পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిy ഹww.ഹാ.സ.h. প্রবাসী—আশ্বিন, F [৩•শ ভাগ, ১ম খণ্ড ംാ l് - --ബ് আগে তাহ চালাইলেও লাঘব হইত না । গবন্মেষ্ট বা কংগ্রেপ, কোন পক্ষেরই আত্মাভিমানের আতিশয্য বাঞ্ছনীয় নহে । [ ১৯শে ভাদ্র, ৫ই সেপ্টেম্বর লিখিত । ] বঙ্গে গ্রাম্য প্রাথমিক শিক্ষা আইন ভাদ্রের প্রবাসীতে দেখান হইয়াছে, শিক্ষামন্ত্রী ৬ হইতে ১১ বৎসর বয়সের যত বালকের জন্য পাঠশালা খুলিবেন বলিয়াছেন, বঙ্গে তাহা অপেক্ষ ঐ বয়সের অনেক বেশী বালক আছে ; যত বালিকার জন্য খুলিবেন বলিয়াছেন, তাহার সাড়ে তিন গুণেরও অধিক ঐ বয়সের বালিকা আছে । ঐ বয়সের যত বালক ও বালিকা এখন শিক্ষা পায়, তাহার উপর আরও ২৭ লাখ ও ১০ লাখকে শিক্ষা দিবেন, তাহার রোটারী ক্লাবের বক্তৃতার এরূপ অর্থও হইতে পারে না । কারণ এখন ১৯,৫৯,০৯৮ জন বালক প্রাথমিক পাঠশালাসমূহে শিক্ষা পায় । এই কুড়ি লাখের সহিত সামতাশ লাখ যোগ করিলে ৪৭ লাখ হয় । কিন্তু বঙ্গে ৬ হইতে ১১ বৎসর বয়সের বালক মোটে ৩৮,০১,৫৪২ জন আছে । . মোট যত বালক আছে, তার চেয়ে ৯ লাখ বেশী বালকের শিক্ষার ব্যবস্থা অবশু শিক্ষামন্ত্রী করিতেছেন না । এখন দেখা গেল, যে, যদিও সরকার বঙ্গের সকল জায়গা হইতে শিক্ষা-ট্যাক্স আদায় করিবেন, তথাপি সব জায়গায় নিদিষ্ট বয়সের সব বালকবালিকার শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন না, সমুদয় বালকবালিকার কিয়দংশেরই জন্য পাঠশালা খুলিতে পারিবেন। তাহার মানে, কোন কোন জেলার কোন কোন স্থানে যথেষ্ট পাঠশালা খোলা হইবে না ; অথচ সব জেলার সব জায়গা হইতেই ট্যাক্স আদায় হইবে । যাহারা ট্যাক্স দিবে অথচ যাহাঁদের বালকবালিকার শিক্ষা হইতে বঞ্চিত থাকিবে, কি নীতি বা নিয়ম অনুসারে কোন কোন জেলার কোন কোন স্থান হইতে এইরূপ সব লোক বাছিয়া বাছিয়া বাহির করা হইবে ? বঙ্গের এই প্রাথমিক শিক্ষা আইনটির বিরোধিতা আমরা প্রথম হইতে করিয়া আসিতেছি, অন্ত কোন কোন সম্পাদকও করিতেছেন । কিন্তু কেবল বাঙ্গালী সম্পাদকেরাই ইহার বিরোধী নহেন। গোখলে কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত দারিত্র্যব্ৰতী ভারতভূত্য সমিতির ( দি সার্ভেন্ট অব ইণ্ডিয়া সোলাইটার) মুখপত্র সার্ভেন্ট অব ইণ্ডিয়া পুণা হইতে প্রকাশিত হয়। ভারতভৃত্য সমিতির সভ্যেরা উহার নিয়ম অনুসারে কোন TASeMASAAMAMAMA AA MAMAMAAAA সাম্প্রদায়িক সভা সমিতির সভ্য হন না, এবং সাম্প্রদায়িকতার খাহার বিরোধী। এই কাগজ বঙ্গের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ও জমিদারী প্রথার বিরোধী। এই কাগজে বঙ্গের/প্রাথমিক শিক্ষা আইনটার সম্বন্ধে অন্যাঙ্ক কথার মধ্যে বলা হইয়াছে – It so happens that the great bulk of the landlords are Hindus and the tenants Muslims. The collection of the tenants' share by the landlords, who are already none too popular with the tenants, will make them more unpopular still. The Muslim Education Ministor toured East Bengal to seek popular support for his Bill. East Bengal has a majority of Muslims, who seemed to have been fed to read into the Bill a communal triumph for Muslims : getting the Hindus to pay for the benefit of the Muslims. তাৎপৰ্য্য। “বঙ্গের অধিকাংশ জমিদার ছিন্দু, অধিকাংশ রায়ৎ মুসলমান । জমিদারদের দ্বার রায়তদের নিকট হইতে শিক্ষা-ট্যাক্সের তাহাদের অংশের আদায়ের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই স্নায়তদের অপ্রিয় জমিদারশ্ৰেণীকে তাহদের আরও অপ্রিয় করিবে। মুসলমান শিক্ষামন্ত্রী তাহার বিলের সমর্থন সংগ্ৰহাৰ্থ পূর্ববঙ্গে সফর করেন। পূর্ববঙ্গে মুসলমানের সংখ্যা বেশী। বিলটি মুসলমানদের পক্ষে সাম্প্রদায়িক জয়, তাহার মধ্যে এইরূপ একটা মানে তাহদের মাথায় ঢুকান হইয়৷ থাকিবে--অর্থাৎ মুসলমানদের সুবিধার জন্য হিন্দুদিগকে টাকা দিতে হইবে।” মুসলমান রায়তদের কাছে যে-সব হিন্দু জমিদার খাজনা পান,তাহাদের শিক্ষার জন্য র্তাহারা কতকটা টাকা দিবেন, ইহাতে আমরা কিছু অন্যায় দেখি না। কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রী যাহাই বলুন, ট্যাক্স দেওয়াটা কাহারও পক্ষে প্রতিকর নহে । সুতরাং জমিদারেরা নিজেদের ও প্রজাদের অংশ দিতে বাধ্য হইবেন, কিন্তু প্রজাদের অংশ আদায় করিতে র্তাহাদিগকে অপ্রিয় হইতে ও বেগ পাইতে হইবে । হয় ত রায়তদের অংশ তাহাদের নিকট হইতে অনেক স্থলে আদায় হইবে না । কিন্তু তাহাতে গবন্মেন্টের কোন ক্ষতি হইবে না ; কারণ জমিদারদিগকে সবটাই দিতে হইবে । অধিকাংশ জমিদার হিন্দু ও অধিকাংশ রায়ং মুসলমান হওয়ায় এই শিক্ষা-ট্যাক্স হিন্দু-মুসলমানের বিবাদের আর একটা স্থায়ী কারণ হইবে । এই জন্য প্রজার অংশ আদায়ের ভার ব্রিটিশ সরকারের লওয়া উচিত ছিল। ইহা যে হিন্দুমুসলমানের ঝগড়ার একটা g মৃতন কারণ হইবে, তাহা বুঝিবার মত বুদ্ধি সরকারী ও বেসরকারী ইংরেজ এবং মুসলমান শিক্ষামন্ত্রী ও অন্য অনেক মুসলমান সভে্যুর আছে। অথচ তাহার রায়তদের অংশ আদায়ের ভার গবন্মেন্টের উপর অর্পণ করিয়া