পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা দেশ ও ভারতবর্ষ సెe R এবারে বাঙালী প্রাদেশিকত্বের আর দুইটি লক্ষণের কথা । মসিয়া বাদা এক জায়গায় বলিতেছেন যে, সিয়েইয়ে যখন বেলজিয়াম ও হল্যাণ্ড অধিকার করিবার জন্য সৈন্য পাঠান, তখন তিনি প্রাচীন গলদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে আবার জাগাইয়া তুলিতেছেন, একথা মুহূৰ্ত্তের জন্যও কল্পনা করেন নাই, বিসমার্কও বোধ করি শ্লেসভিক ও হলষ্টাইন অধিকার করিবার সময়ে প্রাচীন .'টিউটনিক অর্ডার’-এর কথা ভাবেন নাই। কিন্তু এযুগের রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা শুধু বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে লইয়াই সন্তুষ্ট নয়, তাহারা অতীতের মধ্যেও আপনার প্রকাশ খুজিয়া বেড়ায় । বাংলা দেশের স্বাতন্ত্র্যবোধের উপরও এই যুগধৰ্ম্মের প্রভাব যে স্বম্পট, এই প্রবন্ধের গোড়াতে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের যে কবিতাটি উদ্ধৃত করিয়াছি-ধৰ্ম্মটই উহার যথেষ্ট প্রমাণ। তবে ইউরোপের দেশগুলিতে ও বাংলা দেশে একটা বড় রকমের তফাৎ আছে । ইউরোপের অতীত সত্যকার একট। জিনিষ, আমরা যে অতীতের ছবিকে বর্তমানের প্রেরণা করিয়া লইয়াছি উহা কল্পনামাজ । মুসোলিনি যখন এ-যুগের ইটালীকে রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী বলিয়া ঘোষণা করেন, তখন আমরা উহাকে লইয়া পরিহাস করিতে পারি, কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের সহিত ইটালীর যে একটা যোগ আছে তাহা অস্বীকার করিতে পারি না । বাংলা দেশের অবনীন্দ্রনাথ ও নন্দলালের সহিত অজস্তার কোন সম্বন্ধ নাই, ৪৯ নম্বর বাঙালী রেজিমেণ্টও Gangarides বা লাল পণ্টনের বিশ্বত গৌরব পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য হট হয় নাই। ইউরোপের বর্তমান অতীতের সস্তান, আমাদের বর্তমান অতীতের জন্মদাতা। किरू कझना श्छेक चुई बांशहे इउँक, दéभांटन আমরা যাহা কিছু করিতেছি ও করিতে চাহিতেছি, তাহাদের ಶ್ಗ স্বচনা অতীতে হইয়াছিল, বাঙ্গালীর ব*৭াল ও ভবিষ্যৎ তাহার অতীতের জীবনধারারই পূর্ণ বিকাশ ও ফুৰ্ত্তি মাত্র, এ-বিশ্বাস বাঙালী জাতীয়ত্বের খুব একটা বিশিষ্ট লক্ষণ। ইহার ফলে মুসলমান আমলের 'সদা বিদ্রোহের দেশ" বাংলার সহিত এ-যুগের বিপ্লববাদী বাংলার একটা যোগসাধন করিতে করিতে আমরা সমর্থ হইয়াছি, সিরাজউদৌলার সেনাপতি মোহনলালকে বাঙালী মোহনলালে পরিণত করিয়াছি। বোধ করি, অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশের বর্ধন উপাধিধারী ভদ্রসম্ভানদিগকে প্রভাকরবর্ধনের পুত্র হর্ষবর্ধনের ও গুপ্তদিগকে সমুদ্রগুপ্তের বংশধর বলিয়া পরিহাস নয়। y-যুগের রাজনোতক আন্দোলনেও বাংলাদেশের অনিশ্বর আত্মারই ধে পূর্ণপ্রকাশ হইতেছে, এ বিশ্বাস দেশবন্ধুরও ছিল। প্রথম স্বদেশী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করিয়া তিনি বলিতেছেন,— এই যে মহাৰঙ্গর কথা বললাম, তাহাতে আমরাতাসির ভূবিদ .चैांछिब्रांश् ि॥ यात्रणाब cव औदछ &थां★, ठांशद्र भांक्रां९ vi३ब्रांहि । বাঙ্গলার প্রাণে প্রাণে আবহমান যে সভ্যতা ও সাধনার - স্রোত, তাহাতে অবগাহন করিয়াছি। বাঙ্গলার যে ইতিহাসের ধারা, তাছাকে কতকটা বুঝিতে পারিয়াছি। বৌদ্ধের বুদ্ধ, শৈবের শক্তি, শাক্তের শক্তি, বৈষ্ণবের ভক্তি, সবই যেন চক্ষের সম্মুখে প্রতিভাত হইল। कठिनान, विनागठिद्र जोन भान गष्ट्रिण । भशॉयडूब्र औदनtनोब्रव জামাদের প্রাণের গৌরব বাড়াইয়া দিল। জ্ঞানদাসের গান, গোবিলদাসের গান, লোচনদাসের গান, সবই যেন একসঙ্গে সাড়া .म्नि] प्लेोण । कवि७ब्रोणाप्नम्न श्रोएनम्न ५ुनि थोए५ शाब्रिएछ जात्रिण । ब्रामयनारमब्र नाषन मत्रौष्ठ चाभब्रा भजिलाभ । दूकिणाम. cकन ইংরাজ এ দেশে আসিল, বুঝিলাম, রামমোহনের তপস্থার নিগুঢ় মৰ্ম্ম কি ? বঙ্কিমের যে ধ্যানের মূৰ্ত্তি সেই— “. . छूभि विषn छूभि प* তুমি হৃদি তুমি মর্শ ত্বং হি প্রাণাঃ শরীরে বাছতে তুমি মা শক্তি झनप्द्र झुधि मा उखि তোমারই প্রতিমা গড়ি प्रबिन्न प्रक्रिब्र ! —সেই মাকে দেখিলাম, চিনিলাম। বঙ্কিমের গান আমাদের কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল। বুঝিলাম রামকৃষ্ণের সাধনা কি-সিদ্ধি ८कोषान्न, दूषिणांभ cकशबध्ठ cकन, कांशद्र छांक खनिद्रा षप्{ब्र তর্করাজ্য ছাড়িয়া মর্থরাজ্যে প্রবেশ করিয়াছিলেন। বিবেকানদের ৰাণীতে প্রাণ ভরিয়া উঠিল। বাংলা দেশের অতীত যেন একটা জারসীয় মৃত্g লোকে উহাতে যাহা দেখিতে পায় তাহ। তাহাদেী নিজেরই মুখের ছায়া । দেশবন্ধুর আবেগময় দেশপ্ৰে বাঙালীর সমস্ত ইতিহাসকে স্বদেশী আন্দোলনের প্রেরণা বলিয়াই দেখিতে পাইয়াছিল, বাংলা দেশের আর এক নব্যপন্থী দল উহার মধ্যে নিজেদের মতামতেরই পরিপোষক যুক্তি খুজিয়া পাইলেন। তবে চিত্তরঞ্জনের মধ্যে যাহা ছিল আবেগমাত্র, এই বুদ্ধিমত্তাভিমানী দলের মধ্যে তাহা যুক্তির রূপ ধরিয়া দেখা দিল । বাঙালী আৰ্য্য কি অনাৰ্য্য, বাংলা দেশ আধ্য সভ্যতার দ্বারা কতটুকু প্রভাবান্বিত হইয়াছিল, এ-সকল সমস্ত বাংলা দেশের ইতিহাসের পুরাতন প্রশ্ন। বঙ্কিমচন্দ্র হইতে আরম্ভ করিয়া এ-যুগের লেখকগণ পৰ্য্যন্ত সকলেই তাহার অল্পবিস্তর আলোচনা করিয়াছেন। ইতিহাসের দিক হইতে এসকল প্রশ্নের আলোচনার যথেষ্ট প্রয়োজন আছে।