পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

] সংখ্যা ان صبحیحیی বিবিধ এী-বােম্বাই প্রদেশে রাজস্ব হ্রাস .నరిణ পঞ্জাৰীদ্ধের চেয়ে বেশী কুন খাওয়া দরকার হয়। কিন্তু ভারতবর্ষের যে প্রদেশের লোকের মাছমাংস যতই খাক না, ইউরোপের লোকদের মত এত বেশী মাংসাশী তাহারা নহে । অথচ সমগ্র ডাক্টতে গড়ে মাথা-পিছু এক একজন লোক বৎসরে ৬ সের ইম থায় ; কিন্তু ইংরেজরা মাথাপিছু ২০ সের, পোর্তুগীজরা ১৭০ সের; খায় । ভারতবর্ষের লোকদের স্বাস্থ্যের জন্য ঐ ইউরোপীয়দের চেয়েও অনেক বেশী কুন খাওয়া দরকার, কিন্তু তাহারা খাইতে পায় না। খরচ-খরচ বাদ লবণ শুল্ক হইতে ভারত-গবন্মেন্ট মোট সাড়ে পাচ কোটি টাকা পান । তাহ আদায় করিতে এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা খরচ হয় । ৫০ কোটি টাকা বাণিজ্যশুল্ক আদায় করিতে মোট ৭৫ লক্ষ টাক মাত্র খরচ হয় । ইহা হইতে বুঝা যায়, লবণশুদ্ধ আদায় করা কিরূপ ব্যয়সাধ্য । ঢাকা উপদ্রবের সরকারী তদন্তের রিপোর্ট কখন পাইব ? ২৭শে আগষ্ট ১০ই ভান্দ্রের অমৃতবাজার পত্রিকায় ঢাকা উপদ্রবের সরকারী তদন্তের রিপোর্ট বাহির হয় । ঐ তারিখে বাউহার কাছাকাছি তারিখে "য়্যাডভ্যান্সে” রিপোটের উপর প্রবন্ধ বাহির হয় । ৪ঠা সেপ্টেম্বর ১৮ই ভান্দ্রের একটি বাংলা সাপ্তাহিকে আমরা রিপোটের সারসঙ্কলন দেখিতে পাইলাম। এই সকল কাগজের সম্পাদকের সম্ভবতঃ রিপোর্টটি বিনামূল্যে পাইয়াছেন। আমরা তাহ পাই নাই । ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯শে ভাদ্র আমরা বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট বুক ডিপোতে ঐ রিপোর্ট একখানি কিনিতে পাঠাই ৷ পাওয়া যায় নাই । ঐ সরকারী দোকানের কে একজন–র্তাহার স্বাক্ষর পড়িতে পারা যায় না—লাল কালীতে লিখিয়া দিয়াছেন, "Not yet ready for issue, 5-9-30." www.sfor hotos শীঘ্ৰ বিনামূল্যে সরকারী রিপোর্ট পাইবেন, অন্ত সম্পাদকের বিলম্বে পয়সা দিয়াও তাহ পাইবেন না, এ রীতি ভাল নয় । বোম্বাই প্রদেশে রাজস্ব হ্রাস বোম্বাই প্রদেশের সংবাদপ্রকাশ বিভাগের ডিরেক্টর তথাকার খবরের কাগজগুলিকে ঐ প্রদেশের রাজস্ব হ্রাস সম্বন্ধে কতকগুলি সংবাদ জানাইয়াছেন । তাহা হইতে জানা যায়, এপর্য্যন্ত রাজস্ব এককোটি পচিশ লক্ষ টাকা কমিয়াছে। ইহা প্রধানতঃ সত্যাগ্রহ প্রচেষ্টার ফল বলিয়া কথিত হইয়াছে । আবগারী রাজস্বই সকলের চেয়ে । বেশী কমিয়াছে—ষাট লক্ষ কমিয়াছে । অরণ্যের রাজস্ব ১৫ লক্ষ এবং ভূমির রাজস্ব ১৫ লক্ষ কমিয়াছে ; ষ্ট্যাম্প হইতে রাজস্ব হ্রাস ১১ লক্ষ । ঘোড়দৌড়ে বাজীরাখা হইতে ১২ লক্ষ টাকা আয় হইবে, ধরা হইয়াছিল। কিন্তু তাহাতে আন্দাজী ৩ লাখ টাকা কম আয় হইবে । বোম্বাইয়ে এপর্য্যস্ত সওয়া কোটি টাকা রাজস্ব কমিয়াছে । অন্যান্য প্রদেশেও কমিয়াছে, কিন্তু কত তাহা এখনও জানা যায় নাই । সমগ্র ভারতে ছয় সাত কোটি রাজস্ব কমিবে, অনুমান করিলে আন্দাজটা বোধ করি বেশী হইবে না। অন্য দিকে পুলিস ও জেলের জন্য অতিরিক্ত খরচও সমগ্র ভারতে কয়েক কো কম হইবে না। মহাত্মাজী যখন লবণ-আইন ভঙ্গ করিয়া সত্যাগ্ৰহ আরম্ভ করিবেন স্থির করেন, তখন গবন্মেণ্ট যদি জনসাধারণের দুঃখের কারণের বিদ্যমানত স্বীকারের চিহ্নস্বরূপ মহাত্মাজীর অনুরোধ অনুসারে কুনের ট্যাক্স তুলিয়া দিতেন, তাহা হইলে রাজস্বের ক্ষতি সাড়ে পাচ কোটি টাকা হইত। কিন্তু এখন তাহা অপেক্ষ বেশী ক্ষতি হইতেছে । অধিকন্তু পুলিস ও জেলের ব্যয় খুব বাড়িয়াছে । শান্তি ও অশাস্তির দিকটাও ভাবিবার বিষয় । মুনের ট্যাক্স তুলিয়া দিয়া মহাত্মাস্ত্রীর সহিত রফ ও সন্ধির কথা চালাইলেই সত্যাগ্রহ বন্ধ হইতে পারিত কারণ মহাত্মাজী অবুঝ জেদী লোক নহেন। সত্যাগ্রহ বন্ধ হইলে এত লোক প্রহৃত, হতাহত, কারারুদ্ধ হইত না, দেশে এত হুলস্থূল অশাস্তি হইত না । কিন্তু তখন যে সরকার বাহাদুর মুনের ট্যাক্স তুলিয়া দিতে রাজী হন নাই, তাহার কারণ র্তাহারা মহাত্মাজীর প্রভাবের এবং লোকের অসন্তোষের দুঃখসহিষ্ণুতার ও সাহসের পরিমাণ আন্দাজ করিতে পারেন নাই, তাহা তুচ্ছ জ্ঞান করিয়াছিলেন ; আপনাদের শক্তিসামর্থ্য সম্বন্ধেও তাহাদের ধারণা অতিরিক্ত রকম উচ্চ ছিল এবং এখনও আছে অনেকে বলিতে পারেন, প্রবলপরাক্রান্ত গবন্মেণ্ট কেমন করিয়া একজন প্রজার সঙ্গে রফা ও সন্ধির কথা চালাইবেন? সত্য । কিন্তু রফা সন্ধি ও শাস্তির কথার আরম্ভ যিনিই করুন, কংগ্রেসনেতারা করেন নাই, এবং কথাবার্তা ব্রিটেনের মন্ত্রীমণ্ডল ও বড়লাটের সম্মতিক্রমেই চলিতেছে। স্বতরাং এখন এরূপ কথাবার্তা চালানতে যদি গবন্মেণ্টের লাঘব না হইয়া থাকে, তাহা হইলে