পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ny&yo ~~ --م, ۔۔۔۔ہ۔-- ২৫ধান বড় বড় শিলাখণ্ডে খোদিত হইয়াছিল এবং স্বাঞ্জও বিদ্যমান আছে—তাহাতে শিশোদে রাণাদের সমস্ত পূৰ্ব্বপুরুষগণকে মিবার-রাজবংশের সামিল করা হইয়াছে। বংশাবলীর সর্বাপেক্ষ প্রামাণ্য শিলালেখ মহারাণা কুম্ভের সময় লিখিত কুভলগঢ়ের শিলালিপি ( বি. ১৫১৭ ) ; ইহাতে রত্নসিংহের পরে লক্ষ্মসিংহ, অরিসিংহ এবং হীরের নাম দেওয়া হইয়াছে ( Ojha, i. 519. ) পরবর্তী ভাটদের খ্যাতে রতন সিংহ লুপ্ত হইলেও পদ্মিনী রহিয়া গেলেন। তবে তাহারা লক্ষ্মণ সিংহের সহিত রাণীর বিবাহ না দিয়া লক্ষ্মণ সিংহের পিতামহ ভীমসিংহকে - খুল্লতাত বানাইয় তাহার সহিত কেন পদ্মিনীর সম্বন্ধ স্থির করিলেন ? বোধ হয় তাহাদের এটুকু স্মরণ ছিল যে, লক্ষ্মণ সিংহ ব্যতীত আর একজন প্রধান ছিলেন—যিনি পদ্মিনীর স্বামী এবং চিতোর-যুদ্ধে মারা গিয়াছিলেন । কৃষ্ণ সিম্বে পিতামহুও চিতোর রক্ষার জন্য প্রাণ বিসর্জন করিয়াছিলেন ;- সেজন্য র্তাহাকেই পদ্মিনীর স্বামী বলিয়া খাড় করা হইয়াছে। টড-লিখিত অবশিষ্ট বিবরণ জ্যায়সীর পদ্মাবতের ছায়া মাত্র। যে-কাব্যকে কেন্দ্রীভূত করিয়া পদ্মিনী উপাথ্যানের

  • উদয়পুরের আট মাইল উত্তরে চৗরব নামক গ্রামে একটি মন্দিরে ৫১ শ্লোকযুক্ত একখানি শিলা প্রশস্তি আছে । উহার তারিখ বি, সং. ১৩৩৯ কাৰ্ত্তিক শুক্ল প্রতিপদ ( ১৩৭৩ খৃঃ ), অর্থাৎ রত্নসিংহের পিতা সমরসিংহের রাজত্বকালে লিখিত । ঢাণ্ডেরড় বংশোৎপন্ন মদন-যাহার পূৰ্ব্বজের পুরুষানুক্রমে চিতোরের শহরতলীর তলারক্ষ বা কোতোয়াল ছিল-পাপক্ষয়ার্থ নির্শিত শিবমন্দিরে এই প্রশস্তি যোজনা করিয়াছিলেন । উহাতে লেখা অাছে ঃ

বিক্রান্তরত্বং সমরেথ রত্নঃ সপতুসংহারকৃতপ্রযত্নঃ । প্রীচিত্ৰকুটসা তলটিকায়াং স্ত্রীভীমসিংহেন সমং মমার ॥ (চীরব-শিলালেখ, শ্লোক ২৬। ওঝা ১ম, পৃ. ৪৭৩ ) সমর সিংহের পিতা তেজসিংহের সময় সম্ভবতঃ ধোলকণর বাঘেলবংশীয় রাণ বীর ধবলের পুত্র বীসূলদেব মিবার আক্রমণ করিয়াছিলেন। এই যুদ্ধে চিতোরের শহরতলীর কোতোয়াল মদনের বড় ভাই রত্ন ইভীমসিংহ দেবের সহিত মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিল। জ্যেষ্ঠ #াবলশাখা মিবারের রাজা হইলেও কনিষ্ঠ রাণ-উপাধিধারী শিশোধিয়া সামগুগণ বোধ হয় ‘পুরুষানুক্রমে রাজ্যের প্রধান’-পদে নিয়োজিত হইতেন। এই প্রশস্তির অন্ত এক শ্লোকে আছে "ক্রতীমসিংহ পুত্র প্রাধান্তং প্রাপ্য প্লাজসিংহোয়ং" ইত্যাদি (ওঙ্কাকৃত রাজপুতামেক্ষা ইতিহাস, ১ম, পৃ. ৪৭৬ খ্ৰীষ্টব্য)। ... প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩৩৭ -l.\//l-\,\ഹസഹാ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড دم.م.م..v-م.. --۔م۔م AAAAAASAAAA বিভিন্ন রূপ প্রচারিত হইয়াছে বলিয়া ঐতিহাসিকেরা সন্দেহ করেন, নিম্নে তাহারই সারাংশ দেওয়া হইল । গন্ধৰ্ব্ব সেন সিংহল দ্বীপের অধিপতি। র্তাহার দেশে :থ দারিদ্র্য কুরূপ নাই ; শীত-গ্রীষ্ম নাই—বারমাসই বসন্ত ঋতু বিরাজমান । তথাকার স্ত্রীমাত্রই পদ্মিনীজাতীয়া—কেহ কুবলয়দলকাস্তি ; কেহ বা চাম্পেয়গৌরী। রাজা গন্ধৰ্ব্ব সেনের একমাত্র সস্তান পদ্মাবতী -রূপে গুণে অতুলনীয়া । উদ্ভিন্নযৌবনী রাজকন্যার ব্যথার ব্যর্থী ছিল একটি পোষমান শ্রুতিধর শুক—নাম হীরামন । বর অমুসন্ধানে পিতার ঔদাসীন্য দেখিয় পদ্মাবতী হীরামনকে পিঙ্করমুক্ত করিয়া দিলেন। সিংহলদ্বীপ পার না হইতেই হীরামন ব্যাধের ফাদে পড়িয়া বাজারে বিক্রয়ার্থ আনীত হইল। চিতোরের এক ব্রাহ্মণ-বণিক লাভের আশায় মূলধন খোয়াইয়া দেশে ফিরিতেছিল, সে হীরামনকে ক্রয় করিয়া চিতোরে লইয়া গেল। চিত্রসেনের পুত্র চিতোররাজ রতনসেন হীরামনকে লক্ষ মুদ্রায় ক্রয় করিয়া রাণী নাগমতীর মহলে রাথিলেন । নাগমৰ্ত্তীর কপাল ভাঙিল। রতন সেন হীরামনের কাছে পদ্মাবতীর রূপের কথা শুনিয়া ষোল হাজার রাজপুত্রের সঙ্গে যোগীবেশে সিংহলযাত্রা করিলেন । উড়িষ্যার উপকূলে কলিঙ্গরাজ গজপতি র্তাহাকে সসম্মানে জাহাজে করিয়া সিংহলদ্বীপে পাঠাইয়া দিলেন। সিংহল-রাজ্যে পৌছিয়া সশিষ্য কপটযোগী রতন সেন মহাদেবের মন্দিরে অবস্থান করিতে লাগিলেন। স্থির হইল পূজার ছলনায় রাজকুমারী যখন বাসস্তী পঞ্চমী তিথিতে মহাদেবের মন্দিরে যাইবেন সেই সময় উভয়ের শুভদৃষ্টি হইবে । বসন্ত পঞ্চমীর দিন সর্থীপরিবৃত পদ্মাবতী শিবালয়ে চলিলেন। দূর হইতে প্রথম দর্শনেই রাজা মূচ্ছিত হইয়া পড়িলেন । যোগীর কিছুতেই সংজ্ঞা লাভ না হওয়ায় রাজকুমারী স্বহস্তে যোগীর অঙ্গে চন্দন অভিষেক করিতে লাগিলেন ; কিন্তু ইহাতে মূছ৷ ভাঙিবার সম্ভাবনা আরও কম হওয়ায় পদ্মাবতী যোগীর বক্ষঃস্থলে চন্দন দিয়া লিখিয়া দিলেন—“যোগী! তোমার ভিক্ষালাভের উপযুক্ত যোগাভ্যাস হয় নাই, যখন ফলপ্রাপ্তির সময় আসিল তখন তুমি ঘুমাইয়া পড়িলে ।” গ্রেমের ফাপরে পড়িলে সাধুও চোর হয়,