পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] এ এখানে থেকে আমাদের দেশের রাল্প=িডাল ভাত শাক রুটা প্রভূতি খাওয়াবে। বিকেল তিনটেয় শহর দেখতে বেরুলুম—স্থানীয় শিল্পত্রব্য আর কিউরিও’-র সন্ধানে ; ভীষণ রোদ্ধ র, দোকানপাট সব বন্ধ—সেই চারটের পর খুলবে। ট্রামে ক’রে ঘণ্টা দেড়েক ধ’রে শহরটায় খানিকট ঘুরে এলুম। বিকেল পাচটায় ছিল কবির সংবদ্ধনার জন্ত স্থানীয় ভারতীয়দের আস্থত এক সভা। এখানে চা-পানের ব্যবস্থা ছিল । স্বরাবায়ার রেসিডেণ্ট, স্থানীয় ব্রিটিশ ভাইসকনসাল, চীনের কনসাল, এরা সকলে উপস্থিত ছিলেন । কবিকে অভিনন্দন করা হ’ল, শ্ৰীযুক্ত ঝাখ অভিনন্দনপ্রশস্তি পড়লেন, বিশ্বভারতীর উদ্বেপ্তের সঙ্গে সহকুভূতির নিদৰ্শন-স্বরূপে হাজার-এক টাকার তোড়া দেওয়া হ'ল। উপস্থিত ভদ্রলোকেদের মধ্যে কেউ কেউ ব’ললেন—ইংরেজ ভাইস-কনসালের বকৃভাট খুবই হৃদয়গ্রাহী হ’য়েছিল। কবিও যথাযোগ্য উত্তর দিলেন । নানা জাতির লোক এই সভায় নিমন্ত্রিত হ’য়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। নামে এক আরমানী ব্যবসায়ার সঙ্গে দেখা হ’ল ; এরা দুপুরুব ধ’রে এ অঞ্চলে চিনের আর অন্য জিনিসের কারবার ক’রছেন, দু’ভাইয়ে আপিপের বা গল্পীর মালিক,নানা দেশ ঘুরেছেন। আরমানী জাতের সম্বন্ধেও কিছু খোজ-খবর রাখবার চেষ্টা ক’রে থাকি দেখে ভদ্রলোক ভারী খুশী । আমাদের বাড়ী ষে রাস্তায়, সে রাস্তা Sukias "কিয়াস নামে একটা প্রাচীন আরমানী পরিবারের নামের সঙ্গে জড়িত ; ১৬৯e• সালে Job Charnock যেবে চার্ণকের সঙ্গে ইংরেজদের ক'লকাতায় এসে আড্ড গাড়বার অনেক আগে ধাকৃতেই জারমানীরা বাণিজ্য-স্থত্রে এখানে এসে বাস ক’রত,—১৬৩০ সালের এক আরমানী স্মৃতিফলকের লেখা থেকে জানা যায়—সমাধির, উপরে স্থাপিত এই স্মৃতিফলকে এই কথা আছে যে ১৬৩০ সালে দানশীল বণিক স্বকিয়াস-এর পত্নী রেঞ্জাবীবে-র সমাধি,—এটা হচ্ছে কলকাতার ইতিহাস-সম্পর্কে সব চেয়ে প্রাচীন সমসাময়িক “शाभूब्र' अंबान ” दावगाब-दिबाब आहे चाब्रधानौप्यब्र l lagopian দ্বীপময় ভারত సె83. প্রভাব থেকে উত্তর কলকাতার একটা গঙ্গার-ঘাটের নাম ‘আরমানী ঘাট’ । এ সব কথা শুমে ভদ্রলোক খুবই আনন্দিত হ’লেন । বাস্তবিক, এই সব ইতিহাস অজ্ঞাত আরমানী আর অন্য জাতির বণিকেরা সেকালে আন্তজাতিক শান্তি আর সহযোগিতার জন্ত দূতের কাজ ক’রত ; মানুষকে এক ক’রে তুলতে এদের কাজের গৌরব আমরা অনেক সময়ে ভুলে যাই । ● . সভা ভঙ্গের পরে যুক্ত লোকুমল নিয়ে গেলেন তার দোকানে। 'কেম্বুড়-জেপুন’ রাস্তাটার নাম, এর দুধারে সিন্ধাদের রেশমের কাপড় আর মণিহারী জিনিসের কতকগুলি দোকান। বলিদ্বীপে যাবার সময়ে শ্ৰযুক্ত লোকুমল বিতরণ করবার জন্য ডচ ভাষায় গীত৷ আর অন্য কতকগুলি বই দিয়েছিলেন, সেকথা ব’গেছি । বলিদ্বীপের হিন্দুদের কথা ইনি শুনতে চাইলেন । আমি সংক্ষেপে দুচার কথায় কিছু কিছু ব’ললুম। তারা যে ঠিক আমাদের মতন হিন্দু নয়, তাদের ইঙিহাস আর মনোভাব যে অনেকটা স্বতন্ত্র—তবুও তাদের মধ্যে হিন্মুধৰ্ম্মের মূল স্বত্রগুলি কাজ করছে, এ-সব কথা বোঝাবার চেষ্টা ক'রলুম। লোকুমল জিজ্ঞাসা করলেন, তার মাংস খায় কি না। পূজায় শূরের মাংস দেওয়া, ব্রাঞ্চণভোজনে 'রোস্ট্র ডাক্‌’ এ-সব শুনে তার ভালো লাগলনা ; আর নিম্ন শ্রেণীর হিন্দুরা গোমাংস খায়, একথা শুনে তিনি ব’ললেন,—“কৈসে পতিং ভ্রষ্টাচারী হুে গয়ে ঠৈ ! বাবুল, ইন্‌ছে ঐশী শিক্ষা দেন। চাহিয়ে, কি জিসসে অপনে জীবন পর ইন্‌ৰী ঘুণ হে জায় —জামি, ব’ললুল - পূবরদার না, এমন শিক্ষা যদি আমরা দিতে চাই, যাতে ক’রে এদের নিজেদের জীখনে ঘৃণা হ'য়ে যায়, তা হ’লে আমরা এদের হারাবো ; হিন্দুধৰ্ম্মের মূল কথা নিয়েই এদের সঙ্গে বা এদের মধ্যে কাজ করতে হবে। তারপরে প্রাচীন ভারতে গোমাংস ভক্ষণ নিয়েও কথা । হ’ল । মোটের উপর, ভদ্রলোক স্বাকার করলেন ষে এদের সামাজিক সংস্থার দিকে, এদের চিরাচরিত রীতিনীতির দিকে লক্ষা রেখে শাস্ত্র শিক্ষা দেওয়া উচিত ; অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করা উচিত ; সিন্ধু দেশে মুসলমানদের ছোয়৷ খেলে, বা পাশাপাশি চুলায় মুসলমানের সঙ্গে ফুট