পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয় শিপে দাক্ষিণাত্য-প্রভাব শ্রীরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহীপালের মৃত্যুর পরে আয্যাবৰ্ত্তে পালবংশের রাজাদের প্রভাব হাসের সঙ্গে সঙ্গে গৌড়ীয় শিল্পের প্রভাবও কমিতে লাগিল । ইহার কারণ তৎকালীন ইতিহাস। গজনীর সুলতান মহমুদের ভারতবর্ণে আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে আর্য্যাবর্তের রাজাদের আভ্যস্তরীণ বিবাদ বাড়িয় চলিল । খৃষ্টাব্দের দশম শতক শেষ হইবার পূর্বে পূৰ্ব্বসাগর হইতে পশ্চিমসাগর পৰ্য্যস্ত বিস্তুত ও বিশাল গুক্তির-প্রতীতীর সাম্রাজ্য ভাঙিয়া আট নয়টি বড় ও ছোট রাজপুত রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হইল । গুজ্জার-প্রতীতীর বংশ লোপ পাইবার পূপেই জব্বলপুরের কলচুরী চেদী বংশীয় রাজপুত রাজ গাঙ্গেয় দেব গঙ্গার দক্ষিণকুল পৰ্য্যস্ত জয় করিয়৷ কাশী ও প্রয়াগ আধিকার করিয়া লইলেন (খৃঃ ১০১৯ । পুষ্টাব্দের একাদশ শতকের প্রথমভাগে যখন মঙ্গমুদের পিতা সবুকৃতিগীন কাবুলের হিন্দুশাহীয় রাজা ধ্বসে বদ্ধপরিকর হইয়াছেন, তখন চন্দেল্ল, পরমার, কচ্ছপঘাত, চাহমান প্রভৃতি রাজপুত রাজগণ মুসলমানদিগকে বাধা দিবার জন্য একত্র হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহাদের বংশগৌরব ও অভিমান ক্ষম হইবার ভয়ে তাহার অধিক দিন একত্র থাকিয় শাস্ত্রীয় বংশের রাজাদিগের বিশেষ উপকার পারেন নাই । তখনও রাজপুত রাজচক্রের নামেমাত্র অধিনেত কথাকুন্ডের গুর্জর-প্রতীহার বংশীয় সম্রাট, কিন্তু সমবেত রাজপুত-সেনার অধিনায়ক কালঞ্জর দুর্গের সামন্ত, চন্দেরবংশীয় রাজপুত সমস্ত রাজা ধঙ্গ বা গণ্ড । এই চন্দেল্প বংশের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফুলে গুজর-প্রতীহার বংশের করিতে বিস্তুত সাম্রাজ্যের ধ্বংস হইয়াছিল। ১০১৮ খৃষ্টাব্দে ' মধুর ধ্বংস করিয়া সুলতান মঙ্গমুদ যখন কান্তকুঞ্জ আক্রমণ করিলেন, তপন গুজরাটের শোলাঙ্কি, মালবের পরমার বা পবার, আজ মেরের চাকমান বা চৌহান ; গোয়ালিয়রের কচ্ছপঘাত বা কচুবাক, দিল্লীর তোমর, কালঞ্জরের চন্দ্রাত্রেয় ব। চন্দেল্ল ও জব্বলপুর বা ত্রিপুরীর কোনও সামন্থরাজাই কাৰ্যকুঞ্জের গুক্তির-প্রতীহার বংশীয় শেষ মহারাজাধিরাজ রাজ্যপালদেবের সাহায্যাথ আসিল মাতা ও শিশু "" অবশেষে অসহায় রাজ্যপাল সুলতান মহমুদের নিকটে আত্মসমপণ করিতে বাধ্য হইলেন। মহমুদ কান্তর্ভ মহানগরের মন্দিরগুলি ধ্বংস করিয়। গজনীতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । তখন সমবেত সমস্তচক্র চন্দে প্ল