পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা] ** বিবিধ প্রসঙ্গ—দুধে জল, না জলে দুধ ? ৮২৫ হইয়া থাকে । লর্ড হলডেন একজন বড় দার্শনিক ছিলেন । তিনি যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন না। কিন্তু ইহা ইংলণ্ডে সৰ্ব্ববাদিসম্মত, যে, তিনি ইংলণ্ডের অন্যতম শ্ৰেষ্ঠ যুদ্ধমন্ত্রী ছিলেন। গত জগৎজোড়া যুদ্ধে ইংলণ্ড যাহা করিয়াছিল এবং মিত্র দেশ সকলের সাহায্যে যাহ। করিয়া জয়ী হইয়াছিল, তাহ মিঃ লয়েড জর্জের কর্তৃত্বেই করিয়াছিল । তিনি যুদ্ধবিদ্যায় শিক্ষিত বা অভিজ্ঞ মহেন। ভারতবর্ষে সামরিক বিভাগ গবর্ণরজেন-র্যালের হাতে রাখা হইবে বলা হইতেছে ভারতের কোন কোন বড়লাট যোদ্ধা ছিলেন বটে। অনেকেই কিন্তু যোদ্ধা ছিলেন না । গবর্ণর-জেনার্যাল স্বয়ং সামরিক বিভাগের সব কাজ দেখিবেন শুনিবেন না, করিবেন না ; কোন কোন ইংরেজ কৰ্ম্মচারীর এবং ইংরেজ প্রধান সেনাপতির পরামর্শ ও সাহায্য লইবেন । এই সব কথা বিবেচনা করিলে বুঝা যাইবে, যে, ভারতীয়দের মধ্যে র্যাহার বড়লাটের মন্ত্রী হইবার যোগ্য, তাহারা যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ও অভিজ্ঞ নহেন বলিয়। যুদ্ধমন্ত্রী হুইবার উপযুক্ত নহেন, এই আপত্তি অখণ্ডনীয়ু নহে । ইংলণ্ডে যেমন, এখানেও তেমনি সামরিক বিভাগ অসামরিক কর্তৃপক্ষের অধীন থাকা উচিত। ইংলণ্ডে যেমন এখানেও তেমনি এই কর্তৃপক্ষীয় লোক বা লোকেরা স্বয়ং ষোদ্ধা না হইলে ক্ষতি হইবে না । গবর্ণর-জেনার্যালের হাতে সামরিক বিভাগের ভার থাকিলে তিনি যেমন ইংরেজ সেনাপতি বা অন্য ইংরেজ কৰ্ম্মচারীদের সাহায্য ও পরামর্শ লইয়া থাকেন, ভারতীয় কেহ যুদ্ধমন্ত্রী হইলে তিনিও তাহা করিতে পারিবেন। যুদ্ধ ঘোষিত বা জারন্ধ হইলে এখন যেমন ইংরেজ সেনাপতিই যুদ্ধ চালান, ভারতীয় যুদ্ধমন্ত্রীর আমলেও তিনিই সেইরূপ যুদ্ধ চালাইবেন । অবশ্য এথানে এই আপত্তি উঠিবে, যে, ইংরেজ প্রধান সেনাপতি বা অন্য ইংরেজ কৰ্ম্মচারী ইংরেজ বড়লাটের সহিত ( সাহায্যদান পরামর্শদান রূপ ) যে সহযোগিত করেন এবং তাছাকে যেমন উপরওয়ালা বলিয়া भाएनन, उॉब्रउँौञ्च शूकभङ्गेौद्र जश्ङि cनक्रश्न गश्प्षाशिउl করিবেন না ও তাছাঞ্চে সেরূপ উপরওয়ালা বলিয়া $$- bు মানিবেন না। এই আপত্তির উত্তরে বলা আবশ্যক, ভারতবর্ষের দাবি এবং ন্যায্য অধিকারই “এই, ষে, ভারতবর্ষের সব ব্যাপারে ভারতীয় লেক্ষেরাই প্ৰভু ও কৰ্ত্ত হইবেন । ইংরেজ জাতি ও গবক্সেণ্ট যদি এই দাৰি মানেন, তাহা হইলে অমুক বিভাগের কৰ্ত্ত ভাৰুকীয়ের হইতে পারিবেন, অমুক বিভাগের হইতে পরিবেন না, ইহা বলিলে চলিবে না। যে-বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অর্থাৎ কৰ্ত্তা ভারতীয় হইবেন, সেই বিভাগের সব কৰ্ম্মচারীকেই তাহাকে উপরওয়ালা বলিয়া মানিতে হইৰে ট যিনি না মানিবেন, তিনি ইংরেজ হউন, ভারতীয় হউন, বা অন্য কোন জাতির হউন, তাহাকে পদত্যাগ করিতে হইবে । পূর্বেই বলিয়াছি, ভারতবর্ষে আমলাতন্ত্রের অৰসান হইয়া স্বরাজ স্থাপিত হইতে কত সময় লাগিবে, তাহ নির্দিষ্ট হওয়া উচিত এবং দীর্ঘ না হওয়া উচিত । রাষ্ট্ৰীয় অবস্থান্তর ঘটিবার এই সময় (transition period) যদি দু-এক বৎসর হয়, তাহা হইলে সেই সময়ের জন্ত গবর্ণর জেনার্যালের হাতে সামরিক বিভাগ থাকিতে পারে । সময় তদপেক্ষ দীর্ঘ হইলে এই বিভাগের ভার অন্যান্ত বিভাগের ন্যায় কোন ভারতীয় মন্ত্রীর হস্তে অপিত হওয়া উচিত । ভারতবর্ষের সৈন্যদল সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় হওয়া দরকার। তাহা করিতে হইলে, যত শীঘ্র সম্ভব সমুদয় সৈন্যদলের জন্য লেফটেন্যান্ট, কাপ্তেম, মেজর, লেফটেন্যান্ট-কর্ণেল, কর্ণেল, জেনার্যাল প্রভৃতি পদের জন্য ভারতীয়দিগকে শিক্ষিত করিয়া তুলিতে হইবে। এ পর্য্যন্ত অতি সামান্য কয়েক জন ভারতীয়কে এরূপ শিক্ষা দেওয়া হইয়াছে। সামরিক বিভাগ ভারতীয়দের হাতে না আসিলে ঘথাসম্ভৰ ক্স মন্ত্র ভারতীয়দিগকে যুদ্ধশিক্ষা দেওয়া কাৰ্য্যতঃ হইবে না। গোলটেবিল বৈঠকের দেশরক্ষা সব-কমিটির চেয়ারম্যান টমাস সাহেব বলিয়াছেন, ষে, ভারতবর্ষে যুদ্ধশিক্ষা দিবার কলেজ শীঘ্র স্থাপন করিয়া তাহাতে যথেষ্টসংখ্যক ভারতীয়কে শিক্ষিত করিঙ্গেও এখন যে-সব ইংরেজ সৈন্তালে কাজ করিতেছেন, ५