পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o8 AAAAAA AAAA SAAAAA AAAAMAMMAMAAA AAAA AAAA AAAAMMAAA S جمه- نیمه میده প্রচুর জলের দেশ ) এই আখ্যাটা বেশ খাটে। বেলা প্রায় দশটা বাজে, রাস্তায় লোকেদের চলাফের। খুব । তবে যত বাঙলির দিকে এগোচ্ছি, তত দেখছি, রাহী লোকের দৈনন্দিন কাজের জন্য বেরোয় নি, সব যেন দল বেঁধে উংসব ক্ষেত্রে চলেছে। কোথাও ব৷ মেয়েরা সার বেঁধে চলেছে, মাথায় এদের ফল-ফুলুরীর চুবড়ী, বা বেতের ঢাকন দেওয়া ডমরুর-আকারের-খুরোওয়ালা নৈবেদ্য শিরে মন্দিরাভিমুপিনী নারীগণের শোভাযাত্রা কাঠের পাত্র। আমরা মুগ্ধ হ’য়ে বলিজাতীয় পুরুষের এই অপূৰ্ব্ব শোভা-যাত্র, মাঝে মাঝে যা চোখে প’ড়তে লাগল, তা দেখতে দেখতে যেতে 6भGग्न লাগলুম। বলিদ্বীপের লোকেদের আমাদের ভাষায় গৌরবর্ণই বলবো-ইউরোপীয় ধরণের দুধে-আলতার রঙের শ্বেতকায়—কাশ্মীরী বা পাঠান, পারসী বা অাম্মানী বা ইউরোপীয়দের মতন—এর নয়। এর কাঞ্চন বর্ণ, পীতাভ গৌরবর্ণ—গায়ের রঙ চীনাদের মতন। কালে রঙের লোক একেবারে নেই ব’ললেই হয়। যবদ্বীপের লোকেরা এদের চেয়ে শু্যামবর্ণ, কতকট ভারতবাসীদেরই মত। বলিদ্বীপীয়েরা মালাই জাতির একটা বেশ শীসৌষ্ঠবশালী শাখা। সাধারণ মালাইদের চেয়ে একটু ভারী আর ঢাঙী চেহারা, বিশেষ ক’রে মেয়েরা তে মালাই মেয়েদের মতন ক্ষুদ্রকায় ব৷ ক্ষীণকায় নয়। মেয়ে আর পুরুষদের নাকটা একটু চেপ টা, ভারতবাসীর প্রিয় বঁাশী-নাসা যবদ্বীপে একটু আধটু দেখতে পেলেও, এদেশে তা বিরল বা দুর্লভ। চোপ্ত গুলি সাধারণতঃ বেশ ডাগর আর ভাবব্যঞ্জক প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ SAMMeM AMAMMMAAASA SAASAASAASAASAA [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড হয়। মেয়ে আর পুরুষদের মাথায় চুল খুব বড়ো হ’লেও পুরুষদের মুখে গোফ দাড়ীর অপ্রাচুর্য্য। এদেশের মেয়েদের অনেকের ঠোট দুটি একটু আধখোলা মতন থাকে, তাতে মুক্ত-ধবল দাত একটু দেখা যায়, হঠাৎ দেখে মনে হয় এরা কি যেন ব’লতে চাচ্ছে, কিন্তু ব’ল্তে গিয়ে হঠাৎ থেমে যাচ্ছে। আধুনিক সভ্যতা থেকে এতদিন পর্য্যস্ত নিভৃতে পালিত সারল্য-মণ্ডিত এই সমস্ত জনপদ-কন্যাদের মুখে এই wistful, এই অক্ষ ট প্রশ্নময় ভাবটী বাস্তবিকই আমাদের বড়ে মনোহর ব’লে বোধ হত। বলিদ্বীপের রূপকারেরা এদেশের মেয়েদের আর পৌরাণিক দেবীদের ছবিতে বা মূৰ্বিতেও এই ঈষৎ-প্রকটিত-দস্তরুচি-কৌমুদীর্টুকু বর্জন করতে পারে নি—বলির পটের বা মূৰ্ত্তির এই একটা বিশেষত্ব। এ দেশের পোষাকে রঙের বাহুল্য একটা লক্ষ্য করার জিনিস। একটা কথা গুনেছিলুম যে যে দেশে প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বেশী, সবুজের ছড়াছড়ি যেখানে, সেখানকার লোকের বর্ণ-সুষম বিষয়ে প্রকৃতিদেবীর মুক্ত হস্তের দান পেয়ে নিজেদের স্থষ্ট পারিপাশ্বিকে —পোষাক পরিচ্ছদ প্রভৃতিতে বর্ণসম্বন্ধে উদাসীন হয়। উদাহরণ স্বরূপ বাঙলাদেশের আর মালাবারের পোষাকে রঙের অভাবের কথা শুনি । মালাবারে আর বাঙলাদেশের মেয়ে পুরুষে রঙীন কাপড় ছেড়ে সাদাটাই আজকাল বেশী প’রছে বটে, কিন্তু বাঙলাদেশ সম্বন্ধে বলা যায়, যে এই যে বর্ণজ্ঞান-হীনতা, এট। হালের, আর মধ্য-উনবিংশ শতকের ইংরিজি মনোভাবের প্রভাবের ফল । আমাদের পূৰ্ব্বপুরুষেরা নানা রঙের কাপড় পরতে লজ্জা বোধ করতেন না। এখন আবার রঙ ফিরে আসছে— পুরুষের পোষাকে। রঙীন ਸ੍ਰੀ এখন সাদা সূতোর কাপড়কে তাড়াচ্ছে । ২৫/৩০ বছর পূৰ্ব্বে বাঙালা দেশে কয়জন লোক লুঙ্গী প’রত ? বাঙলার মুসলমান কৃষাণেরাও সেই সনাতন ধুতীরই ভক্ত ছিল। পূর্ববঙ্গের মুসলমান খালাসী আর বর্ধাগামী কৃষাণেরাই বৰ্ম্ম থেকে লুঙ্গীর আমদানী করে, ক্রমে রঙীন লুঙ্গী এখন বিশেষ ক’রে বাঙালী মুসলমানেরই পোষাক হ’য়ে দাড়াচ্ছে, সখ ক’রে বাঙালী হিন্দু বাবু-ভেইয়ারাও প’রছেন ; কালে হয়