পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سركيسيا প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড ৮ অনেককে জেলে পাঠান হইতেছে । দমন ও নিগ্ৰহ নীতির অনুসরণ বন্ধ না করলে, ‘অন্ততঃ স্থগিত না রাখিলে, কেমন করিয়া সন্ধির সর্ব আলোচিত হইতে পারে ? বড়লাটকে মহাত্মা গান্ধীর চিঠি খবরের কাগজে দেখিলাম, মহাত্মা গান্ধী পুলিসের অত্যাচারের বাছা বাছা ছয়টি দৃষ্টাস্তের উল্লেখ করিয়া বড়লাটকে চিঠি লিখিয়াছেন, এবং এই অনুরোধ করিয়াছেন যে, তিনি এই ঘটনাগুলি সম্বন্ধে প্রকাশ্ব তদন্ত করান। শুনা যায়, বড়লাট রাজী হুইলে গান্ধীজী স্বয়ং সাক্ষী উপস্থিত করাইবেন । গবন্মেন্টের হৃদয়ের পরিবর্তন হইয়াছে কি-না, এই প্রস্তাবে বড়লাট রাজী হওয়া-না-হওয়া হইতে গান্ধীজী তাহা বুঝিতে পরিবেন। লাঠি ও স্বাধীনতা-ঘোষণা দিবস গত স্বাধীনতা-ঘোষণা দিবসের উৎসব উপলক্ষ্যে যেসব সভা ও শোভাযাত্রা হইয়াছিল, তাহার উপর কোথাও কোথাও পুলিস লাঠি চালাইয়াছিল। কলিকাতায় এইরূপ লাঠি-প্রয়োগে মেয়র স্বভাষচন্দ্র বস্থ ও অন্য অনেক ভদ্রলোক এবং অনেক ভদ্রমহিলাও আহত হইয়াছেন । অধিকন্তু স্বভাষবাবু পুলিসের হুকুম অমান্ত করিয়া সভা ও মিছিল করা এবং দাঙ্গা করা অপরাধে কারারুদ্ধ হইয়াছেন । স্বভাষবাবু পুলিসের আদেশ লঙ্ঘন করিয়া থাকিবেন । কিন্তু তিনি দাঙ্গা করিতে গিয়াছিলেন, ইহা কি পুলিসের লোকেও বিশ্বাস করে ? লাহোরে সমগ্র ভারতের ও সমগ্র এশিয়ার নারীদের কনফারেন্স প্রবাসী মাসিক কাগজ হইলেও ইহার কিয়দংশে খবরের কাগজের স্তায় চলতি রাজনৈতিক ব্যাপার সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া থাকি। কখন কখন এমন-সব রাজনৈতিক ঘটনা ঘটে, যে, সংক্ষেপে কিছু লিখিয়াও তাহাদের সবগুলির সম্বন্ধে লেখা হয় না। আজকাল সেইরূপ অবস্থা ঘটিয়াছে। কয়েকটি বিষয়ে সামান্ত কিছু লিখিতে গিয়াও সময় ও পাতা ফুরাইয়া আসিতেছে। সেই জন্য অরাজনৈতিক কোন কোন অতীব প্রয়োজনীয় ঘটনা সম্বন্ধেও কিছু লিখিতে পারিতেছি না। লাহোরে সমগ্র ভারতের নারীদের এবং সমগ্র এশিয়ার নারীদের কনফারেন্স দুটি এইরূপ ঘটনা। এই দুটি কন্‌ফারেন্স নারীদের জাগৃতির পরিচায়ক । ভারতমহিলাদের কন্‌ফারেন্সে মান্দ্রাজের ডাক্তার শ্ৰীমতী মুখুলক্ষ্মী রেড ডী সভানেত্রীর কাজ করেন। তিনি মান্দ্রাজের ব্যবস্থাপক সভায় ডেপুটী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হইয়াছিলেন, কিন্তু সরকারী দমন ও নিগ্ৰহনীতির প্রতিবাদকল্পে তিনি ঐ পদ পরিত্যাগ করিয়াছেন । তিনি মান্দ্রাজের ঘূণ্য দেবদাসী প্রথার বিরুদ্ধে আইন করাইয়াছেন এবং শিশুদের মঙ্গলের জন্য অনেক চেষ্টা করিয়াছেন । ভারতমহিলাদের কনফারেন্সে অনেকগুলি হিতকর প্রস্তাব গৃহীত হয়। সংক্ষেপে তাহার কয়েকটির উল্লেখ করিতেছি । বহুবিবাহ প্রথা ও নারীদের অবরোধ-প্রথার বিরুদ্ধে লোকমত প্রবল করিবার চেষ্টা করা হউক । প্রত্যেক প্রদেশে পতিত নারীদের জন্য উদ্ধারাশ্রম স্থাপনের চেষ্টা করা হউক ; নারী ও বালিকাদিগকে পাপকার্ধ্যে প্রবৃত্ত করিবার ব্যবসা বন্ধ করিবার চেষ্টা হউক ; বেখ্যালয় বন্ধ করিবার আইন হউক এবং যেখানে এরূপ আইন আছে সেখানে আইন অনুসারে কাজ করাইবার জন্য মহিলা অফিসার নিয়োগ করা হউক ; এই কন্‌ফারেন্স দৃঢ় বিশ্বাস করেন, যে, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাসমূহে, ডিষ্ট্রক্ট বোর্ড মুনিসিপালিট ও অন্যান্য স্থানীয় প্রতিনিধি সভাসমূহে, শিশুদের ও নারীদের ইষ্টানিষ্ট যাহাদের সহিত জড়িত এরূপ কমিশন ও কমিটি সমূহে যথেষ্টসংখ্যক নারী প্রতিনিধি থাকা আবণ্ডক