পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] মহামায়া ԳsԳ ছিলেন। মোটরের শব্দ শুনিবামাত্র বাহিরে আসিয়া দাড়াইলেন । ড্রাইভারের কাছে যে খবর পাইলেন, তাহ। বিশেষ আশাপ্রদ নয়। সে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করিয়াও প্রভাসের কোনো চিহ্ন দেখিতে পায় নাই। গাড়ী রাখিযু মাঠের মধ্যে নামিয়াও দেখিয়াছে । কিন্তু কোথাও খোজ পায় নাই। তবে ফিরিয়া আসার মুখে তাহার পরিচিত একটা লোকের সঙ্গে দেখা হইয়াছে, সে অনেকরাত্রে শহর হইতে মদ খাইয়া ফিরিতেছিল। তাহার কাছে জিজ্ঞাসা করাতে সে বলিয়াছে, একজন বাঙালীকে সে শহরের দিকে যাইতে দেখিয়াছে। ড্রাইভার খানিকদূর গাড়ী লইয়া গিয়াও কিন্তু কাহাকেও দেখিতে পায় নাই। মাতালের কথা কতদূর বিশ্বাসযোগ্য তাহাও সে বলিতে পারে না । নিরঞ্জন অগত্যা তাহাকে বিদায় করিয়া দিলেন । রাত্রির ভিতর আর কিছু করিবারও উপায় নাই। মায় যদি ভাল থাকে, তাহা হইলে সকালে ষ্টীমার ঘাটে একবার খোজ করিবেন। না হইলে তাহার জিনিষপত্র সেখানে গাড়ী করিয়া পাঠাইয়া দিবেন, ড্রাইভার তাহাকে খুজিয়া পাইলে দিয়া আলিবে । শুইতে যাইবার আগে একবার উপরে গিয়া মেয়েকে দেখিয়া আসিলেন । সে তখনও গভীর নিদ্রায় অভিভূত । ইন্দু নীচে বিছান। পাতিয়া শুইয়া আছে, তাহারও চোখে ঘুম নাই ! একখানা ছেড়া মাদুর পাতিয়া বুড়ী আয়া প্রবল নাসিক্যধ্বনি-সহকারে নিদ্রা যাইতেছে । নিরঞ্জন কোনো কথা না বলিয়া ধীরে ধীরে নামিয়া গেলেন । (88) ইন্দু অনেকক্ষণ জাগিয়া থাকিয়া পরে ঘুমাইয়া পড়িয়াश्न । किड़ भरिष्ठझ बङाख ऐ८डछिङ थाकांग्र ऊांशंब्र নির গভীর হইতে পারে নাই, ঘুমের মধ্যে সে ক্রমাগত এপাশ ওপাশ করিতেছিল, মান ভয়াবহ স্বপ্ন দেখিয়৷ চমকিয়া উঠিতেছিল । একবার স্বপ্ন দেখিল, বাড়িতে সে এবং মায়া ভিন্ন কেহই নাই। মায়া প্রাণপণে জানলা দিয়া লাফাইয়৷ পড়িবার চেষ্টা করিতেছে, ইন্দু তাহাকে টানিয়া রাখিবার জঙ্ক ধস্তাধস্তি করিতেছে। স্বপ্নের ভিতরেই তাহার মানসিক উত্তেজনা এত বেশী হইয়াছিল যে তাহার ঘুম ভাঙিয়া গেল। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া ভাবিল, “ষাকৃ, ওটা স্বপ্নই, কিন্তু যা পাগল নিয়ে কারবার, সত্যি হতেই বা কতক্ষণ ? জানলাগুল বন্ধ করে দিই বাপু” “ সে উঠিয়া জানলাগুলা বন্ধ করিতে আরম্ভ করিল। একটা জানুলা বন্ধ করিতেই বড় বেশী শব্দ হুইল । “ইস্ মেয়েট না উঠে পড়ে” বলিয়া পিছন ফিরিয়া তাকাইতেই সে দেখিল মায়া সত্যই উঠিয়া পড়িয়াছে। শুধু ঘুমই যে তাহার ভাঙিয়াছে তাহা নয়, সে যেন অত্যন্ত ভীত ও চকিত হইয়া উঠিয়াছে। ইন্দু তাড়াতাড়ি মায়ার কাছে ছুটিয়া আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছে রে ; ভয় পেয়েছিল না কি ?” মায় জিজ্ঞাসা করিল, “পিসীমা, তুমি এখানে কি ক’রে এলে ?” ইন্দু একটু অবাক হইয়া বলিল, “আমি ত এখানেই আজ শুয়েছিলাম, তুই তখন ঘুমিয়েছিলি তাই জানতে পারিস নি।” মায় কেমন একভাবে ইন্দুর দিকে চাহিয়া রহিল। তাহার পর জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি রেজুনে হঠাৎ এসে জুটলে কি ক’রে তাই জিগ গেষ করছি। কাল অবধি ত তোমার আসার কোনো খবর পাইলি ?” ইন্দু এতক্ষণে ব্যাপারটা একটু বুঝিতে পারিল । মায়ার আবার একটা কিছু মানসিক পরিবর্তন ঘটিয়াছে । এতদিন যে ইন্দু এখানে আছে, রোজই তাহার সহিত দেখাসাক্ষাৎ হইতেছে, তাহ মায় মনে করিতে পারিতেছে না। কিন্তু কি করিয়া একথা সে মায়াকে বুঝাইবে ? বুঝাইতে গেলে আরও কিছু বিপদ ঘটিবে না ত ? ইদু কি বলিৰে স্থির কৱিন্তে না পারিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। Հ. Հ মায়। ঘরের চারিদিকে তাকাইয় দেখিতেছিল, হঠাৎ