পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ:Տ8 SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAS SSAAAS বলছি, আগে ওঁকে উপরে নিয়ে যেতে দিন, না হলে ঠাণ্ড লেগে শেষে নিউমোনিয়া হয়ে দাড়াবে।” ইন্দু আর আয়৷ তাড়াতাড়ি উপরে চলিল, মায়ার বিছানা এবং কাপড়চোপড় ঠিক করিতে। দেবকুমার আবার মায়াকে তুলিয়া লইয়া অগ্রসর হইল। উত্তেজনায় তখন তাহার নিজের শরীর কাপিতেছিল, কিন্তু মনের জোরে সে নিজেকে চালাইয়া লইয়া যাইতেছিল। মায়ার জন্ম যাহা যাহা করিবার তাহাতে ক্রটি না হয়, তাহার পর তাহার নিজের যাহা হয় হইবে । এই কয়েকটা দিনের মধ্যে তাহার জীবনের উপর দিয়া এমন প্রলয় ঝড় ষহিয়া গিয়াছে যে, পৃথিবীর উপরেই তাহার বিতৃষ্ণা ধরিয়া গিয়াছিল। তৰু কুহকিনী আশা তাহাকে বিশ্রাম দেয় কই ? হয়ত সে আলেয়ারই পিছনে ছুটিতেছে, কিন্তু থামিবার উপায় তাহার নাই । মায়ার মুখ তখনও দেবকুমারের বক্ষে সংলগ্ন রহিয়াছে। সে একবার সেই অপূৰ্ব্বসুন্দর মুখের দিকে চাহিয়া দেখিল। ক্ষণিকের দুৰ্ব্বলতা তাহাকে অভিভূত করিয়া ফেলিল, কিন্তু তখনই সে প্রাণপণ শক্তিতে নিজেকে সংযত করিয়া মুখ ফিরাইয়া লইল । মায়াই বটে, কিন্তু এই কি তাহার প্রেয়সী, তাহার প্রেমময়ী মায়া ? সে কি আর এ জগতে আছে ? কোনোদিনই কি আর সে ফিরিয়া আসিবে ? না, ইহার পর এই মায়ার ছদ্মবেশধারিণী মরীচিকাই তাহাকে অসহ জালায় উদভ্ৰান্ত করিয়া রাখিবে। কিন্তু অত ভাবিবার সময় নাই। সে মায়াকে বহন করিয়া উপরে উঠিয় গেল। মায়ার ঘরে ঢুকিয়, তাহার অচেতন দেহ শয্যায় ন্যস্ত করিয়া বলিল, “পিঙ্গীমা, শীগগির এর ভিজে কাপড়চোপড় সব ছাড়িয়ে দিন। আমি নীচে গিয়ে ডাক্তারকে তাস্বার জন্যে টেলিফোন করছি। আপনার মেজদাও এখনই এসে পড়বেন, তাকে ডাকৃতে লোক গিয়েছে।” ইন্দুর অনেক কথাই ঠোটের ডগায় আসিয়া জমা হইয়াছিল, কিন্তু দেবকুমার তাহাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিবার অবকাশ না দিয়াই তাড়াতাড়ি নীচে চলিয়া গেল । ইন্দু এবং আয়া মিলিয়া তখন অচেতন মায়ার প্রবাসী— ফাঙ্কন, ১৩৩৭ AJJAAAASASASS [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড AASAASAASAASAASAASAASAAAS শুশ্রুষায় লাগিয়া গেল। কিন্তু মায়ার জ্ঞান ফিরিয়! আসার কোনো লক্ষণই দেখা গেল না। ইন্দু একটু ভীতভাবে বলিল, “হ্যারে আয়, মেয়ে ত একেবারে চোথও চায় না ? ডাক্তার এলে যে বঁচি ।” আয় ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলিল, “ডরোনা পিসীমা, আচ্ছা হয়ে যাবে। আগেও এই রকম হ’ল।” এমন সময় নীচে অনেক লোকের পায়ের শব শোনা গেল এবং মিনিট দুই পরেই নিরঞ্জন উপরে উঠিয়া আসিলেন। দেবকুমারও উপরে আসিল, কিন্তু সে মায়ার ঘরে প্রবেশ করিল না । নিরঞ্জন আসিয়া মায়ার পাশে বসিলেন । তাহার মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিলেন, "একবারও চোখ চায়নি না কি ?” ইন্দু বলিল, “ন মেজদ । এইভাবেই আছে। ডাক্তার এখনই আসবে কি ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “আসতে ত বলে দিয়েছি। যাক, ভয় পাসনে, সেবারেও অজ্ঞান হয়ে অনেকক্ষণ ছিল । অন্য কোনো ক্ষতি না হয়ে থাকে, তাহলেই ঢের । আচ্ছা, বোস এখানে, আমার দেবকুমারের সঙ্গে একটু কথা আছে।” দেবকুমারের সঙ্গে ইন্দুর অনেক কথা ছিল, কিন্তু মায়াকে ফেলিয়া চলিয়। যাইতে সে ভরস পাইল না । অগত্যা বসিয়া রহিল। নিরঞ্জন দেবকুমারকে নিজের শয়নকক্ষে লইয়া গিয়া বলিলেন, “তুমি কাপড় ছেড়ে নাও, আমি আপিস-ঘরেই আছি।” কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেবকুমার আসিয়া জাপিল ঘরে ঢুকিল। নিরঞ্জন বলিলেন, “বোসে । মায়াকে তুমি কোথায় পেলে ?” দেবকুমার বলিল, “লেকের ধারে।” নিরঞ্জনজিজ্ঞাসা করিলেন, “জলে ঝাপিয়ে পড়ল কেন, কিছু বুঝতে পারলে ? বেশীক্ষণ জলে ছিল না ত ?” দেবকুমার বলিল, “না, বেশীক্ষণ জলে ছিলেন না, পড়বামাত্র তুলতে পেরেছিলাম। কেন ধে জলে ঝাপিয়ে