পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] uہ Aحمہ-حمہ،۷ م.م.* আমীর খসরু ও জীয়াউদ্দীন বারাণীর বর্ণনা হইতে প্রমাণ হয়, আলাউদ্দীন একবার ছাড়া দুইবার চিতোরে যান নাই । তাহদের চক্ষে চিতোর-বিজয় আলাউদ্দীনের দেবগিরি-অভিযান কিংবা রণথম্ভোর-অধিকারের মত একটা বিশেষ স্মরণীয় বা রোমাঞ্চকর ঘটনা নহে । তাহার রণথম্ভোর-পতি হামীর চৌহানের নাম ও বীরত্ব বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন, কিন্তু রতন সেন কিংবা লক্ষ্মসিংহের নাম পৰ্য্যস্ত শুনিতে পান নাই । আমীর খসরু লিখিয়াছেন, চিতোরে ত্রিশ হাজার হিন্দু কতল হইয়াছিল । অবিশ্বাস করিবার কারণ নাই। কারণ সদাশয় আকবরও চিতোর-দুর্গ অধিকারের পর উক্তসংখ্যক কৃষকের প্রাণবধ করিয়াছিলেন ; তাহদের অপরাধ দুর্গ-রক্ষায় তাহার সাহায্য করিয়াছিল। আমীর খসরু জোহর-ব্ৰতেরও উল্লেখ করেন নাই । তবে জৌহরব্রত রাজপুতদের মধ্যে প্রায়ই হইত ; সুতরাং ইহ অনুমানসিদ্ধ। কেহ কেহ বলিতে পারেন, আমার খস্রু আলাউদ্দীনের নিমক্‌ খাইয়া স্বলতানকে বেকুব বানাইতে সাহস করেন নাই ; সেই কারণেই ডুলার ব্যাপারটা চাপ দিয়! থাকিবেন । কিন্তু কাফেরের ধাপ্পীবাঞ্জীর ইঙ্গিত করিয়া দু-দশট। গালাগালি দেওয়ার পক্ষে কোনো বাধা ছিল বলিয়। অকুমান করা যায় না । তিনি শত্রুপক্ষের সহিত সন্ধির কথাবাৰ্ত্তারও কোনো উল্লেখ করেন নাই । চিতোর-ভুর্গে পদ্মাবত-কথিত একটা বিরাট ভোজ যদি আলাউদ্দীনের সম্মানাথ রতন সেন সত্যই দিতেন, তাহা হইলে কবি বাদ পড়িতেন কি-না সন্দেহ। আমীর খসরু একজন রাজপুত-প্রধানের পলায়ন ও a short time, and returned home....The Sultan now returned home from the conquest of Chitor where his army had suffered great loss in prosecuting the siege during the rainy season. They had not been in Delhi a month...when the alarin arose of the approach of the Mughals. The accursed Targhi, with thirty or forty thousand horse came on ravaging and encamped on the banks of the Jamuna.” After this very serious danger, Alauddin awoke from his sleep of neglect. He gave up his ideas of campaigning and fort-taking, and built a palace ät Siri...” (Elliot and Dowson, iii. 189, 191.) ৬৫৭ SeAeeSeeeMMSAAAAAAS AAAAAS S ہمی۔۔برہ:ی s-بی، :۶ہی۔ یہ ۶ - *. * ایر۰۰نہ مہبریہ ۔یxدسx পরে আত্মসমর্পণ করার কথা লিথিয়াছেন। এই অজ্ঞাতনাম ‘রায়’কে তিনি চিতোরের রাজা বলিয়া ভ্ৰম করিয়াছিলেন। পুনৰ্ব্বার মিবারভ্রমণ এবং স্থানীয় লোকদের সহিত অবাধ মেলামেশার সুযোগ হইলে হয়ত তাহার এ ভ্রম দূর হইত ; তিনি মিবার-যুদ্ধে রাজপুতপক্ষের আরও অনেক সংবাদ পাইতেন । ধিনি পলায়ন করিয়াছিলেন তিনি যে শিশোদিয়ার সামস্ত রাণা লাক্ষ্মসিংহের কনিষ্ঠ পুত্র অজয় সিংহ তাহ নিঃসন্দেহরূপে প্রমাণিত হইয়াছে। অজয় সিংহ আত্মরক্ষায় হতাশ হইয়া শেষে প্রবলপ্রতাপ দিল্লীশ্বর আলাউদ্দীনের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন, এট অবিশ্বাস্য নয় । আলাউদ্দীন বিদ্রোহী শত্রু মাত্রেরই জীবস্ত অবস্থায় চৰ্ম্মোৎপাটন করিতেন না । তিনি রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন ; কার্য্যোদ্ধারের সম্ভাবনা থাকিলে তিনি দেবগিরি-রাজ রামদেবের মত লোককে দানের দ্বারা বশীভূত করিয়া মিত্র করিয়া লইতেন । সুতরাং আত্মসমর্পণ করিয়াও অজয় সিংহ বাচিয়াছিলেন, এটা নিতান্ত আশ্চৰ্য্য নয় । তবে রাবল রতন সিংহের কি ভাবে মৃত্যু হইল ? রাবল রতন সিংহের মৃত্যুর প্রায় দেড় শত বৎসর পরে মহারাণা কুম্ভকর্ণের সময় ( ১৪৬১–১৪৬৮ খৃঃ) মিবারের লুপ্ত ইতিহাস পুনরুদ্ধারের বিশেষ চেষ্ট৷ হইয়াছিল। কিন্তু “একলিঙ্গমাহাত্ম্যম” কাব্য প্রণেতাও সে-সময়ে রাবল রতন সিংহের মৃত্যুর কথা কিছুই জানিতে পারেন নাই। এ-সম্বন্ধে মিবারে জনশ্রুতিমাত্রও প্রচলিত থাকিলে কবি কখনও কেবল “তস্মিন গতে বলিয়া নিবৃত্ত থাকিতেন না। যদি উাহার বীরত্ব ও মৃত্যু উল্লেথ করিবার মত কিছু হইত, তবে অসীম শৌৰ্য্য ও শস্ত্রপূত হইয় সপ্ত পুত্রের সহিত লাক্ষ্মসিংহের বীরগতি প্রাপ্তির স্থায়, রতন সিংহ সম্বন্ধেও কোন ঘটনার অবশুই উল্লেখ করিতেন । আইন-ই-আকবরীতে বর্ণিত আলাউদ্দীনের বিশ্বাসঘাতকতা ও রতন সেনের গুপ্তহত্য সম্বন্ধে কোনো জনশ্রুতি মহারাণী কুম্ভের সময় প্রচলিত থাকিলে একলিঙ্গমাহাত্ম্যে অস্ততঃ একটা ছল-ঘাত শব্দ যে আমরা পাইতাম তাহ নিঃসন্দেহ। কুম্ভের স্বত্যুর ৭২