পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぬb AMMMMAA AMAMAMAAA AAAA AAAA SAAAAS SAASAASAASAASAASAAMASAMMSMMSMSMS ধীরেন বাবু, স্বরেন বাবু, Bake বাকেরা স্বামী স্ত্রী, Drewes দ্রেউএস বলে ‘বালাই-পুস্তাকা’র কৰ্ম্মচারী ডচ যুবকটা, কোপারব্যার্গ, আর আমি—এই আট জনে একটা দল হ’ল । আমরা একত্রে ভ্রমণ করবে, যতদূর সম্ভব এক জায়গায় থাকবে । তিনখানি মোটর আমাদের জন্য ঠিক ছিল, একটায় কবি, "রাণী” পাতিমা বাকে-পত্নী, কোপ্যারব্যার্গ, আর আমি,—একটাতে বাকে, স্বরেন বাবু, ধীরেন বাবু, আর দ্রেউএস, আর তৃতীয়টায় আমাদের মালপত্র । অন্য অন্য ডচ যাত্রীরা চট্ পট মোটরে করে বেরিয়ে প ড়লেন। মোটর চড়ে ব’সতে ব’স্তেই বেলা বেড়ে গেল, সাতটা হয়ে গেল। ছোটে। শহরটিতে ধীরে ধীরে সাড়া পড়ে গেল । ফেরিওয়ালা বেরুলো, আর জেটির ধারের সরু রাস্তায় বলিদ্বীপের চারটা মেয়েকে যেতে দেখলুম। মাথায় জলের পাত্র, বা ঝোড়ায় ক’রে কিছু নিয়ে যাচ্ছে, কি অপূৰ্ব্ব মনোহর গতিভঙ্গীতে এই সব তৰঙ্গী মেয়ের চল ফেরা ক’রে যেতে লাগল ! বলিদ্বীপের মেয়েদের তর্থী শ্ৰী আর তাদের অপূৰ্ব্ব স্বযমাময় সৌন্দয্যের কথা যে পড়ে ছিলুম, তার একটু আধটু আভাস এই দ্বীপে অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা পেলুম : - মোটরগুলি ভাড়া করা হয়েছিল ; মোটরের মালিক— অধিকারিণী—এলেন। ইনি বলিদ্বীপের একটি সৰ্ব্বজনপরিচিত ব্যক্তি। বলিদ্বীপের কোনও বর্ণনা একে বাদ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMAMMAMMAMAMMMAMMAMAMAMAMMAAA AAAAA দিয়ে হবার জে নেই। ইনি হচ্ছেন একটা প্রৌঢ় বয়স্ক বলিদ্বীপের মহিলা, এর নাম পাতিমা । একে অনেক সময়ে Princess Patima বা “রাণী পাতিমা’ ব’লে উল্লেখ করা হয়। এর জীবনের কাহিনী রহস্যময় । আপাততঃ ইনি বুলেলেঙ শহরে বলিদ্বীপের প্রাচীন কারুশিল্পের জিনিষের একটি কারখানা আর দোকান নিয়ে আছেন । বলিদ্বীপের প্রাচীন সোনা রূপার কাজ, ছাপা কাপড়, অস্ত্রশস্ত্র, ছবি, চামড়ায় কাটা নানা মূৰ্ত্তি, কাঠে খোদাই মূৰ্ত্তি, এই সব বিদেশী টুরিস্টুদের বিক্রী করেন। এ ছাড়া বলিদ্বীপের বৈশিষ্ট্য যত লোক রকমের শিল্প আছে, তাও লোক লাগিয়ে তৈরী ক’রে বিক্ৰী করেন। তারপর এর কতকগুলি মোটর গাড়ী আছে, সেগুলি ভাড়ায় খাটনি । এই সব কারবারে এর বেশ আয় হয়। ইনি ডচ আর বলিদ্বীপীয় উভয় শ্রেণীর লোকেদের কাছে খাতির পান । কোনও জাহাজ বুলেলেঙ-এ লাগলে, ইনি নিজের দোকান থেকে শিল্প দ্রব্যের পসরা নিয়ে যাত্রীদের কাছে দেখান, নিজের বাড়ীতে দোকানেও তাদের নিয়ে আসেন। মোট কথা, পাতিমা হচ্ছেন একজন বেশ ব্যবসায়-বুদ্ধিযুক্ত স্ত্রীলোক, এ বিষয়ে তার চরিত্রের বিশেষ দাঢ় আছে। কিন্তু পাতিমার অতীত জীবন, যার সম্বন্ধে একটু আধটু আভাস মাত্র বিদেশীরা পায়—তার দ্বারাই এর চারদিকে একটা আকর্ষণের আবেষ্টন ক’রে দিয়েছে, লোকে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এর কথা শুনতে চায়। পাতিমা যমের দরজার ফেরত—যৌবন কালে পাতিমা আসন্ন মৃত্যুর কবল থেকে নিজেকে উদ্ধার করেন, নিজের প্রাণ বঁাচান । পাতিমা নাকি দক্ষিণ বলির এক রাজার অন্যতম পত্নী ছিলেন। রাজার মৃত্যুর কয় মাস পরে অন্ত্যেষ্টির সময় অন্য রাণীদের সঙ্গে পাতিমাকেও হত্যা করে বলিদ্বীপের প্রথা অনুসারে সতীদাহ করবার ব্যবস্থা করা হয়, কিন্তু পাতিমা নিজের জীবন এমনি ভাবে দিতে সম্মত হন নি— তিনি কোনও রকমে দেশ থেকে পালিয়ে এসে উত্তরে ডচেদের কাছে আশ্রয় নেন। এখন থেকে ( ১৯২৭ থেকে ) এ প্রায় ১৭১৮ বছর পূৰ্ব্বেকার কথা। ডচেরা তখন কেবল উত্তর বলির একটু অংশ দখল ক’রে ছিল—দক্ষিণ বলি এদের অধীন তখনও হয় নি, তবে অধীনে আনবার তোড়