পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮻ%8 بہ۔ میں۔ بی۔بی۔"مرہم بہ*مہم۔ প্রবৃত্তি র্তাহাদের হয় না । ইহাদের ভুল সহজে ধরা যায় । চিত্রকর পদ্মিনীকে ব্লাউজ পরাইলে ক্ষতি নাই ; কেন-না, ঐতিহাসিক বুঝিতে পারেন উহ্য রতন সেনের পদ্মিনী নয়। কিন্তু কবি ও কথাশিল্পী ইচ্ছা করিলে পরবর্তী ঐতিহাসিকগণকে সাত ঘাটের জল খাওয়াইতে পারেন। কালিদাস বলিয়াছেন "সহস্ৰগুণমুৎচুম্ আদত্তে হি রসং রবিঃ” ; তেমনই কবি ইতিহাসের ক্ষীরসমুদ্র হইতে এক ঘট দুধ লইয়া তাহাতে হাজার কলসী জল ঢালিয়া দেন ; ঐতিহাসিক নামের এক ঝুড়ি হাড় লইয়। একটি মহাকাব্য উপহার দেন। বিংশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বে পৃথিবীর ইতিহাসটাও প্রায় স্ত্রী-চরিত্র-বর্জিত যাত্রার মত ছিল— দু-একটা রাজিয়া বা এলিজাবেথ বহু শতাব্দীর ব্যবধানে হঠাৎ ঐতিহাসিকের দৃষ্টিপথে পড়িয়া থাকেন। মানবসমাজের অৰ্দ্ধাঙ্গ বাদ দিয়া ইতিহাস গড়িয়া উঠিয়াছে, এত বড় মিথ্যা কথা বলিতে কেহ সাহস করিবেন না— SAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASLL সৰ্ব্ব যুগে, সৰ্ব্বত্র পুরুষের কৰ্ম্মপ্রেরণার পশ্চাতে নারী রহিয়াছেন। ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে নারীরও একটা ভূমিকা ছিল। কিন্তু সেটা নেপথ্যে,— ঐতিহাসিক পর্দার ফাক দিয়া দেখিবার অবকাশ পান নাই। ফলে ইতিহাস নিত্যস্ত নীরস । কবি ও কথাশিল্পীর শুষ্ক মালঞ্চে ফুল ফুটাইলেন ; বিশ্ব-সৌন্দৰ্য্য পুঞ্জীভূত করিয়া সংযুক্ত পদ্মিনীর স্বষ্টি করিলেন এবং কোনো ঐতিহাসিক-চরিত্রের সঙ্গে বিবাহ দিয়া পাঠকের চিত্তবিভ্রম ঘটাইলেন। কাব্য পরবর্তীকালে জনশ্রুতির স্বষ্টি করিল। ঐতিহাসিকেরা আরও বহু শতাব্দী পরে উদ্ভূত হইলেন ; তাহারা সন্দেহ করিলেন কাব্যটির মূলে জনশ্রুতি “ঐতিহাসিক" মাত্র রহিয়াছে। র্তাহার সরল বিশ্বাসে নিপুণতার সহিত কাব্যের ডালপালা ছাটিয়া বিজ্ঞান-সন্মত ইতিহাস গড়িয়া তুলিলেন: কিন্তু সৰ্ব্বশেষে সত্যেরই জয় হয়। পৃথ্বীরাজ-মল্লিবী সংযুক্ত, পৃথাবাঈ, প্রভৃতি আর বাস্তব-রাজ্যে নাই । আমরা মাতৃস্তন্যপানের সহিত চন্দ্রগুপ্তের মা মুরার কথা শুনিয়াছি। কিন্তু কয়েক বর্ষ পূৰ্ব্বে জানিলাম, তিনি আর ঐতিহাসিক জগতে প্রবাসী—ফাস্তুন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড S AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMAMMAAASA SAAAAS AAAAAMMAMASAS SSAS নাই—মরজগতে কোনকালেই ছিলেন না। মুদ্রারাক্ষস নাটকের টীকাকার চুওঁীরাজ* চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর প্রায় দুই হাজার বৎসর পরে তাহার মাত [ বিমাতাই বটে ] বৃষলী মুরাকে স্বষ্টি করিয়াছিলেন। তদ্রুপ আমাদের মনে হয় ভারতে মধ্যযুগের ইতিহাসে মিবার-রাজ রতন সিংহের মৃত্যুর (১৩০৩ খৃ: ) ২৩৭ বৎসর পরে রাণী পদ্মিনী বা পদ্মাবতীর জন্ম, বিবাহ ও সহমরণ কবি জ্যায়সীর দ্বারা অনুষ্ঠিত হইয়াছিল । পাঠ্যাবস্থায় আমরা রাণা লাক্ষ্মসিংহ বা লখমসীর কাকা ভীমসিংহকেই পদ্মিনীর স্বামী বলিয়া জানিতাম। এ বিষয় লইয়া আমাদের সঙ্গে মুসলমান প্রতিবেশীদের ঝগড় হইত ; কেন-ন, তাহাদের পদাবতি পুথিতে আছে পদ্মিনীর স্বামী রতন সেন । আমরা ভাবিতাম, টড সাহেবের ইংরেজী রাজস্থানের রাজসংস্করণের কাছে কি বটতলার পুথি দাড়াইতে পারে? আধুনিক সময়ে কবিরাজ শ্যামলদাসজী বিপুল পরিশ্রমে দুই হাজার পৃষ্ঠায় মিবারের ইতিহাস লিখিলেন ; কিন্তু উহা মহারাণার মর্জি মাফিক না হওয়ায় ঐতিহাসিক নিৰ্ব্বাসিত হইলেন —র্তাহার ইতিহাস রাজ-সরকারে বাজেয়াপ্ত হইল। তিনি টডের ‘রাজস্থান-রচনার (১৮২৯ খৃঃ) ৩৬৮ বৎসর পূর্বে মহারাণী কুম্ভকর্ণের সময়ে লিখিত কুম্ভলগঢ়ের ( বাংলায় কমলমীর বলিয়া পরিচিত ) শিলালিপি (বি. ১৫১৭-৫৬ - ১৪৬১ খৃ: ) এবং ঐ সময়কার রচিত একলিঙ্গমাহাত্ম্যম্ কাব্য হইতে প্রমাণ করিলেন ভীমসিংহ লাক্ষ্মসিংহের কাকা নহেন,—পিতামহী এবং

  • "রাজ্ঞঃ পত্নী স্বনশ্বাসীজ্যেষ্ঠাস্ত বৃষলাত্মজ।

মুৱাখ্যা সাপ্রিয় ভর শীললাবণ্যসংপদ।। মুরা প্রস্বতং তদয়ং মৌর্য্যাখ্যং গুণবত্ত্বরং ।” (Quoted in Ojha's Hist, of Rajputana, i. 59.) जैभनिश् शाश्वनिर्tश्द्र काका नरश्न,-डिाझश् । তজোখ ভুবন সিংহস্তদাত্মজো ভীমসিংহৰূপঃ অর্থাৎ ভুবনসিংহ তত্তগুজে৷ জয়সিংহন্তদঙ্গজে লাক্ষসিংহনামালীৎ। | ( একলিঙ্গমাহাত্মং, রাজবর্ণন অধ্যায় ) ཙ་ཀཿ༥ .. ཐ་ཀ་༤ লাঞ্জসিংহ