পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. وانسرا প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ AMAMSMAAASA SSASAS A SAS SSAS SSASAS SS SAAAAAMAMSMMMAA ASASASAMAMAM AAAAA [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড ফাগুনদিনে পার্থীর ডাক, ময়ুরকষ্ঠ রংয়ের আকাশটা— করলেই নাকি সুবিধা হয়ে যায়, ও আমি কোরে নেবো রক্তে যেন এদের নেশা লাগে–গৰ্ব্ব, উৎসাহ, নবীন জীবনের আনন্দ-ভরা প্রথম পদক্ষেপ। নিৰ্ম্মলা তুচ্ছ !. আর এক দিক হইতে ডাক আসে—অপু আশায় আশায় থাকে । নিরাবরণ মুক্ত প্রকৃতির এ আহবান, রোমান্সের আহবান—তার রক্তে মেশানো, এ আসিয়াছে তাহার বাবার নিকট হইতে উত্তরাধিকার সূত্রে—বন্ধন মুক্ত হইয়া ছুটিয়া বাহির হওয়া, মন কি চায় না বুঝিয়াই তাহার পিছু পিছু দৌড়ানো, এ তাহার নিরীহ শাস্তপ্রকৃতি ব্রাহ্মণপণ্ডিত পিতামহ রামহরি তর্কালঙ্কারের দান নয়—যদিও সে র্তার নিস্পৃহ জ্ঞানপিপাসা ও অধ্যয়নপ্রিয়তাকে লাভ করিয়াছে বটে। কে জানে পূৰ্ব্বপুরুষ ঠ্যাঙাড়ে বীরুরায়ের উচ্ছ,স্থল রক্ত কিছু আছে কিনা— তাই তাহার মনে হয় কি যেন একটা তাহারই প্রতীক্ষায় থাকে। অপূৰ্ব্ব গন্ধ-ভরা বাতাসে নবীন বসন্তের শ্বামলীতে অস্তসূর্য্যের রক্ত আভায় সে রোমান্সের বার্তা যেন লেখা থাকে । ঘটবে, বাড়ীতে অপু মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করিল। কলিকাতায় যদি সে পড়িতে যায় স্কলারশিপ না পাইলে কি কোনো সুবিধা হইবে ? সৰ্ব্বজয় কখনো জীবনে কলিকাতা দ্যাগে নাই—সে কিছু জানে না। পড়া তো অনেক হইয়াছে আর পড়ার দরকার কি ?--অপুর মনে কলেজে পড়িবার ইচ্ছা খুব প্রবল। কলেজে পড়িলে মানুষে বিদ্যার জাহাজ হয়। সবাই বলিবে কলেজের ছেলে । যাহার কলেজে পড়ে, তাহদের মুখে সে কলেজ-জীবনের কত গল্প শুনিয়াছে, সেখানে রোজ রোজ দাড়াইয়া উঠিয়া পড়া বলিতে হয় না, প্রোফেসার আসিয়া বক্তৃতা দেন। ক্লাশের টাস্ক ও দেখাইতে হয় না, কিছুই হয় না—কিছুই না—সে ভারী মজার ব্যাপার। মাকে বলিল—নাই যদি স্কলারশিপ পাই, তাই বা কি ? একরকম কোরে হয়ে যাবে—রমাপতি-দা বলে । কত গরীবের ছেলে কলকাতায় পড়চে, গিয়ে একটু চেষ্টা Wil— কলিকাতায় যাইবার পূর্বদিন রাত্রে আগ্রহে উত্তেজনায় তাহার ঘুম হইল না। মাথার মধ্যে যেন কেমন করে, বুকের মধ্যেও । গলায় যেন কি আটুকাইয়া গিয়াছে । সত্য সত্য সে কাল এমন সময় কলিকাতায় বসিয়া আছে !...কলিকাতায় ! .. কলিকাতা সম্বন্ধে কত গল্প, কত কি সে শুনিয়াছে । অতবড় সহঁর আর নাই। কত কি অদ্ভুত জিনিষ দেখিবার আছে, গড়ের মাঠ, মিউজিয়ম, চিড়িয়াখানা, থিয়েটার-—কত কি ! বড় বড় লাইব্রেরী অাছে সে শুনিয়াছে, বই চাহিলেই সেখানে বসিয়া পড়িতে দেয়। মোটর গাড়ী বলিয়া যে গাড়ীর বিষয় ‘নন্দন কানন সিরিজে’র বইতে কত পড়িয়াছে, বইয়ে ছবি দেখিলেও এ পর্য্যস্ত চক্ষে দেখা ঘটে নাই কলিকাতার রাস্তায় নাকি রোজ পঞ্চাশ ষাটখানা মোটরগাড়ী দেখা যায়। সামনের বারের এ-সময় সে একজন কলেজের ছেলে । বিছানায় শুইয়া সারারাত্ৰি ছট্‌ফট্‌ করিতে লাগিল। বাড়ীর পিছনের তেঁতুল গাছের ডালপালায় অন্ধকারকে আরও ঘন করিয়াছে, ভোর আর কিছুতেই হয় না। হয়ত তাহার কলিকাতা যাওয়া ঘটিবে না, কলেজে পড়া ঘটিবে না, কতলোক হঠাৎ মারা গিয়াছে, এমনি হয়ত সেও মরিয়া যাইতে পারে। কিন্তু ভগবানের কাছে সে প্রার্থনা করে, কলিকাতা না দেখিয়া, কলেজে অন্তত কিছুদিন পড়ার আগে যেন সে না মরে। কলিকাতায় সে কাহাকেও চেনে না, কোথায় গিয়া উঠিবে ঠিক নাই, পথঘাটও জানা নাই। মাসকতক আগে দেবব্রত তাহাকে নিজের এক মেসোমহাশয়ের কলিকাতার ঠিকানা দিয়া বলিয়াছিল, দরকার হইলে এই ঠিকানায় গিয়া তাহার নাম করিলেই তিনি আদর করিয়া থাকিবার স্থান দিবেন। ট্রেনে উঠিবার সময় অপু সে কাগজখানা বাহির করিয়া পকেটে রাখিল । রেলের পুরানো টাইমটেবলের পিছন হইতে ছিড়িয়া লওয়া একখানা কলিকাত সহরের নক্স তাহার টিনের