পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ&స్చి প্রবাসী=বৈশাখ, ১৩৩৭ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড তদনুযায়ী সতেজ পরিকল্পনা ও লেখন—ইহাই ইহাদের বিশেষত্ব । এই নূতনত্ব ও জীবন্তভাবের-ললিতকলার ক্ষেত্রে । এই দুই শব্দের একই অর্থ—প্রবর্তকগণের মধ্যে সৰ্ব্বাগ্রে শ্ৰীযুক্ত গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শ্ৰীযুক্ত নন্দলাল বস্থর নাম করিতে হয়। ইহাদের দৃষ্টাস্তে এদেশের বহু নবীন শিল্পী এখন ভরসা করিয়া নূতনত্বের অনুসন্ধানে অগ্রসর হইতেছেন, এবং তাঁহাতে যে কিছু সাফল্যলাভও করিতেছেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। দৃষ্টান্তস্বরূপ গতবারের কলাশিল্প প্রদর্শনী দুইটির কথা বলা যায়। এই দুইটি প্রদর্শনীতেই এবার অনেকগুলি বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য চিত্র আসিয়াছিল । ওরিয়েন্টাল সোসাইটির প্রদর্শনীতে শ্ৰীযুক্ত গগনেন্দ্রনাথ মা ও ছেলে-— শ্ৰীসত্যরঞ্জন কর পরিকল্পনার “ঢালা ও সাজা” ভিন্ন আর কিছুই নাই । ইহা সত্য যে কিছুকাল পর্য্যন্ত এদেশের চিত্রশিল্পিগণ এরূপ সমালোচনার যথেষ্ট সুযোগ দিয়াছিলেন। বিশেষত: পরিকল্পনায় এবং চিত্রের উপাদান ও সজ্জায় গতানুগতিক ভাবের বড়ই প্রচলন হইতেছিল। সুখের বিষয়, অল্পদিনের মধ্যেই এদেশের কয়েকজন শিল্পী নূতন নূতন পথ প্রদর্শন করিতে আরম্ভ করেন, যাহার ফলে ভারতীয় চিত্রকলার ঐ অকালবাৰ্দ্ধক্যজনিত স্থাণু ভাব দূর হয় এবং এদেশীয় ললিতকলা পুনৰ্ব্বার সবল ও সজীব হইয় উঠে। এই পথপ্রদর্শকগণ যে নূতন কিছু আবিষ্কার করিয়াছেন বা সম্পূর্ণ মৌলিক কোন প্রথার অনুশীলন করিয়াছেন তাহা নহে। বিভিন্ন পদ্ধতির সহিত এণীেয় ভাব ও প্রথার আশ্চর্ষ্য সমন্বয় এবং মা ও ছেলে—শ্ৰীমধাংশু রায়