পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ులిట్ట

  • .നാ

জন্য দিকে ভারতবর্ষ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে মুসলমান ও "মুসলমান ভারত, ইংরেজশাসিত ভারত ও দেশী নৃপতি দের দ্বারা শাসিত ভারতে বিভক্ত হইবে । তাহার উপর জাবার ব্যবস্থাপক সভাগুলা দুটা করিয়া কামরাতে (চেম্বারে ) বিভক্ত হইবে। একটাতে বসিবেন জমিদার ও ধনীরা, অন্যটাতে বসিবেন “সাধারণ” লোকদের প্রতিনিধিরা। ব্যবস্থাপক সভার প্রথম কামরা দ্বারা দ্বিতীয় কামরাকে বাগে রাখা হইবে। এই প্রকারে বিভক্ত ও হৃতশক্তি ভারতের উপর বিলাতী সামরিক আপিস, বৈদেশিক আপিস, ইণ্ডিয়া আপিস, লণ্ডনের ব্যাঙ্কারগণ, লাঙ্কেশায়ারের তত্ত্ববায়কুল ও অন্যান্য শায়ারের অন্যান্য কারখানাওয়ালার, এবং জাহাজওয়াল ইঞ্চকেপ ও অন্যান্য ব্রিটিশ বণিকেরা বর্তমান সময়ের চেয়ে অধিক নিশ্চিন্তভাবে ভারতশাসন করিবে । এইরূপ শাসন দ্বারা শোষণেরও সাহায্য হইবে । অবশু, আমরা যাহা বলিতেছি তাহা ঘটিবেই এমন নয়। যদি গোলটেবিল বৈঠকের সিদ্ধাস্তসমূহ অনুসারে কাজ হয়, তাহ হইলেই ঐরুপ কুফল ঘটিবার সম্ভাবনা ৷ আমেরিকার লোকমত অনেকটা ভারতবর্ষের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির অমুকুল হইয়া পড়ায়, আমেরিকার চোখে ধূলা দেওয়ারও প্রয়োজন হইয়াছে। মেকি ফেডারেশ্বন ও মেকি য়্যাসেমৃত্নী দ্বারা সেই উদ্দেশ্য{সাধিত হইতে পারিবে । ইহা সত্ত্বেও “বুদ্ধিমান” অনেক ভারতীয়কে লর্ড রেডিং প্রভৃতি বোকা বানাইতে পারিয়াছেন, এবং র্যাহারা নিজে বোকা বনিয়াছেন, তাহারা আবার অন্য ভারতীয়দিগকে নিজেদের দলে আনিবার চেষ্টা করিবেন। পোষা হাতী ভিন্ন স্বাধীন আরণ্য হস্তী ধরা যায় না । mismo. ব্ৰহ্মদেশ পৃথকৃকরণ, ও ফেডারেশ্বান ব্ৰহ্মদেশীয় লোকদের অধিকাংশের মতের বিরুদ্ধে ব্রহ্মদেশকে ভারতবর্ষ হইতে বিচ্ছিন্ন করিবার সঙ্কল্পের মধ্যে আর্থিক দুটি উদ্দেশ্য আছে। ব্রহ্মদেশ ২,৩৩,৭•৭ বর্গ মাইল, বাংলাদেশ ৭৬,৮৪৩ বর্গ মাইল । বঙ্গের তিনগুণ বড় ব্রহ্মদেশের লোকসংখ্যা মোটে প্রবাসী—ফাঙ্কন, չՎԻՑԳ iAAMAMMMSJJAeMJAMAAA AAAA AAAA AMMMSAMJAAAA [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড SJJAJABSMMMMJMAMAAA AAAA AAAA AAAAMAJJJS ১,৩২,১২,১৯২ অর্থাৎ বঙ্গের এক-তৃতীয়াংশেরও কম। এই বৃহৎ দেশের বহুমূল্য খনিজ, আরণ্য ও কৃষিজাত সম্পত্তি ব্রহ্মদেশীয়েরা এখন নিজেদের হস্তগত করিতে খুব কমই পারিতেছে, কিন্তু কালক্রমে পরিবে। তাহার পূর্বেই ইউরোপীয়ের তাঙ্কা যথাসম্ভব গ্রাস করিতে চায়। ব্রহ্মদেশীয়েরা এখনও জাগে নাই, তাহাদের লোকমত এখনও প্রবল হয় নাই । তাহারা ইউরোপীয়দের কোন অভিসন্ধি ও কার্য্যের ভাল করিয়া প্রতিবাদ করিডে অসমর্থ। ভারতবর্ষের সহিত তাহদের দেশ যুক্ত থাকিলে ভারতীয়দের দ্বারা অন্তত: এই প্রতিবাদের কাজ কতকটা হইতে পারে। তা ছাড়া, ভারতীয়ের সামান্য ভাবে হইলেও ব্রহ্মদেশের বাণিজ্যক্ষেত্রে ইউরোপীয়দের সহিত প্রতিযোগিতা করে। ব্ৰহ্মদেশকে ভারতবর্ষ হইতে পৃথক করিবার ইহা একটি কারণ। ইংরেজদের যে-সব জাহাজ ভারত-সাম্রাজ্যের উপকূলের নিকট দিয়া যাত্রী ও মাল বহন করে, ভারতীয় বন্দরগুলি হইতে ব্রহ্মের বন্দরে যাতায়াত তাহাদের একটি প্রধান লাভের উপায়। এই উপকূল বাণিজ্য কেবল ভারতীয়দের একচেটিয়া করিবার নিমিত্ত আইন করাইবার চেষ্টা হইতেছে। সেরূপ আইন হইলে ভারতবর্ষ হইতে ত্রহ্মে জাহাজ চালাইয়া ইংরেজরা লাভ করিতে পরিবে না, কারণ এখন ব্রহ্ম ভারতসাম্রাজ্যের অন্তর্গত । কিন্তু উহাকে যদি ভারতবর্ষ হইতে পৃথক করিয়া ফেলা যায়, তাহ হইলে ভারতীয় উপকূল বাণিজ্য আইন ব্রহ্মদেশযাত্রী জাহাজের প্রতি প্রযুক্ত হইতে পারিবে না ; সুতরাং ভারতবর্ষ হইতে ব্ৰহ্মদেশে ও ব্রহ্মদেশ হইতে ভারতবর্ষে জাহাজ চালাইবার লাভজনক ব্যবসা ইংরেজদের হাতে থাকিতে পারিবে। ব্রহ্মদেশকে ভারতবর্ষ হইতে পৃথক করিবার ইহা দ্বিতীয় প্রধান আর্থিক কারণ। ব্রহ্মদেশকে ভারতবর্ষ হইতে পৃথক করিলে ইংরেজদের প্রভূত্ব রক্ষার একটি উপায়ও পরোক্ষভাবে অবলম্বিত হইতে পরিবে । বর্তমান অবস্থায় ব্রিটিশ-শাসিত ব্ৰহ্মদেশ সম্বলিত ভারতবর্ষের আয়তন ১০,৯৪,৩•• বর্গ মাইল, এবং দেশী রাজ্যগুলির মোট আয়তন ৭,১১,০৩২ বর্গ মাইল ; অর্থাৎ