পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বাঙ্গলার প্রথম’ অধ্যাপক শ্ৰীঅমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ ছাপায় প্রথম বঙ্গাক্ষর ১৭৭৮ খৃষ্টাব্দের পূৰ্ব্বে বাঙ্গালা দেশে ছাপাখানার স্বষ্টি হয় নাই। এসময়ে ভারতবর্ষেও ছাপাখানার অস্তিত্ব ছিল না। কাজেই ছাপার হরফে বঙ্গাক্ষর দেখিবার সুযোগও তখন ছিল না। এখন হইতে উনিশ বংসর পূৰ্ব্বে শ্ৰীযুক্ত ( এক্ষণে, রায় বাহাদুর, ডাক্তার ) দীনেশচন্দ্র দেন মহাশয় কাঠে ক্ষোদাই কর। ব্লক হইতে ছাপা নূ্যনাধিক দুইশত বৎসরের পুরাতন একখানি বাঙ্গাল পথির সংবাদ দিয়াছেন। তাহার মতে, বাঙ্গালার এই পৃথির মুদ্রণপ্রণালী তিববতী বা নেপালী পদ্ধতির অনুকরণ । * চীনারাই কিন্তু ব্লক-প্রিণ্টিং-এর আবিষ্কারক । ব্লকে হরফ ক্ষুদিয়া ইহারাই প্রথম ছাপে । তিব্বতে ও নেপালে অনেকদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া ছাপা চলিতেছিল।+ ১৪৯৮ খৃষ্টাব্দে ভাস্কো দা গামা মলবরের রাজধানী কালিকাটে পদার্পণ করেন । তাহার সঙ্গে আসিয়াছিলেন একজন টুি নিটেরিয়ান, নাম—পেদ্রো দে কোবিলহম ( Pedro de Covilham ) | so • • •ètzw *wta অস্তুত ত্যাগের দৃষ্টান্ত হইতেই ভারতে খৃষ্টান মিশনের স্বত্রপাত হয়। এই বংসর আটজন যাজক ও আটজন ফ্রানসিস্কান্‌—পেদ্রো আলভারেজ কাব্রালের সঙ্গে আসেন। মুসলমানরা ইহাদের তিনজনকে মারিয়া ফেলে। তাহাতে দমিয়া না গিয়া এই ফ্রানসিস্কানরা এবং ১৫০৩ খৃষ্টাব্দে ডমিনিকানরা ভারতে খৃষ্টান মিশনের পথিপ্রদর্শকরূপে আগমন করেন। ফলে, ১৫০৩ খৃষ্টাব্দে এবং গোয়ায় ১৫১০ খৃষ্টাব্দে মিশনের কার্য্যারম্ভ হয়। পর্তুগীজরা ১৫১০ খৃষ্টাব্দে গোয়া নগরী অধিকার করে। গোয়াতে রোমান

  • History of the Bengali Language and Literature, Calcunia (191). p. 845 : f --- Present; VJi IX. Jiiiy-Séjt.* 91âïÉÍINó 17, p 40.

t J, A. S. B., Vol IX. April 1013, p. 149. कॉर?द्र egal list ud . ক্যাথলিক ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্ত তাহারা যথেষ্ট চেষ্ট্র করিয়াছিল। ধৰ্ম্মপ্রচারের উদ্দেশ্বে কতকগুলি বইe ছাপিয়াছিল। বই ছাপিবাৰ জন্য ছাপাখানারও ব্যবস্থা করিয়াছিল। ধৰ্ম্মপ্রচারের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য-ব্যবসায়ও চলিত। পর্তুগীজদের বাণিজ্য যখন কোন কোন প্রাচ দেশে চলিতেছিল, তখন মুনো দা কুনহ (Nuno da Cunha—১৫২৯-৩৮) তাহাদের মধ্যে সর্বপ্রথম বঙ্গদেশের সহিত রীতিমত ব্যবসায় চালাইতে আরম্ভ করেন । এই সময় দা কুন্‌হার চেষ্টায় অনেক পর্তুগীজ বঙ্গে আসিয়া বালেশ্বর হইতে আরম্ভ করিয়া চট্টগ্রাম পৰ্য্যস্ত এবং হুগলী হইতে আরম্ভ করিয়া ঢাকা পৰ্য্যন্ত নানা স্থানে বাস করিতে লাগিল। ইহারা ব্যবসা-বাণিজ্য করিত, জলদস্থ্যতা ও লুটতরাজ করিতেও নারাজ ছিল না । এইরূপে কিছুদিন চলিয়া যায়। পর্তুগীজ মিশনীর লিসবন ও গোয়ার পথে বাঙ্গালায় আসে । অতঃপর ধৰ্ম্মের তথা বাণিজ্যের কোন এক খেয়ালের বশে বাঙ্গালী ভাষার প্রতি তাহদের দৃষ্টি পড়ে। তাহারা যে জায়গায় থাকিত সেইখানকার কথ্যভাষা যথাসাধ্য শিক্ষা করিতে ক্রটি করে নাই। তাহার সেই সময়ের উপযোগী প্রণালী অমুসারে বাঙ্গালার ব্যাকরণ ও অভিধান সঙ্কলন করে এবং ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্য খৃষ্টধর্মের প্রার্থনাপুস্তকাদি বাঙ্গলা ভাষায় প্রণয়ন করে। তাহাদের এই সমস্ত রচনা রোমান অক্ষরে তাহারা লিখিত। বাঙ্গালী ভাষায় গ্রন্থাদি প্রণয়নব্যাপার কিন্তু জেম্বইটগণের ভারতে আগমনের পূৰ্ব্বে হয় নাই। জেহুইটদের নবসম্প্রদায় ১৫৪০ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত হয়। ১৫৪১ খৃষ্টাকে তাহারা ভারতের মিশন-ক্ষেত্রে অবতরণ করেন। সেন্ট ফ্রানসিস জেভিয়ার পর্তুগালের তৃতীয় জনের অনুরোধ-ক্রমে দুইজন সহকর্মীর সহিত মিশন-কার্ঘ্যের স্বত্রপাত করেন। ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্ত ইহারা বাঙ্গালা মিশনের ব্যবস্থা করেন।