পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] চালালেন। প্রায় সাড়ে বারোটাতে সভা ভাঙল। তারপরে একটা রেস্তোরায় গিয়ে কুলক্ষী-বরফ খেতে খেতে এদের সঙ্গে খানিক গল্প করা গেল। শ্ৰীযুক্ত স্বতম-র সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত ক'রে ভারী আনন্দ হ’ল ! ডচ ডাক্তার Klaverweiden ক্লাফরভাইডন-এর সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ হ’য়েছিল—ইনি বিশ্বভারতী কলাভবনের জন্য একটা মূল্যবান উপহার দিলেন—চমৎকার কাজকরা একটা সেকেলে কাঠের সিন্দুকে ক’রে অনেকগুলি Wajang ‘ওয়াইয়াং’ বা ছায়া নাট্যে ব্যবহৃত চামড়ায় কাটা আর খুব রঙচঙে আর সোনালী কাজকরা মূৰ্ত্তি । দুপুরে লোকুমলের ওখানে আমাদের মধ্যাহ্ন ভোজনের নিমন্ত্রণ ছিল. বাকে আর আমরা গেলুম, কবি বাসায় রইলেন। বাকে ধুতি আর পাঞ্জাবী পরে যাওয়ায় সিন্ধীর ভারী খুশী হ’ল । বাড়ীর নীচের তলায় দোকান, পিছনে গুদাম, উপরে মস্ত একটা হল-ধরে দোকানের মালিক বা ম্যানেজার অার কৰ্ম্মচারীদের থাকার জায়গা । উপরেই খুব গালিচ বিছিয়ে আমাদের খাবার জায়গা হ’য়েছিল। এই থাকার জায়গার একটুখানি স্থান ঘিরে নিয়ে একটী ঠাকুর-ঘর ক’রেছে। প্রত্যেক বড়ো সিন্ধী দোকানে এই ঠাকুর-ঘর একটা ক’রে থাকে । ধৰ্ম্মকে এরা একেবারে বাদ দেয় নি। বাতাবিয়ায় দ্বিতীয়বার যখন যাই, তখন এই সিদ্ধিদেরই আতিথ্য গ্রহণ করি, এদের সঙ্গে একত্র থাকি । এদের রীতিনীতি দেখবার আর এদের সুবিধা আর সমস্ত আলোচনা করবার একটু হযোগ তখন হয়। সে সম্বন্ধে পরে বলবো। লোকুমল দ্বীপময় ভারত ఇ8$ খুব 'ধত্ব করে. আমাদের খাওয়ালেন । লোকুমলের ওখানে একটা গুজরাটা মুসলমান যুবকের সঙ্গে আলাপ হ’ল। এর বাড়ী প্রসিদ্ধ জৈন তীর্থ পালিটানায় । এখানে এর একটী ষ্টীল-ট্রাঙ্কের কারখানা আছে, তাতে কতকগুলি বাঙালী মুসলমান কারিগর কাজ করে। বাঙালী মুসলমান দাঙ্গ তামদেশে বাঙ্কক-শহুরে অনেক আছে জানতুম, অন্ত ব্যবসায়ের বাঙালী কারিগর এতদূর পয্যন্তও এসে পৌঁছুবে, এটা একটা নোতুন খবর। রাত্রে নটায় ছিল Kunstkring বা ডচদের সাহিত্যসঙ্গীত-কলা সভায় কবির বক্তৃত। কবির স্বরাবায়ার অবস্থানের সম্পর্কে এইট একটা বড়ো ব্যাপার। স্থানীয় Kunstkring-এর বাড়ীটী অতি সুন্দর, অতি-আধুনিক ইউরোপীয় বাস্তুরীতি অনুসারে তৈরী। ডচ সমাজের প্রায় সমস্ত প্রধান ব্যক্তি এসেছিলেন । সভার সম্পাদক কবিকে স্বাগত ক’রে এক অভিভাষণ দিলেন, আর কবির সম্বন্ধে একটা প্রবন্ধ প’ড়লেন। কবির ব্যাখ্যান তার পরে sa , fast fisa, What is Art i šta *** অতি স্বন্দর হয়েছিল। বক্তফ্লার পরে, আমরা Kunstkring-এর বাগানে থানিক ব’লে, প্রায় সাড়ে দশটায় বাড়ী ফিরলুম। ক্লাবের সংলগ্ন বাগানে বসে কাফি শরবৎ বা বিয়ার পান করা আর খানিক রাত পৰ্য্যস্ত গল্প গুজব করা এখানকার ডচেদের মধ্যে একটা সামাজিক রেওয়াজ হ’য়ে দাড়িয়েছে। এখানকার পাট চুকূল, পূরকর্ড যাত্রা করতে হবে। কাল সকালে আমাদের , { ক্রমশ: )