পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やQb" প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড বৎসর এবং আলাউদ্দীনের চিতোর অধিকারের ২৩৭ বৎসর পরে কবি মালিক মহম্মদ জ্যায়সী পদ্মাবত কাব্যে লিথিয়াছেন —রাজা রতন সিংহ যখন দিল্লীতে আলাউদ্দীনের কারাগারে বন্দী, তখন রতন সিংহের পূৰ্ব্বশক্ৰ কুঁভনের বা কুন্তলমীর-অধিপতি রাও দেবপাল পানীর কাছে দূতী পাঠাইয়৷ অশোভন প্রস্তাব করিয়াছিলেন। গোরা বাদলের বীরত্বে কারামুক্ত হইবার পর তিনি অপমানের প্রতিশোধ লইবার জন্য কুম্ভলমীর আক্রমণ করেন এবং দেবপালের সহিত দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহত হইয়৷ চিতোরে প্রাণত্যাগ করেন । অথচ কুম্ভলমীর দুর্গ তৈয়ারী হইয়াছিল রাবল রতন সিংহের মৃত্যুর অন্ততঃ ১৬০ বৎসর পরে ! সুতরাং দেবপালও নিশ্চয়ই কবির কল্পনা-প্রস্থত। জ্যায়সীর প্রায় ৮০ বৎসর পরে ফিরিশতা গবেষণা করিয়া ( এই বাতিকটার কথা ঐতিহাসিক নিজমুখে বহুবার ব্যক্ত করিয়াছেন ) জানিতে পারিয়াছিলেন যে, ডুলীতে চড়িয়া পলাইয়া আসিবার পর রাজা রতন সেন আলাউদ্দীনের রাজ্যে এমন উপদ্রব সুরু করিয়া দিলেন যে, স্বলতান নিরুপায় হইয়। শাহজাদা খিজর খাকে আদেশ করিলেন যেন রাজাস ভাগিনেয়ের হস্তে চিতোরদুর্গ সমর্পণ করিয়া দিল্লীতে চলিয়া আসেন * *: "r:4 তাহাই করিলেন। অথচ প্রামাণ্য ইতিহাসে “পাথুরে প্রমাণ”+ আছে যে মুসলমানের গিয়াস-উদ্দীন তোগলকের

  • Thns by the exertion of his ingenious daughter, the Rajah effected his escape, and from that day continued to ravage the country then, in possession of the Mahomedans. At length, finding it of no use to retain Chittoor, the king ordered the Prince Khizr Khan to evacuate it and make it over to the nephew of the Rajah ...” (Briggs, i. 363).

+ ১ । গম্ভরী নদীর উপর একটি সুদৃঢ় সেতু আজ পর্য্যন্ত বিদ্যমান আছে। সেতুর নির্মাতা সম্বন্ধে মতভেদ থাকিলেও নিৰ্মাণ-প্ৰণালী দেখিলে বুঝা যায় যে ইহা মুসলমানদেরই প্রস্তুত । গৌরীশঙ্করত্নী অনুমান করেন, এই সেতু খিজর খুঁ কর্তৃক নির্শ্বিত । ( রাজপুতনেক ইতিহাস, পৃ. ৪৯৬, পাদটীকা)। २ । हिङ िक्लङ्ग दोश्छि अर्का भकूदग्नाच्न १०० श्अिन्त्री, ४० ঞ্জিলহিঞ্জ তারিখযুক্ত একথানি শিলালিপিতে "Abul-Mazaffar Sikandar Sani”কে প্রশংসা ও আশীৰ্ব্বাদ করা হইয়াছে। “আবুল মুজাফর সিকিম্বর সানী” আলাউদ্দীন খিলজির উপাধি। (ঐ, পৃ. ৪৯৭ পাদটীকা । ৩। চিতোর-ভুর্গে তোগ লক্ শার প্রশংসাসূচক একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইরাছে। (ঐ, পৃ. ৫১ পাটকা) রাজত্বকাল পর্য্যন্ত চিতোর-দুর্গ ত্যাগ করে নাই ; সেখানে তাহারা নিশ্চিন্ত মনে সেতু, মক্বরা ইত্যাদি প্রস্তুত করিয়াছিল। যিনি মুসলমানদিগকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিয়াছিলেন তিনি রাবল রতন সিংহ নহেন ; পরস্তু লাক্ষ্মসিংহের জ্যেষ্ঠপুত্র অরিসিংহের পুত্র চন্দানীর গর্ভজাত স্বপ্রসিদ্ধ বীর হামীর। সম্ভবতঃ ১৩২৫ খৃষ্টাব্দের মধ্যে জালোরের সোনগড়ে চৌহান মালদেব তোগলকদের অধীনস্থ সামন্তরূপে চিতোর গড় জা গীর-স্বরূপ পাইয়াছিলেন। রতন সিংহ সম্বন্ধে ফিরিশতার জ্ঞান কতদূর ছিল, ইহা হইতেই ঐতিহাসিকের অনুমান করিতে পারেন। টডের প্রায় দেড় শত বৎসর পূৰ্ব্বে মুহ নৌৎ নৈন সীর ( ১৬১১-১৬৭১ খৃঃ ) “খ্যাত” বা ইতিবৃত্তে পদ্মিনী-সংক্রান্ত ব্যাপারে আলাউদ্দীনের সঙ্গে যুদ্ধে “রতনসী’র মৃত্যুর উল্লেখ আছে। রাবল রতন সিংহ কে ছিলেন, সে বিষয়ে নৈনসীর স্পষ্ট জ্ঞান ছিল না। তিনি রতন সিংহকে এক জায়গায় সমরসিংহের পুত্র, আবার অন্যত্র অজয় সিংহের পুত্র এবং ভড় ( ভট্ট = বীর ) লখমসীর (লক্ষ্মণ সিংহ ) ভাই বলিয়াছেন । মিবারের ইতিহাস কি ভাবে ক্রমশঃ অন্ধকারাচ্ছন্ন হইতেছিল, নৈনসীর পরস্পরবিরুদ্ধ মতই তাহার সুচনা করিতেছে। লক্ষ্মণ সিংহ ও অজয় সিংহের পিতা-পুত্র সম্বন্ধ তিনি বিপৰ্য্যস্ত করিয়াছেন। টড, যখন রাজপুতানার ইতিহাস লিখিতে আরম্ভ করেন তখন ভারতবর্ষের ইতিহাস-ক্ষেত্রে অজ্ঞানতার অমাবস্তা। তিনি চারণদের খ্যাত হইতেই প্রধানত: তাহার ইতিহাসের উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। রাজপুতানার প্রত্যেক স্থানে দুই শ্রেণীর চারণ ছন্দোবদ্ধ ঐতিহাসিক কাহিনী গান করিয়া ভিক্ষা করিয়| বেড়ায়। যাহার। র্তাহাদের পূর্বপুরুষগণের যশ গান করিয়া ভিক্ষা করে তাহাদিগকে “বড়বা”, এবং যাহার রাণী ও ঠাকুরাণীদের কাছে অস্তঃপুরে বিভিন্ন বংশের রাণীদের দানশীলতা, সতীত্ব-গৌরব ও শৌর্য্যবীর্য্যের কাহিনী গান করিয়া ভিক্ষা করে তাহদের “রাণী-মংগা” বলে। এই উভয়শ্রেণীর VR& রাজা ও সামস্তগণের দরবারে |