পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃፃ8 সত্যিই মরুভূমি, সেখানে কোনো মানুষকে খুজে পাওয়া যায় না ।” মৈত্ৰেয়ী একটু হাসিয়া বলিল, “ইচ্ছা থাকলে বেশ খুঁজে পাওয়া যায়।” অনঙ্গ বলিল, “শুধু ইচ্ছাতেই ত সব হয় না, উপায়ও ত থাক চাই ।” মৈত্রেয়ী এ কথাটার নিজের মনোমত অর্থ ধরিয়া লইল, কিন্তু সন্তোষ তখনি একরাশ ফার্ণ লইয়া জাসিয়া হাজির হওয়াতে, আর কোনো কখা বলিবার সুবিধা इहेश न । অনঙ্গ স্তানিটেরিয়মে ভিড়িয়া খাওয়া দাওয়া সারিয়া, একটু বিশ্রাম করিবার জন্য শুইয়া পড়িল। শুইয়া শুইয়া ভাবিতে লাগিল, সত্যই কলিকাতা গিয়া আর কি মৈত্রেয়ীর সঙ্গে তাহার দেখা হইবে, হইবেই বা কোথায় ? এক যদি অখিল বাবু অনঙ্গকে তাহদের বাড়ী যাওয়া আসা করিতে দেন। কিন্তু বিদেশে মানুষ যতখানি দিল খুলিয়া মেলামেশ করে, স্বস্থানে ফিরিয়া গেলে, আর তাহ করে না। র্তাহাকে একবার বলিয়া দেখিবে না-কি ? কিন্তু বেশী ঘনিষ্ঠত করিয়া শেষে বিপদে পড়িবে না ত ? গল্প উপন্যাসে ত কত রকম পড়া যায় । আচ্ছা, মৈত্রেয়ীর সঙ্গে তাহার বিবাহ হওয়া কি সম্ভব ? হইলেও কি সে খুব খুশী হয় ? ভাবিয়া কিছু সে ঠিক করিতে পারিল না । মৈত্রেয়ী যে তাহাকে ভালবাসিয়া ফেলিয়াছে, ইহা বুঝিতে তাহার দেরি হয় নাই এবং ইহাতে তাহার আত্মপ্রসাদের সীমা ছিল না। কিন্তু সেও কি মৈত্রেয়ীকে ভালবাসে ? বোধহয় না, বন্ধু এবং পূজারিণীরূপে তাহাকে জীবনে রাখিতে পারিলে অবশু সে খুশী হয়, কিন্তু নিজে তাহাকে হৃদয় দান করিতে চায় না। কলিকাতায় গিয়া পরের কথা পরে ভাব৷ যাইবে স্থির করিয়া সে ঘুমাইয়া পড়িল । বিকালে আর সন্তোষদের দলে ভিড়িল না। আপন মনে জলাপাহাড় বাহিয়া উপরে উঠিয়া গেল। বড় একটা পাথরের উপর বসিয়া গুন গুন্‌ করিয়া গান ধরিয়া দিল । অনেক কিছু আজ ভাৰিয়া স্থির করিবে মনে করিয়াছিল, কিন্তু কিছুই স্থির করা হইল না। ফিরিয়া আসিতে সন্ধ্যা প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ .....................................ബി.സബ്-്. [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড হইয়া গেল। অল্পদিন এই সময় মৈত্রেয়ী এস্রাজ বাজাইয়৷ গান করে, আজ দেখিল তাহার ঘরের দরজা বন্ধ । অনঙ্গ কারণটা বুঝিতে পারিল না, নিজের ঘরে ঢুকিয়া পড়িল । ঢুকিয়াই প্রথম তাহার চোখ পড়িল, একখানা চিঠির উপর, তাহার টেবিলের উপর দোয়াত-চাপ অবস্থায় পড়িয়া আছে। তাহাকে আবার এখানে কে চিঠি লিখিল ? অত্যস্ত কৌতুহলী হইয়া সে চিঠিখানা খুলিয়া পড়িতে আরম্ভ করিল । মৈত্রেয়ী লিথিয়াছে । “আমাদের পরশু যাওয়াই স্থির হল । আমাদের ঠিকানা—নং জাম্হাষ্ট ষ্ট্রীট। আমাদের পরিচয়টা এইখানেই শেষ হয়ে যায়, তা আমি চাই না, মনে হয় আপনিও চান না, তাই জানালাম। কলকাতায় আমাদের বাড়ী এলে খুব খুশী হব। কাল সারাদিন জিনিষ গোছানে নিয়ে ব্যস্ত থাকৃব, হয়ত আপনার সঙ্গে কখা বলবার সুবিধা হবে না তাই চিঠিতে জানালাম।” ट्रेभएङ्ख्यौं । চিঠি পড়িয়া অনঙ্গের বুক যেন দশ হাত ফুলিয়া উঠিল । মেয়েটি দেখি একেবারেই হৃদয় স্থারাইয়। বসিয়াছে। না হইলে নিজেই আগে চিঠি লেখে ? চিঠি খানা যত্ন করিয়া সে বাক্সে রাখিয়া দিল, পরে কাজে লাগিবে। তাহার পর উত্তর লিখিতে বসিল । উত্তরটা এমন হওয়া চাই যাহাতে নিজেকে ধরা না দেওয়া হয়, অথচ মৈত্রেয়ীর মনে তাহার ছবিটা আরও গভীর হইয়৷ ফুটিয় ওঠে। অনেক ভাবিয়া সে লিখিল । ‘আপনার চিঠি পেলাম। এইটাই সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে চাইছিলাম, কিন্তু মুখে চাইতে সাহস করিনি। এখানের পরিচয় এখানেই যদি শেষ হত, তা হলে সে দুঃখ আমি জীবনে ভুলতে পারতাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কাল সকালেই আমি গিয়ে দেখা করে আসব । আমিও শীগগিরই চলে যাব, এখানে আর আমার ভাল লাগবে না।’ चनश्रः । চিঠিখানি অনেকবার করিয়া পড়িয়া তাহার বেশ ASAJSJSAMASAMeMS