পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] iJASAAMMMMMAAMMMMMMMM MMMMMMMMAMAAAS AAASASASS SAAAAAA AAAASAAAAMMAMeAMAAMMAMMAMAMAMMAMS আলাউদ্দীনের সময়ে সমর সিংহের পুত্র রত্নসিংহ * রাজা ছিলেন । মহারাজী যশোবস্তের দেওয়ান মারবাড়বাসী মুহ নোং নৈনসী নিজের “খ্যাত” বা ইতিবৃত্তে উল্লেখ করিয়াছেন যে, রতন সিংহ পদ্মিনী-ব্যাপারে আলাউদ্দীনের সহিত যুদ্ধে মারা গিয়াছেন। নৈনসীর মৃত্যুকাল ( ১৬৭১ খৃ: ) এবং টডের রাজস্থান রচনার (১৮২৯ খৃ: ) মধ্যবৰ্ত্তী সময়ে, খুমাণ রাসোর গ্রন্থকার এবং মিবারের চারণের রত্নসেনকে ভুলিয়া গেলেন এবং পদ্মিনীকে ভীমসিংহের পত্নী বলিয়া নির্দেশ করিলেন । চিতোরদুর্গে সরোবরের মধ্যস্থলে একটি জীর্ণ মহল ছিল। লোকে উহাকে পদ্মিনী-মহল বলিত। মহারাণ সজ্জন সিংহ ঐ জীর্ণ মহলের সংস্কার করাইয়া চিতোরের অলীক অপবাদ চিরস্মরণীয় করিবার জন্য একখানি বিলাতী আয়ন লটকাইয়া রাখিয়াছেন। যে-গুহায় পদ্মিনী ও অন্যান্য রাজপুত-রমণীরা আত্মাহুতি দিয়াছিলেন, টড সাহেব সেগুলি দেখিয়াছেন। আমরাও দেখিয়াছি এবং তেমনই বিশ্বাস করিয়াছি,—যেমন আমাদের মেয়ের দিল্লী গেলে ইন্দ্রপ্রস্থ দেখিতে যান, এবং শের শার তৈরি পুরানা কিল্লার মধ্যস্থিত ইংরেজ-আমলের শিবমন্দিরকে কুন্তীপূজিত শিবের স্থান বলিয়। মনে করেন। কবিরাজ শু্যামলদাসজী বিশেষ বিচার না করিয়া আবুল-ফজল ও ফিরিশ তায় পদ্মিনী-উপাখ্যান যেরূপ আছে তাহাই সত্য বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন—তাহার উপর নির্ভর করিয়া লিখিত স্কুলপাঠ্যপুস্তকে পদ্মিনীর স্বামী হইলেন রাবল রতন সিংহ। গল্পটির অসংবদ্ধত দেখিয়া এবং পূর্বাপর বর্ণিত ঘটনাগুলির সত্যত সম্বন্ধে সন্দেহ করিয়াই বোধ হয় ভিন্সেণ্ট স্মিথ সাব্যস্ত পদ্মিনী উপাখ্যান ও তাহার ঐতিহাসিকতা

  • স ( =সমরসিংহঃ ) রত্নসেনং তময়ং নিযুজ্য

স্বচিত্ৰকুটচেলরক্ষণায় । भरश्शूकांश्ठश्यंशोद्य: ইলাপতিস্বর্গ পতির্বভূষ। মু (খু) মাণ বংশ: ( বংগু: ) খলু লক্ষ্ম সিংহ— राझिन् श्राङ झुशैंबग्न ब्रज्ञक्र। কুলস্থিতিং কাপুরবৈবি মুক্তাং न खाडू शैब्राः शूद्रषांखाछखि ॥ -একলিঙ্গমাহাম্মাং ; রাজস্বর্ণন অধ্যায়, শ্লোক ৭৭-৮• । (Quoted in Ojha, i. 484).

❖(r(: SMA AJAASMSMSMSMSMSAMMAAAA করিলেন যে, পদ্মিনী-উপাখ্যানটা মেকী—ঐতিহাসিক নয়। রাজপুতানার ঐতিহাসিক ঋষিকল্প মনস্বী মহামহোপাধ্যায় গৌরীশঙ্কর ওঝা তাহার হিন্দী ভাষায় লিখিত বর্তমানে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রামাণ্য রাজপুতানেক ইতিহাস’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে এই উপাখ্যানটির আদ্যোপাস্ত আলোচনা করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইয়াছেন,— “ইতিহাসের অভাবে লোকের পদ্মাৰত কাব্যকেই ঐতিহাসিক গ্রন্থরূপে মানিয়া লইয়াছে ; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পদ্মাবত আধুনিক ঐতিহাসিক উপন্যাসের স্কায় ছন্দোবদ্ধ গল্প। কয়েকটি ঐতিহাসিক কথাকে ভিত্তি করিয়া ইহ রচিত ; যথা, রতন সেন ( রত্নসিংহ ) চিতোরের রাজা ছিলেন, পদ্মিনী বা পদ্মাবতী তাহার রাণী, এবং আলাউদ্দীন দিল্লীর সুলতান ছিলেন ; আলাউদ্দীন রতন সেনকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া চিতোর অধিকার করেন । ইহা ছাড়া বাকি কথাগুলি কেবল উপাখ্যানটিকে সরস ও চিত্তাকর্ষক করিবার জস্তই কল্পিত হইয়াছে।.....-পদ্মাবতের উপাখ্যানের সঙ্গে ফিরিশতার বর্ণনা মিলাইয়া দেখিলে স্পষ্টই বুঝা যায় তাহার বর্ণনার মুখ্য আধার পদ্মাবতের কাহিনী। ফিরিশতা উহাকে কিছু অদলবদল করিয়া ইতিহাসরূপে গ্রহণ করিয়াছেন, এবং পয়িনীকে রতন সেনের স্ত্রী না বলিয়া ‘কস্যা’ বলিয়াছেন ।••••••কর্ণেল টড, কথাগুলি মিবারের ভাটদের কাহিনী হইতে গ্রহণ করিয়াছেন এবং ভাটেরা আবার উহা জ্যায়সীয় পদ্মাবত হইতে লইয়াছে। ভাটদের পুস্তকে সমর সিংহের পর রত্নসিংহের নাম না থাকাতে টড সাহেবই ভীমসিংহের সহিত পদ্মিনীর বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির করিয়া গিয়াছেন ।.....-পদ্মাবত, তারিখ-ই-ফিরিশত, এবং টড, সাহেবের রাজস্থানে লিখিত কথাগুলির যদি কোনো মূল [ ভিত্তি ? থাকে তবে তাহা এইটকু মাত্ৰ—যখা, ছয় মাস অবরোধের পর আলাউদ্দীন চিতোর অধিকার করেন । চিতোরের রাজা রত্নসিংহ এই যুদ্ধে লক্ষ্মণ সিংহ ইত্যাদি অনেক সামস্তের সহিত মারা গিয়াছিলেন। উtহার রাণী পদ্মিনী অস্ক্যান্য পুরমহিলার সছিত অগ্নিতে আত্মাহুতি দিলেন ; এইরূপে চিতোর কিছুদিনের জন্ত মুসলমান অধিকারে আসিল । বাকি সমস্ত কথাই কাল্পনিক "* গৌরীশঙ্করজী বলিতে চান—গোর বাদল, ডুলী বেহার, রতন সিংহের হাতে হাতকড়ি, আলাউদ্দীনের কারাগার, কিছুই ছিল না; সিংহল দ্বীপও ছিল না, ছিলেন শুধু পদ্মিনী। বিচার প্রমাণের অগ্নিতাপে আলাউদ্দীন, রতন সেন, লাক্ষসিংহ ও র্তাহার আট পুত্র ছাড়া সবই কল্পনা-বাষ্পরূপে উড়িয়া গেল। তবে পদ্মিনীই বা থাকিবেন কেন ? শ্ৰীযুত নলিনীকান্ত ভট্টশালী না-কি এ বিষয়ে প্রশ্ন করিয়া মহামহোপাধ্যায়কে চিঠি লিথিয়াছিলেন, কোনো জবাব পান নাই। চিতোরের আকাশ বাতাসে র্যাহার পুণ্য স্মৃতি রহিয়াছে, যাহার কীৰ্ত্তি

  • রাজপুতানেক ইতিহাস-প্রথম খণ্ড, * 83, 8^$-ఫి