পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAASAASAASAASAASAASA SAAAAS AAAAA AAAAMMAAA SAA AA ASASASA AAA gর শেখবার স্বযোগ নেই সেই বিরাট জনসংঘকে বিদ্যার অধিকার সম্বন্ধে চির শিশুর মতই গণ্য করা ,rয়চে । তার কোনোমতেই পূরে মাতুম হয়ে উঠবে না অথচ স্বরাজ সম্বন্ধে তাঁর পূরো মাতৃঘের অধিকার লাভ করবে চোখ বুজে এইটে আমরা কল্পনা করি । জ্ঞানলাভের ভাগ সম্বন্ধে দেশের অধিকাংশ জনমণ্ডলী সম্বন্ধে এভ বড় অনশনের ব্যবস্থা আর কোনে। নবজাগ্রত শে নেই-জাপানে নেই, পারস্তে নেই, তুরস্কে নেই, ই জিপ্টে নেই । যেন মাতু ভাযা একটা অপরাধ, খাকে খৃষ্টান ধৰ্ম্মশাস্ত্রে বলে আদিম পাপ । দেশের লোকের :: মাতৃভাষাগত শিক্ষার ভিতর দিয়ে জ্ঞানের সর্ব্বাঙ্গ সম্পূর্ণত আমরা কল্পনার বাইরে ফেলে রেখেচি । ইংবেঙ্গী হোটেলওয়ালার দোক ন ছাড়া আর কোথাও দেশের লোকের পুষ্টি কর আয় মিলবেই না এমন কথ। বল্প ও ঘ। আর ইংরেজী ভাষা ছাড়া মাতৃ ভাষার যোগে জ্ঞানেব সম্যক সাপম ইত্তেই পারবে না। এওঁ বল। তাই । এই উপলক্ষ্যে এ কথা মনে রাগ। দহ করে, য, আধুনিক BBB BBBB BBBS BBB BBB BBBBBB BBB তবে জাপানী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে সত্য সম্পূর্ণ করে তুলেচে । তার কারণ, শিক্ষা বলতে জাপান সমস্ত দেশের শিক্ষা বুঝেছে—ভদ্রলোক ব’লে এক সঙ্গীর্ণ শ্রেণীর শিক্ষা বোঝেনি। মুখে আমরা যাই বলি, দেশ বলতে আমরা যা বুঝি সে হচ্চে ভদ্রলোকের দেশ । গণসাধারণকে আমরা বলি ছোটলোক, এই সংজ্ঞাটা বং কাল থেকে আমাদের অস্থিমজ্জায় প্রবেশ করেচে। ছোটলোকের পক্ষে সকল প্রকার মাপকাঠিই ছোট । *ারা নিজেও সেটা স্বীকার ক'রে নিয়েচে । বড় মাপের কিছুই দাবি করবার ভরসা তাদের নেই। তারা ভদ্রলোকের ছায়াচর, তাদের প্রকাশ অমুজ্জল, অথচ দেশের অধিকাংশই তারা, সুতরাং দেশের অস্তুত বারে হানা অনালোকিত । ভদ্রসমাজ তাদের স্পষ্ট ক’রে দেখতেই পায় না, বিশ্বসমাজের তো কথাই নেই। পাষ্ট্ৰীয় আলোচনার মত্ত অবস্থায় আমরা মুখে যাই-কিছু পলি না কেন, দেশাভিমান যত তারস্বরে প্রকাশ করি না কেন—আমাদের দেশ প্রকাশহীন হয়ে আছে বলেই ধর্মের পথ দিয়ে দেশের সেবায় আমাদের এত ঔদাসীন্ত । দের আমরা ছোট ক’রে রেখেছি মানবস্বভাবের কৃপণতাবশত তাদের আমরা অবিচার করেই থাকি । তাদের দোহাই দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে অর্থসংগ্ৰহ করি-কিন্তু *াদের ভাগে পড়ে বাক্য, অর্থটা অবশেষে আমাদের দলের লোকের ভাগেই এসে জোটে ! মোট কথাটা ধক্ষে দেশের যে অতিক্ষুদ্র অংশে বুদ্ধি বিদ্যা ধন মান সেই শতকরা পাচ পরিমাণ লোকের সঙ্গে পচাত্তর পরিমাণ পল্লীসেবা SAASAASAASAASAA AAAA AAAASAAAAMAMSMSAASAASAA AAAAMAMSMAMASAMAAA SAAAAA SAAAAAMMMMMAMMAMAAASAASAASAAASMMAAA AAASS b-s> লোকের ব্যবধান মহাসমুদ্রের ব্যবধানের চেয়ে বেশি । আমরা একদেশে আছি অথচ আমাদের এক দেশ নয় । শিশুকালে আমাদের ঘরে যে সেজের দীপ জলত তার এক অংশে অল্প তেল অপর অংশে অনেকখানি জল ছিল । জলের অংশ ছিল নীচে তেলের অংশ ছিল উপরে । আলো মিটমিট করে জলন্ত, অনেকখানি ছড়াত ধোয় । এটা কতকটা আমাদের সাবেক কালের অবস্থা । ভদ্রসাধারণ এবং ইতরসাধারণের সম্বন্ধটা এই রকমই ছিল । তাদের মর্য্যাদা সমান নয় কিন্তু তবুও তার উভয়ে একত্র মিলে একই আলো জালিয়ে রেখেছিল , তাদের ছিল একটা অখণ্ড আধার । আজকের দিনে তেল গিয়েচে একদিকে জল গিয়েচে আর একদিকে, তেলের দিকে আলোর উপাদান অতি সামান্ত, জলের দিকে একেবারেই নেই । - বয়স যখন হ’ল ঘরে এল কেবেসিনের ল্যাম্প বিদেশ থেকে, তাতে সবটাতেই এক তেল, সেই তেলের সমস্তটার মধ্যেই উর্দীপনের শক্তি ; আলোর উজ্জ্বলতাও বেশি। এর সঙ্গে যুরোপীয় সভ্যসমাজের তুলনা করা যেতে পারে ; সেখানে এক জাতেরই বিদ্যা ও শক্তি দেশের সকল লোকের মধ্যেই ব্যাপ্ত । সেখানে উপরিতল নিম্নভল আছে সেই উপরিতলের কাছেই বাতি দীপ্ত হয়ে জলে নীচের তল অদীপ্ত । কিন্তু সেই ভেদ অনেকটা আকস্মিক—সমস্ত তেলের মধ্যেই দীপ্তির শক্তি আছে । সে হিসাবে জ্যোতির জাতিভেদ নেই— নীচের তেল যদি উপরে ওঠে তাহলে উজ্জ্বলতার তারতম্য ঘটে না । সেখানে নীচের দলের পক্ষে উপরের দলে উত্তীর্ণ হওয়া অসাধ্য নয়—সেই চেষ্টা নিয়তই চলচে । আর এক শ্রেণীর বাতি আছে—তাকে বলি বিজলি বাতি । তার মধ্যে তারের কুগুলী আলো দেয়, তার আগাগোড়াই সমান প্রদীপ্ত । তার মধ্যে দীপ্ত অদীপ্তের ভেদ নেই—এই আলো দিবালোকের প্রায় সমান । যুরোপীয় সমাজে এই বাতি জালাবার উদ্যোগ সব দেশে এখন চলচে না—কিন্তু কোথাও কোথাও স্বরু হয়েচে—এর যন্ত্রটাকে পাক ক’রে তুলতে হয়ত এখনও অনেক ভাঙচুর করতে হবে, যন্ত্রের মহাজন কেউ কেউ হয়ত দেউলে হয়ে যেতেও পারে –কিন্তু পশ্চিম মহাদেশে এইদিকে একটা ঝোক পড়েচে সে কথা আর গোপন ক’রে রাখবার জো নেই । এইটে হচ্চে প্রকাশের চেষ্টা, মানুষের অন্তনিহিত ধৰ্ম্ম —এই ধৰ্ম্মসাধনায় সকল মামুবই অব্যাহত অধিকার লাভ করবে এই রকমের একটা প্রয়াস ক্রমশই যেন ছড়িয়ে পড়চে ।