ত দিনই এই ভাবে চা ফুটানো ও পান হয় । আমাদের অসভোরা এখনও নেষ্টি মদ ছাড়িতে পারিল না, এজন্ত আমরা সাহেবেরাও লজ্জায় মরি। আমাদের এমন উপাদেয় চ না খাইয়৷ ইহার এখনও উৎসবাদিতে মদ খায় । সেরূপ নেশ না হইলে ৪ মদ-মদই ; তাতে আবার নিজের তৈরি। যদি বিলাভ হইতে বিলাতী বোডলে আসিত তবে না হয় বুঝিতাম। কবে ইহাদের সুমতি হইবে ? যাহার। আমাদের সত্য ধৰ্ম্মে আসে তাহারা কখনও ( প্রকাতে ) মদ থায় না। পাচ বৎসর স্বয়স হইতে-না হইতেই আমরা সিগারেট অভ্যাস করি । , বাল্যকাল হক্টতে বিশেষ মনোযোগ সহকারে শিক্ষা করতে, আমাদিগকে এ বিষয়ে আঞ্জকাল কেহই প্রতিযোগিতায় পরাজিত করিতে পারিবেন না । ভারতের সর্বত্রই অঞ্জকাল লোকে বিদেশী দ্রব্য ব্যবহার করা নিন্দনীয় মনে করে । আমাদের এই-সব বালাই নাই। আমরা এখনও সিগারেট খাই ও বিদেশী স্বৰ্য ব্যবহার করি শুনিয়! যদি কোন পাঠক হাস্ত করেন, তবে নিশ্চয়ই তিনি জানেন না যে, সব ভারতবাসীর মাতৃভূমি ভারত নয়। পুরুষাদিক্ৰমে ভারতে বাস করিলেও, ভারতীয় রক্তে ভারতীয় মাটিতে শরীর গঠিত হইলেও, ভারতীয় ভাষায় কথা বলিলেও, বহু কোটা ভারতবাসীর মাতৃভূমি সুদূর পশ্চিম " দেশে। সেইরূপ জামাদের মাতৃভূমিও প্রবাসী—ফ’ন্তুন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড এদেশে মনে করা আমরা অপমানজনক বলিয়। মনে করি । যাহার এখনও সত্য ধৰ্ম্মে আসে নাই, সেই অসভ্য কাল কুকিদের মাতৃভূমি ভারতেই বটে। তবে এদের সংখ্যা দিন দিনই কমিতেছে । আগামী দশ-পনের বৎসর মধ্যে ইহাঙ্গের সকলকেই আমরা সভা করিয়া ফেলিতে পারিব বলিয়াই আশা পোষণ করিতেছি । শুধু ধৰ্ম্মের জন্য কুকিরা যদি খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণ করিত এবং সেই ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলেই যদি সষ উৎপাতের শাস্তি হইত, তবে বিশেষ চিস্তার কারণ ছিল না। হিন্দুধৰ্ম্মের ম বাদ ও অতুষ্ঠানগুলির এমন চমৎকার আ : - . আছে, যে, তাঙ্গ প্রতোক খাটি ধাৰ্ম্মিক লোকেরই মন আকৰ্ষণ করে। আমার মত একটি লোকই হিন্দুধৰ্ম্ম প্রচারের দ্বারা সহজেই এই উচ্ছঙ্খল জাতির গতি পরিবত্তন করিয়া দিতে পারিত । কিন্তু ব্যাপার এত সহজে হইবার নহে। ধৰ্ম্মটি গৌণ কারণ, অন্যান্যগুলিই भूय1 ।। কুকিদের অবস্থা আজ বড় শোচনীয় । পরমহংস:দবের উপদেশে যে উত্তম বৈদ্যের কথা আছে, কুকিদের জন্যও আজ এইরূপ উত্তম বৈদ্যের দরকার। বিকারের রোগী,যাহা কুপথ্য তাহাই খাইতে চায়, যাহা ঔষধ তাহাকে মনে করে বিষ, চিকিৎসককে মনে করে শত্রু । ষাঁহাতে মঙ্গল হয় তাহা কিছুতেষ্ঠ করিতে চায় না, যাহাতে অনিষ্ট হইবে তা হাই তাহার আকাঙ্ক্ষিত বস্তু। এরূপ রোগীকে যিনি বুকে হাটু দিয়া জোর করিয়া ঔষধ খাওয়ান, নান অত্যাচার সহ করিয়াও তাহার চিকিৎসা করেন, প্রাণরক্ষা করেন, তিনিই উত্তম বৈদ্য, তিনিই প্রকৃত বন্ধু। কুকিদের জন্য আজ এইরূপ উত্তম বৈদ্যেরই দরকার হইয়াছে । আমাদের সমগ্র জাতি এখনও মহা অন্ধকারে । যাহারা একটু চক্ষু মেলিয়াছে তাহারাও একরূপ প্রভাব প্রতিপত্তিহীন । আমরা আজ এমন বন্ধু চাই, যিনি শুদ্ধ পথে হাত ধরিয়া লইয়া ধাইবেন, এমন চিকিৎসক চাই, ধিনি বুকে হাটু দিয়া এই অনিচ্ছুক বিকাবের রোগীকে ঔষধ খাওয়াইয়৷ মৃত্যুর হাত হইতে রক্ষা করিবেন। *...* উচৈতন্যদেবের মহাপ্ৰাণ ভক্তেরা আমাদের প্রতি