পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের কথা سلالا لا ১ম সংখ্যা ] - তাহা আজও ভুলিতে পারি মাই। অগ্রহায়ণ মাসে গোধূলী লগ্নে বিবাহ হইয়াছিল। দিদির বিবাহের পর আমি প্রায়ই মায়ের সঙ্গে জোড়াসাকোর বাড়ী আসা যাওয়া করিতাম, সেই সময় আমাকে দেখিয়া আমার ননদ স্বর্ণকুমারী ও শরৎকুমারীর পছন্দ হওয়াতে আমার স্বামীকে বিবাহ করিবার জন্য বীর বার অনুরোধ করিতে থাকেন। আমার স্বামী সেই কথায় তাহাদিগকে বলিয়াছিলেন যে, তিনি কলাবেীকে বিবাহ করিবেন। এই কথা শুনিয় তাহদের মধ্যে খুব একটা হাসাহাসির রোল পড়িয়া যায়। আমি আসিতেই আমাকে তাহার দুজনে মিলিয়া সাজাইয়া আমার স্বামীকে দেখাইবার জন্য বাহিরের বারাণ্ডায় লইয়। যাইবার জন্য অনেক চেষ্টা করিতে লাগিলেন, কিন্তু আমি পাড়াগেয়ে মেয়ে, তখন লজ্জাই বেশী ছিল, কাজেই আমি কিছুতেই বাহিরে তার সামনে যাইতে রাজি হইলাম না, বাড়ীর ভিতর চলিয়া আসিলাম । সেই বছর ফাঙ্কন মাসের ৮ই তারিখে আমার বিবাহ হয়। দিদির বিবাহের দুই বৎসর পরেই . ওই বাড়ীতেই মহৰ্ষির চতুর্থ পুত্র বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বিবাহ হইয়াছিল, তখন আমার বয়স বার বৎসর ছয় মাস মাত্র । অশ্বিনের ঝড়ের বছরেই আমার বিবাহ হয়, আমার বিবাহে কিছু গোলমাল হয় নাই, তবুও পাছে হয় বলিয়া পুলিশের কিছু বন্দোবস্ত রাথ৷ হইয়াছিল। বিবাহের পরদিন আমার দেওর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, সরকারকে সঙ্গে করিয়া গয়নার বাক্স সঙ্গে লইয়। আমাকে সেই সকল পরাইয় আনিবার জন্য আমাদের বাড়ীতে গিয়াছিলেন । আমাকে সেই সব গহন কাপড় পরাইয়া, মা আমার দুর্গ প্রতিমার স্তব করিয়৷ আমাকে পান্ধীতে তুলিয়া দিয়া পা মুছাইয়া দিলেন। মা বাপকে ছাড়িয়া আসিবার সময় খুবই কষ্ট হইল, সারারাস্ত র্তাহাদের জন্য মন কেমন করিতে লাগিল, কাদিতে লাগিলাম। তখন এ রকম পান্ধী ছিল না, পান্ধীর ধরণেরই ছোট এক রকম বসবার ছিল, তার উপর নানা রকম কাজ করা কাপড় দিয়া উহা ঢাকা থাকিত, তাহাকে তখনকার দিনে তাঞ্জাম বলিত। ہ:بہمھمبہم ہمیم সেই তাঞ্জামসুদ্ধ আমাকে জাহাজে উঠান হইল, আমি, তাহার মধ্যে বসিয়া রহিলাম। আমার স্বামী, চার, ঘোড়ার গাড়ীতে চড়িয়া বিবাহ করিতে গিয়াছিলেন । আমরা যখন বাড়ী আসিয়া পৌছিলাম তখন সন্ধ্যা হইয়াছে। বাড়ীর ফটকের সামনে গাড়ী যখন থামিল সেই সময় আমার শ্বাশুড়ী, বড় ননদ সৌদামিনী দেবী ও বাড়ীর কয়েকজন স্ত্রীলোকেরা আমাকে পান্ধী হইতে নামাইয়া লইলেন । আমার শ্বাশুড়ী জলের ঝারা দিয়া পানসন্দেশ মুথের মধ্যে দিয়া সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলেন। দোতলায় আনিয়া আমাদের দুজনকে মসলনদের উপর বসান হইল এবং সেইখানেই বিবাহের নানারকম অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন হইল। বিবাহের আট দিন পরে যেদিন বাপের বাড়ীতে যাই, সেই দিন শ্বাশুড়ী নিজে গহনা পরাইয়া আমাকে সাজাইয় দিলেন, র্তার নিজের একটি চুনী-মুক্তোর নথ ছিল, সেইট আমার নাকে পরাইয় দিবার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন । সেটা এত ভারী ছিল যে, পরিতে গিয়। আমার চোখ দিয়া জল পড়িতে লাগিল। তাহ দেখিয়া আমার বড় ননদ আর পরিতে দিলেন না, আমি সে যাত্র রেহাই পাইলাম। চুনী এবং দুটি মুক্তোর দাম দু হাজার টাকা । বিবাহের পর শ্বশুরবাড়ীতে আসিয়া, ননদ, জা, ও আত্মীয়স্বজনদের নিকট হইতে এত আদর-যত্ন পাই যে, তাহাতেই অনেকট। বাপ মায়ের শোকট। ভুলিতে পারিয়াছিলাম। আমার বিবাহের সাত মাসের মধ্যে আমার পিতার মৃত্যু হয়। তিনি অনেক দিন হইতেই অর্শের রোগে ভুগিতেছিলেন। তখনকার দিনে আমার শ্বশুরবাড়ীতে নিয়ম ছিল যে, বিকাল হইলেই মালিনীরা ফুলের মালা গথিয়। আনিবে এবং সেই মালা বাড়ীর বৌঝিরা মাথায় গলায় দিয়া যাহার যেমন ইচ্ছা তেমনি করিয়া সাজিবে । আমি তখন নতুন বেী আসিয়াছি, আমার বড় ননদ রোজ নানা রকমের খোপা বাধিয়া সেই মালা উহাতে জড়াইয়া দিতেন। আমার বড় জ৷ সৰ্ব্বসুন্দরী দেবী নিজের টাকা-পয়সা খরচ করিয়া নানা রকম পাড়ের শাড়ী কিনিয়া নানা রঙে ছুবাইয়া, আমাকে প্রত্যেক দিন পরাইয়৷ সাজাইতেন। বড় জ৷ আমাকে তার নিজের বোনের --سمجمہ ہی پیت محمیہ